শিশির ভেজা সকাল

আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমাদের আজকের আর্টিকেলটি, আমরা সবাই শিশির ভেজা সকাল অনেক পছন্দ করে থাকি। শিশির ভেজা সকালে পা ভিজিয়ে আমাদের হাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। দুর্বাগ ঘাসের ওপর হাটতে কান্না ভালো লাগে তাই আমরা চাই প্রতিদিন শিশির ভেজা সকালের ওপর হাঁটতে। আপনি যদি শিশির ভেজা জায়গায় খালি পায়ে প্রতিদিন হাঁটতে পারেন সেটা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে।

শিশির ভেজা সকালে বিশেষ করে শীতের দিন অনেক ভালো লাগা কাজ করে এই শীতের সময় কুয়াশার ঢেকে থাকে সব জায়গা, প্রতিদিন সকালে আমরা বিভিন্ন ভাবে আমাদের জীবনের নতুন একটি অধ্যায় শুরু করে থাকি। সারাদিনের ব্যস্ততার পরে রাত যখন ঘনিয়ে আসে তখন থেকেই চারিদিকে কুয়াশা পড়া শুরু করে এই কুয়াশার পড়ার মাধ্যমেই সকালবেলা ঘাস মাটি অনেক ভেজা হয়ে থাকে।

শীতে সকালের কথা বলতে গেলেই প্রকৃতির যেই ভিন্ন একটি রূপ রয়েছে সেটি আপনি শীতের বেলায় এই সময় দেখতে পাবেন। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে শীত চলে আসে আমাদের বাংলাদেশে এই শীতের মাধ্যমে কখনো শীত কখনো গরম কখনো হালকা স্নিগ্ধ বাতাস আমাদের শরীরে মিষ্টি হাওয়া লাগিয়ে যায়। শীতের সময় সকালের যেই মিষ্টি রোদ বের হয় সেটা দেখতে অনেক সুন্দর এবং মায়াবী হয়ে থাকে।

গাছের নরম-কচি পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে মিষ্টি রোদ। মেঘমুক্ত সুনীল আকাশটাও যেন শীতের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। বিকেল পাঁচটা গড়ালেই পশ্চিমে ঢলে পড়ছে সূর্য। গোধূলি লগ্নের রাঙা সূর্য সবাইকে রোমাঞ্চিত করে জলদিই নামিয়ে দিচ্ছে সন্ধ্যা। শেষ রাতের হিম শীতল বাতাস কাঁটা দিচ্ছে শরীরে। তাই কাঁথা উঠছে সবার গায়েই।

কিরে কি অবস্থাদেশের এই আবহাওয়াতে রাজশাহীতেও এইবার প্রচুর পরিমাণে শীত পড়েছে কয়দিন আগেও আমরা দেখেছি এই জায়গায় যখন শীত করার কথা না তখন অনেক পরিমাণে শীত পড়েছে। এই শিট পড়ার কারণে রাতের আকাশে চলেছে খালি খালি জোসনার খেলা ভোরের আলোয় ফুটেই মাঠের সবর ধানের পাতাগুলো ভিজে উঠেছে। সূর্যের বর্ণ ছাটাই শীর্ষে ঢোকায় নেমে পড়া কাজের মত শিশুর বিন্দু গেল যেন প্রতিবিম্ব হয়ে উঠেছে সবুজ প্রকৃতির মাঝে।

কৃষকেরা এই সময়ে পাকা ধানের যে কার্যক্রম সেই কার্যক্রম চালিয়ে গেছে কৃষকেরা এই সময় পাকা ধান গুলো কেটে সিদ্ধ করে তাদের ধান থেকে চাল তৈরি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন।

কৃষকের মাঠে পাকা ধানের সোঁদাগন্ধ আর সাতসকালে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে হামাগুঁড়ি দিয়ে শীত আসছে। বাংলার অপরূপ এই প্রকৃতিতে শুরু হতে যাচ্ছে নবান্ন উৎসব। নতুন ধানের চাল, পায়েস আর পিঠাপুলিতে মেতে উঠতে যাচ্ছে কৃষকের উঠোন। কালের চাকায় ভর করে আবারও সমাগত কুয়াশাচ্ছন্ন শীত।

পদ্মাপাড়ের এই শহরে তাই এবার ভিন্ন আবহে কাটছে কার্তিক। নভেম্বরের শুরুতেই শীতের দেখা মিলেছে। যদিও আবহাওয়া অফিস বলছে, মধ্য ডিসেম্বরের আগে শীতের তীব্রতা বাড়বে না। এরপরও শীতের আগমনী বার্তায় এখনই সোয়েটার, চাদর, মাফলার বা লেপ-কম্বল নামাতে শুরু করেছেন রাজশাহীর মানুষ। অনেকে পুরোনো শীত বস্ত্র রোদে মচমচে করে শুকিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে আবার শীতের জন্য নতুন করে লেপ-তোষক বানাতে ভিড় করছেন ধুনকর পাড়ায়। খরাপ্রবণ রাজশাহীতে গরম যেমন ভয়াবহ শীতও পড়ে তেমন। তাই শহরতলিতে যখন এমন শীতের আমেজ তখন গ্রামে-গঞ্জে হেমন্তেই যেন এসে গেছে শীত। সকাল হলেই কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে সেখানে পদধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে শীতের।

পাখিদের ডানা ঝাঁপটানো শব্দ আর কিচিরমিচির ডাকে ঘুম ভাঙাছে কৃষকদের। ভোরের হালকা কুয়াশা ভেদ করে মাঠে নামছেন তারা। বাজারে নতুন আলু, শিম, টমেটো ও মুলা উঠছে। বড় আকারের শীতালো ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে ভরে উঠছে রাজশাহীর কাঁচা বাজার। তবে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দামের তেজ কমছে না। গাছিরা কোমরে রশি বেঁধে উঠে পড়ছেন খেজুর গাছে। মিষ্টি-মধুর খেজুরের রস নামিয়ে আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করছেন গুড়। ঘরে-ঘরে শুরু হয়ে গেছে নবান্নের প্রস্তুতি।

 

Leave a Comment