পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় পানিও হল চা। চা একটি বহুল পরিচিত পানিও খাবার। আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত চায়ের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের জীবন চা ছাড়া অসম্পূর্ণ। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা দিয়ে শুরু হয় আমাদের দৈনিন্দন জীবন । সকালবেলা খবরের কাগজ হাতে এক কাপ চা না পেলে আমাদের সারাদিন শুরুই হবে না। তাই বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে চায়ের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। ইন্ডিয়াতে চা অনেক চাষ হয় কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেট এবং খাগড়াছড়ি অঞ্চলেতেও এখন অনেক চায়ের চাষ হচ্ছে।
আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব ইস্পাহানি চায়ের ডিলার সম্পর্কে। বাংলাদেশের যতগুলো চা কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে ইস্পাহানি কোম্পানি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। বাংলাদেশের নয় বিদেশে রপ্তানি করে যাচ্ছে ইস্পাহানি মির্জাপুরী চা । আমরা বাংলাদেশের মানুষ অধিকাংশ কাহিনী চা খেয়ে থাকে। ইস্পাহানি চা এর গুণগত মান সত্যি খুব ভালো। এজন্য সারা দেশ জুড়ে এই ইস্পাহানি চায়ের সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশে আরো অনেক চা কোম্পানি রয়েছে যেগুলো অনেক ভালো। ভারত থেকে আসা কিছু কিছু চায়ের কোম্পানির রয়েছে যারা ও চা ব্যবসায় অনেক লাভবান। কিন্তু বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি হল ইস্পাহানি।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ চা পান করে, তাই এদেশে চা পাতার ব্যবসা খুব লাভজনক। এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যায় যারা চা পান করতে পছন্দ করে না। আপনি যদি চা পাতার ব্যবসা করতে চান তাহলে, আপনাকে অবশ্যই চা পাতা পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হবে। কম পুঁজি নিয়ে যদি কেউ ব্যবসা শুরু করতে চাই তাহলে চায়ের ব্যবসায় উত্তম। অল্প খরচে ছোট ব্যবসা শুরু করে লাভবান হওয়া সম্ভব শুধুমাত্র চায়ের ব্যবসায়ের মাধ্যমে।
আপনারা যদি চা এর ব্যবসা করতে চান অথবা যা সম্পর্কে যে কোন তথ্য জানতে চান তাহলে আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনটি দ্বারা উপকৃত হতে পারবেন। আমরা এই আলোচনা যা ব্যবসা সম্পর্কে কিছু ধারণা আপনাদের দিতে পারি। লাভজনক ব্যবসা। যে কেউ চাইলে ইস্পাহানি কোম্পানি করতে চা এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ইস্পাহানি কোম্পানির চায়ের ডিলারশিপ নিয়ে যে কোন প্রশ্ন থাকলে আপনারা করে ফেলতে পারবেন এবং এই সকল যাবতীয় প্রশ্নের
উত্তর আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন আমরা চায়ের ব্যবসা সম্পর্কে কিছু সংক্ষেপে আলোচনা বিশ্লেষণ করি।খুচরা চা কেনে কখনই ব্যবসা করে সফল হওয়া যাবে না। কিন্তু, আপনি যদি ইস্পাহানি ডিলারশিপ নিতে চান, সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা। ডিলারশিপ ব্যবসা কি ও কিভাবে শুরু করবেন এ নিয়ে এই লেখাটি পড়তে পারেন। বাংলাদেশে ইস্পাহানি চা কোম্পানি এখন অনেক বড় আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘ বছর ধরে বাংলাদেশের বহু মানুষের আস্থা এই ইস্পাহানি চা।
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চা পাতা উৎপাদন হয়। এক্ষেত্রে সিলেটের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যদিও বর্তমানে অনেক সমতল ভূমিতেও চা পাতা উৎপাদন হচ্ছে। এক্ষেত্রে, পঞ্চগড়ের নামা নেওয়া যেতে পারে। চা পাতা কোথায় উৎপাদন হয় এ নিয়ে আমরা অন্য কোন দিন পিএচটি অর্জণ করবো। আজকে আপাতত, চা পাতার পাইকারি বাজার কোথায় আছে সেটা জেনে নেই।
বাংলাদেশের ৫০% বেশি চা পাতা উৎপন্ন হয় সিলেট বিভাগে। সিলেট বিভাগ চা পাতার রাজধানী হিসেবে বিখ্যাত আমাদের দেশে। সিলেটে বিভিন্ন জায়গায় চা উৎপাদন হয় কিন্তু, সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয় শ্রীমঙ্গলে। শত শত টি হাউস গড়ে উঠেছে এই সিলেট এবং শ্রীমঙ্গলকে কেন্দ্র করে।তারপর এই চা সংগ্রহ করুন বাজারজাতকরণ করা হয়। ইস্পাহানি চা কোম্পানিতে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এর গুপ্ত কাঁচা মালের ভালো মানের জন্য। সারা দেশব্যাপী এই চায়ের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন চায়ের দোকান, বড় বড় টি শপ এবং বাসাবাড়িতেও নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য এই ইস্পাহানি চা ব্যবহৃত হয়।
বাঙালিরা পানীয় হিসেবে চা সবচাইতে বেশি পছন্দ করে।এজন্য যদি কেউ ডিলারশিপ নিয়ে চায়ের ব্যবসা শুরু করতে চাই তাহলে খুব সহজে এই ব্যবসার মাধ্যমে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।