শিশুদের পাতলা পায়খানার ঔষধ

শিশুদের পাতলা পায়খানার ঔষধ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন তারা একেবারে সঠিক জায়গাতে এসেছেন। এদের পাতলা পায়খানা সম্পর্কে আমাদের মধ্যে যে ভুল ধারণাগুলো রয়েছে সেই ভুল ধারণা সম্পর্কে আমরা পরিষ্কার কিছু কথা বলতে চাই সেগুলো একেবারেই বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলবো। আপনারা বড় বড় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন বড় বড় অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন কিন্তু বা বা হিসাবে শিশুর পাতলা পায়খানা ভালো করার বা পাতলা পায়খানা সম্পর্কে জানার যে বাস্তব অভিজ্ঞতা গুলো রয়েছে সেগুলো জানা অত্যন্ত জরুরী।

সবার প্রথমে খেয়াল করতে হবে শিশুর পাতলা পায়খানা কতবার হচ্ছে এটা খেয়াল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি। একটি নির্ধারিত মাত্রা পর্যন্ত শিশুর পাতলা পায়খানা চিকিৎসা বাড়িতেই করা যায় এবং এর জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন হয় কিন্তু এমন কিছু মাত্রা আছে যেগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় সেগুলোর ক্ষেত্রে সবার প্রথমে আপনার নিকটস্থ হাসপাতালে অবশ্যই খুব দ্রুত শিশুকে নিয়ে উপস্থিত হতে হবে। নিয়ন্ত্রিত পাতলা পায়খানা সম্পর্কে বলতে গেলে শিশুর যদি দিনে ৭ থেকে ১০ বার পায়খানা করে তাহলে সেটা বাড়িতে চিকিৎসাযোগ্য একটি সমস্যা।

এখানে শিশুর পাতলা পায়খানা দেখার সঙ্গে সঙ্গে যারা বাজারের ফার্মেসি থেকে পায়খানা বন্ধের ওষুধে নিয়ে আইনে শিশুকে সরাসরি খাইয়ে দেন তাদেরকে বলব এই জিনিসটা পরিবর্তন করুন এটা একেবারে ভুল কাজ। এখনো হওয়ার কারণ তার পেটে এমন কিছু জীবাণু গেছে যে জীবাণুগুলো পেটের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা নষ্ট করে দিয়েছে তাই অপেক্ষা করতে হবে সে জীবাণুগুলো পায়খানার সঙ্গে কখন পরিষ্কারভাবে বের হয়ে যাচ্ছে তার জন্য।

কিন্তু এক্ষেত্রে অনেক বাবা মা বলেন শিশু অনেক বার বদলা পায়খানা করছে এতে তার শরীরে পানি সল্পতা দেখা দিতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে স্যালাইন পানি শিশুদের সবসময় খাওয়াতে হবে। পাতলা পায়খানা অবস্থায় শিশুর মুখের সামনে সবসময় স্যালাইন পানি রাখতে হবে এবং সেটা খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে যদিও সেটা কম খায়। যদি শিশু মায়ের বুকের দুধ খায় তাহলে এই অবস্থাতে শুধু শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াবেন অন্য কিছু খাওয়াবেন না এরকম ধারণা ভুল।

যদি সম্ভব হয় তাহলে ডাবের পানি খাওয়ানো যেতে পারে এই অবস্থাতে এবং এই অবস্থাতে একেবারে প্লেন খাবার অর্থাৎ শুধুমাত্র মারি ভাত বা শুধুমাত্র নরম করা ভাত এই জিনিসগুলো খাওয়ানো যেতে পারে। এই পাশাপাশি যদি ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে তাহলে পায়খানা বন্ধের ঔষধ নয় জিংক জাতীয় ওষুধ দিতে হবে যেখানে বাচ্চাদের স্ট্যামিনা বজায় থাকে। এর পরবর্তী যদি এই ডায়রিয়া সারা দিনে না কমে বা ২-৩ দিন থেকে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৩ মাসের শিশুর পাতলা পায়খানা হলে করণীয়

এত ছোট বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে সকলের মন ভয় পেয়ে যায় কিন্তু ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই এই সময় সাধারণত বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খায় তাই এখানে সামান্য কিছু পরিবর্তন করলেই এই পায়খানা ভালো হয়ে যাবে। এখানে মূলত তিন মাসের শিশুর পায়খানা হলে সবার প্রথমে তাকে প্রচুর পরিমাণে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। দুধ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে জানো কোন ধরনের ঘাম বা এই জাতীয় জিনিস তার মুখে না যায়।

এখানে কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সম্ভব হলে জিংক জাতীয় ঔষধ এবং তার সঙ্গে প্রোবায়োটিক জাতীয় ঔষধ দিলেই আস্তে আস্তে সেই পায়খানা ভালো হয়ে যাবে। এই জিনিসগুলো মেনে চলতে পারলেই সাধারণত খুব দ্রুত পায়খানা সেরে উঠতে পারবে। আশা করছি পরিষ্কারভাবে আপনারা বিষয়গুলো বুঝতে পারলে।

 

 

 

Leave a Comment