কুমির হল একটি সরীসৃপ প্রাণী। জলে বসবাসকারী এই হিংস্র প্রাণীটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। কুমির দেখতে কেমন এবং কুমিরের কিছু বৈশিষ্ট্য আমাদের সকলেরই জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে আমাদের নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ বাচ্চাদের কাছে এই সকল প্রাণীদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আমাদের তুলে ধরা প্রয়োজন। আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন প্রজাতির কুমিরের ছবিসহ তাদের জীবিকা এবং তাদের বর্ণনা গুলো দেখতে পারবো। তাই প্রিয় বন্ধুগণ তোমরা যারা কুমির সম্পর্কে জানতে চাও এবং কুমিরের ছবি দেখতে চাও তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি নিশ্চয়ই দেখে নিতে পারো।
কুমির একটি হিংস্র প্রাণী। মানুষের বাসস্থানের নিকটবর্তী কুমিরের বয়স খুবই ভয়ঙ্কর। যদিও বর্তমানে কুমিরের সংখ্যা অনেক কম। তারপরেও বিভিন্ন জলাশয় এবং বড় বড় জঙ্গল গুলো মৃত জলাশয়ে কুমির এর বাস করার আশঙ্কা কিন্তু আজও রয়েছে। সুন্দরবন এ কুমির দেখতে পাওয়া যায়। সুন্দরবনে অনেক পরশুরা প্রতিনিয়ত কুমিরের খাদ্য হিসেবে স্বীকার হচ্ছে। যারা কুমির সম্পর্কে জানিনা এবং কুমিরের ছবি দেখিনি তাদের জন্য কুমির এর বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করা হলো,,,,
সব ধরনের কুমিরই আকৃতি ও জীববিজ্ঞানের নিয়ম অনুসারে একই রকম।
কিন্তু তাদের আকার, প্রকৃতি, আচরণ ও বাসস্থানের ধরন প্রজাতি অনুসারে বিভিন্ন হয়। যদিও এই সব ব্যাপারে তাদের মধ্যে বেশ কিছু মিলও দেখা যায়। সব কুমিরই অর্ধ-জলচর প্রাণী। এরা মূলত নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মিষ্টি জলেই বাস করে। কোনো প্রজাতির কুমির অর্ধ-লবনাক্ত ও লবনাক্ত জলেও বাস করে। এরা মাংসাশী প্রাণী। প্রধানত মাছ, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীই এদের খাদ্য।
ম্যানগ্রোভ বন, অ্যামাজন এবং সুন্দরবনের কুমিরের সংখ্যা আজও কিন্তু কম নেই।কুমির বিষুবীয় অঞ্চলে বাস করে। শীতল পরিবেশের প্রতি এরা সংবেদনশীল। প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বছর আগে ইওসিন যুগে এরা অন্যান্য ক্রোকোডিলিয়ান প্রজাতির থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছিল। ক্রোকোডাইলোমর্ফিয়ার অন্যান্য শাখার মতো এই শাখাটিও বিগত সাড়ে ২২ কোটি বছর ধরে নানা গণ-বিলুপ্তি সত্ত্বেও টিকে আছে। তবে এখন বাসস্থানের সমস্যা ও বেআইনি শিকারের ফলে কুমিরের অনেক প্রজাতিই বিপন্ন বা লুপ্তপ্রায়।এবার আমরা কুমিরের বিভিন্ন প্রজাতির ছবিগুলো দেখব। কোন কোন জাতের কুমির আকারে অনেক বড় এবং খুব হিংস্র প্রজাতির হয়ে থাকে। সবগুলো পিকচার এবার আমরা দেখে নেব।
আশা করি আপনারা কুমিরের পিকচার গুলো দেখেছেন। পিকচারসহ কুমিরের বর্ণনা আপনারা পেয়ে যাবেন আমাদের এই আর্টিকেলে। কুমিরের মুখ অনেক বড় অর্থাৎ লম্বা সরু ঠোঁট । কুমির যখন নিজের মুখ খোলে তখন সেটি প্রায় বড় আকারের একটি প্রাণীকে খুব সহজেই নিজের মুখের মধ্যে করে নিতে পারে। কুমিরের অনেক বড় বড় দাত রয়েছে যার সাহায্যে বড় বড় পশু শিকার করে ফেলে খুব অনায়াসে। কুমিরের রয়েছে বড় একটি লেজ। কুমিরের লেজের আঘাত এতটাই ভয়ানক যে কুমিরের লেজের আঘাতে মানুষের এবং যেকোনো প্রাণীর হাড় পর্যন্ত ভেঙে যেতে পারে।
কুমিরের লেজের আঘাতের ভর এতটাই বেশি যে পাহাড়ের মত শক্ত বস্তুকে খুব সহজেই ভেঙে ফেলতে পারে। কুমিরের সারা শরীর রুক্ষ কাটা কাটা যুক্ত। চার হাত পায়ে বুকে ভর দিয়ে চলাফেরা করে। তাই কুমির একটি সরীসৃপ প্রাণী। কারণ কুমির জলে এবং ডাঙ্গায় উভয় বসবাস করতে পারে। কুমির একটি মেরুদন্ডী প্রাণী ও বটে। কারণ কুমিরের রয়েছে মেরুদন্ড। এটি বিশালাকারের হয়ে থাকে। কুমির ডিম পেরে বাচ্চা জন্মদান করে। এজন্য কুমির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পড়ে না।
কুমির তারতীক্ষ্ণ চোখ দিয়ে খুব সহজেই তার স্বীকারকে লক্ষ্য করে স্বীকার করে ফেলতে পারে। হিংস্র এই প্রাণীটি সত্যিই খুবই ভয়ানক একটি প্রাণী।কুমির হল একপ্রকার জলচর চতুষ্পদ প্রাণী। এগুলিকে দেখা যায় আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে।এরা মূলত নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মিষ্টি জলেই বাস করে। কোনো প্রজাতির কুমির অর্ধ-লবনাক্ত ও লবনাক্ত জলেও বাস করে। এরা মাংসাশী প্রাণী। প্রধানত মাছ, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীই এদের খাদ্য। আশা করি কুমিরের ছবিসহ কুমির সম্পর্কে অনেক তথ্য আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কাছে শেয়ার করতে পেরেছি।