কাক কোন দেশের জাতীয় পাখি

আপনি কি কাক কোন দেশের জাতীয় পাখি জানতে চাচ্ছেন? কাকের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য জেনে নিতে চাচ্ছেন? কাকের আসলে কি ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা আপনি সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি পড়তে পারেন এবং এখান থেকে কাকের বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নিতে পারেন। তাছাড়া কাক কোন দেশের জাতীয় পাখি তাও জেনে নিতে পারেন। তাই আর দেরি না করে আপনি এই আর্টিকেলটি ঝটফট পড়ে ফেলুন পড়ে ফেলুন এবং কাক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আশা করি কাক সম্পর্কে জেনে আপনার অনেক ভালো লাগবে। তাছাড়া আপনি কাক কোন দেশের জাতীয় পাখি এটাও যদি জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

অন্যান্য পাখির মধ্যে কাক একটু আলাদা এবং কাক দেখতে অন্যান্য পাখিদের মতো না। কাকের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণে কাকে অন্যান্য পাখিদের চাইতে অন্য রকম লাগে। বিভিন্ন পাখির বিভিন্ন রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সব পাখি একে অপরের থেকে আলাদা। কোন পাখি একরকম নয়। কিন্তু কাক যেন একটু বেশি আলাদা। আর কাকের গায়ের রং সাধারণত কালো এবং অনেক পাখির চেয়ে কাক দেখতে অনেকটা বড় আকৃতির হয়। কাক দেখে অনেকে ভয় পেতে পারে। কিন্তু কাক দেখে আসলে ভয়ের কিছু নাই। আসলে কাক ভয়ঙ্কর কোন প্রাণী নয়। আবার কাউকে সহজে কাক আক্রমণও করে না। তাই কাক দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

আবার অনেকে কাক কা কা করে ডাকলে অকল্যাণকর মনে করে। কিন্তু কাক আসলে বা কাকের ডাক আসলে অকল্যাণকর নয়। কা কা করে ডাকলে অনেকেই মনে করে যে হয়তো বা অকল্যাণকর কিছু হবে। কিন্তু কাকের ডাক আসলে অকল্যাণকর নয়। যে প্রাণীর ডাক যেরকম, সে তো সেভাবেই ডাকবে। আসলে বিড়ালের যেরকম ডাক সে রকম ভাবে ডাকে। ছাগলের যেরকম ডাক, সে রকম ভাবেই ডাকে। মোরগ বা মুরগির যেরকম ভাবে ডাকার কথা, সেরকম ভাবে ডাকে। তেমনি ভাবে কাকও তার স্বাভাবিক ভাষাতেই কা কা করে। তাই কাকের ভাষাকে বা ডাককে কখনো অকল্যাণকর মনে করা উচিত নয় বা ভয় পাওয়া উচিত নয়। আসলে কাক তার স্বাভাবিক নিয়মে ডাকে। কাউকে ভয় দেখানোর জন্য বা অকলনের কাজ কা কা করে ডাকে না।

আবার কাককে অনেকেই নোংরা প্রাণী মনে করতে পারে। কারণ কাক বিভিন্ন জায়গার ময়লা আবর্জনা থেকে খাবার সংগ্রহ করে খায়। কিন্তু আমরা যে প্রাণীকে ময়লা বা নোংরা মনে করি, সেই প্রাণীটি অন্যান্য দেশের জাতীয় পাখি বা পশুও হতে পারে। আমরা আমাদের দেশে হয়তো বা সেই পাখিকে ওতটা গ্রাহ্য করি না বা মূল্যায়ন করি না। কিন্তু অন্যান্য দেশে সেই পাখি জাতীয় পাখির মর্যাদা লাভ করতে পারে। কাক আমাদের দেশে খুব বেশি মর্যাদা না পেলেও বা কাককে অনেকেই অকল্যাণকর মনে করলেও কাকের ডাক বা কাক আসলে কল্যাণকর নয়। অনেক দেশ কাককে অনেক বেশী সমাদর করেন এবং এই প্রাণীটিকে বা পাখিটিকে অনেক পছন্দ করেন।

আবার মাঝে মাঝে কাক বোকার মত কাজও করে। যেমন কোকিল পাখিরা কাকের বাসায় ডিম পাড়ে এবং কাক নিজের ডিম মনে করে তা দিয়ে কোকিলের ডিম ফোটায় এবং কোকিল পাখির বাচ্চাকে সে সমাদর করে বড় করে তুলে। আসলে এখানে কাকের মহানুভবতা এবং বোকার দিকটা প্রকাশ পায়। কাক আসলে বুঝতেই পারে না যে সে নিজের ডিমে তা দিয়ে নয়, বরং কোকিলের ডিমের তা দিয়ে বাচ্চা ফুটাচ্ছে।

আশা করি আপনি কার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে কোন কোন মানুষ দেখা যায় যে কাক আসলে কোন দেশের জাতীয় পাখি কি না এবং আসলে যদি জাতীয় পাখি হয়, তাহলে কোন দেশের জাতীয় পাখি তার সম্পর্কে জানতে চায়। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে এ বিষয়টি এখান জানাতে চাই। আসলে কাকও জাতীয় পাখির মর্যাদা লাভ করেছে এবং ভুটানের মানুষ কাককে জাতীয় পাখি মর্যাদা দান করেছে। তাই কাক হচ্ছে ভুটানের জাতীয় পাখি।

Leave a Comment