Diabex ট্যাবলেটটি মূলত ২ টাইপের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। Diabex ট্যাবলেট টি খাদ্য নিয়ন্ত্রন ও ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্ক টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী ও শিশুদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশিত। ডায়াবেক্স খাদ্য নিয়ন্ত্রন ও ব্যায়মের পাশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্ক টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দেশিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিডিও কলে চিকিৎসকের থেকে ওষুধ সেবনের পরামর্শ নিতে পারবেন।
ডায়াবেক্স খাওয়ার নিয়ম এবং ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে সেটাও জেনে নিতে পারবেন আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। সঠিক নিয়ম মেনে ঔষধ সেবন করাটা খুবই জরুরী। জেনে নিন কখন কিভাবে এই ওষুধটি সেবন করতে হয়।
কার্যকারিতা ও সহনশীলতার ভিত্তিতে এবং সর্বোচ্চ দৈনিক বিক্রির প্রতি লক্ষ্য রেখে মেটফরমিন এর মাত্রা ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মেটফরমিন এর দৈনিক নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে ২৫৫০ মিগ্রা. এবং ১০-১৬ বছরের শিশুদের শিশুদের ক্ষেত্রে তা ২০০০ মিগ্রা।
অন্যদিকে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে এর সর্বোচ্চ দৈনিক নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে ২০০০ মিগ্রা। বিগমেট বিভক্ত মাত্রায় খাবারের সাথে এবং সাধারণত প্রতিদিন রাতে একবার খাবারের সাথে গ্রহণ করা উচিত। মেটফরমিন কখনোই চুষে বা ভেঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। প্রারম্ভিক মাত্রা যতদুর সম্ভব কম হওয়া উচিত যাতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কাঙ্খিত অবস্থায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন প্রয়োগমাত্রা নিরুপণ করা যায় এবং সেই সাথে পরিপাকতন্ত্রের অস্বস্তিও যেন কম হয়।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: মেটফরমিন এর সাধারণ প্রারম্ভিক মাত্রা হচ্ছে ৫০০ মিগ্রা দিনে ২ বার অথবা ৮৫০ মিগ্রা. দিনে ১ বার খাবারের সাথে। প্রতি সপ্তাহে ৫০০ মিগ্রা অথবা প্রতি ২ সপ্তাহে ৮৫০ মিগ্রা. বিভক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি করে দৈনিক সর্বোচ্চ গ্রহন মাত্রা ২০০০ মিগ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ২ বার ৫০০ মিগ্রা থেকে ২ সপ্তাহ পর দৈনিক ২ বার ৮৫০ মিগ্রা. মাত্রা প্রয়োগ করে রোগীদের পর্যবেক্ষন করা যেতে পারে। দৈনিক মোট মাত্রা ২০০০ মিগ্রা. এর উপরে হলে তা রোগীদের সহনশীলতার জন্য ৩ বার বিভক্ত মাত্রায় খাবারের সাথে গ্রহণ করা যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে,, মেটফরমিন এর সাধারণ প্রারম্ভিক মাত্রা হচ্ছে প্রতিবার খাবারের সাথে ৫০০ মিগ্রা. করে দৈনিক ২ বার। মাত্রা বৃদ্ধির হার হওয়া উচিত সপ্তাহে ৫০০ মিগ্রা. করে বিভক্ত মাত্রায় দৈনিক সর্বোচ্চ ২০০০ মিগ্রা. পর্যন্ত। মেটফরমিন এর নিরাপদ ব্যবহার এবং কার্যকারিতা ১০ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
আরো কিছু তথ্য জেনে নিন কারণ ডায়াবেটিকস রোগীদের একটু বেশি সতর্ক হতে হয় নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে। ডায়াবেটিস রোগীরা যারা গর্ভবতী তাদের অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের গর্ভধারণ করা একটু ঝুঁকিপূর্ণ।প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি-বি। অধিকাংশ চিকিৎসকদের মতে গর্ভাবস্থায় ইনসুলিন দিয়েই চিকিৎসা করানো উত্তম। ডায়াবেক্স খুব প্রয়োজন ছাড়া গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা উচিত নয়।
ডায়াবেক্স ও ফুরোসেমাইড একত্রে সেবনে দীর্ঘমেয়াদী কোনো প্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। নিফিডিপিন বিগমেট এর শোষন বাড়ালেও নিফিডিপিনের উপর বিগমেট এর সামান্য প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ক্যাটায়নিক ড্রাগ যারা কিডনীর মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়, সেসব ক্ষেত্রে নিষ্কাশিত হবার সময় বিগমেট এর সাথে প্রতিযোগীতার সম্মুখিন হতে পারে।
সিমেটিডিনের ফার্মাকোকাইনেটিক বৈশিষ্ট্যের উপর ডায়াবেক্স এর কোনো প্রভাব নেই। কিছু কিছু ঔষধ যেমন থায়াজাইড এবং অন্যান্য মুত্রবর্ধক , কর্টিকোস্টেরয়েড, ফেনোথায়াজিন, থাইরয়েড প্রডাক্ট, ইস্ট্রোজেন, মুখে খাবার জন্মনিরোধক, ফিনাইটোয়েন, নিকোটিনিক এসিড, সিমপ্যাথোমিমেটিক, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার এবং আইসো সরবাইড হাইপোগ্লাইসেমিয়া তৈরী করতে পারে এবং এসব ঔষধ গ্রহণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
Diabex এটি একটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ভালো ঔষধ। সকল ঔষধ সংরক্ষণের কিছু নিয়ম রয়েছে। যেকোনো ধরনের ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিনের রুটিন ভালোভাবে তৈরি করতে হবে এবং রুটিন অনুযায়ী আহার করতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের একটাই পরামর্শ দেওয়ার আছে সেটা হল শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে নিজেদের ডায়েট তালিকা ফলো করুন। এবং নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।