খ্রিষ্টাব্দ শব্দটি সাধারণত কোথা থেকে এলো কিভাবে এর আত্মপ্রকাশ এই বিষয়গুলি অবশ্যই আপনাদের জানা প্রয়োজন। আপনারা জানেন যে খ্রিস্টাব্দ শব্দটি মূলত মধ্যযুগীয় ল্যাটিন শব্দ অ্যানো ডোমিনি এর পরিভাষা থেকে এসেছে যার অর্থ হল- “ঈশ্বরের বছর”। তবে প্রায় সময় আমরা এর স্থলে “আমাদের ঈশ্বরের বছর” ব্যবহৃত করে ফেলি। এই শব্দটি ল্যাটিন বাক্যাংশ অ্যানো ডোমিনি নস্ট্রি জেসু ক্রিস্টি”থেকে নেওয়া হয়েছে যার অনুদদিত বাক্য হচ্ছে আমাদের ঈশ্বর যীশু খ্রীষ্টের বর্ষ।
তাই বলা যায় যে খ্রিস্টাব্দ সাধারণত যীশু খ্রীষ্টের জন্ম থেকে শুরু যে বর্ষ গননা করা হয় সেটাকে খ্রিস্টাব্দ বলা হয়ে থাকে। এবং বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে এই খ্রিস্টাব্দ বর্ষ সব দেশেই প্রধান হিসেবেই বিবেচ্য হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব এখন যীশু খ্রিস্টের জন্ম সাল যে খ্রিস্টাব্দ সেটিকেই বর্ষ গণনায় নিয়ে থাকেন। আর বর্তমান বিশ্ব একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের কারণে সেজন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাথে সম্পর্ক দিন তারিখ মিল রাখার জন্য এই খ্রিস্টাব্দ বৎস্যই সব জায়গাতেই চালু রয়েছে। এবং বর্তমানে প্রতিটি মানুষের কাছে গুরুত্বও রয়েছে।
সাল হলো যেকোনো বৎসর গণনা সেটি হতে পারে ইংরেজি সাল যেটা খ্রিস্টাব্দ বাংলা সাল বা সন যেটিকে বলা হয় বঙ্গাব্দ এছাড়াও রয়েছে শকাব্দ হিজরী সাল ইত্যাদি। আর এইগুলি বুঝাতে সাল বলা হয়ে থাকে। আরো ছোট কথাই বলতে বলা যায় যে সাল কথার বাংলা হলো বৎসর বা বর্ষ। সাল শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি Year কে। সালের বাংলা প্রতিশব্দ হলো বছর সন বর্ষ ইত্যাদি।
অপরদিকে যদি আমরা ইংরেজি হিসেবে খ্রিস্টাব্দ কে দেখি অর্থাৎ খ্রিস্টাব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Before Christ। তাহলে আমরা এতক্ষণে খ্রিস্টাব্দ কি সে বিষয়ে বুঝলাম এবং সাল কি সে বিষয়ে মোটামুটি ভাবে ধারণা পেলাম। অর্থাৎ সাল বলতে বিভিন্ন বর্ষ কে বোঝায় সেই বছরটি হতে পারে ইংরেজি খ্রিস্টাব্দ হতে পারে বঙ্গাব্দ হতে পারে হিজরী সন অথবা আরো অন্যান্য যে সাল গণনা করা হয় অর্থাৎ বছর গণনা করা হয় সেটাকে আমরা সাল হিসেবে উল্লেখ করতে পারি।
সাল এবং খ্রিস্টাব্দের পার্থক্য
এতক্ষণ আমরা যে বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম সেখানে আমরা আলাদা আলাদা ভাবে আপনাদেরকে দেখাতে বা বোঝাতে সক্ষম হলাম যে খ্রিস্টাব্দ কাকে বলে এবং খ্রিস্টাব্দের সাথে সাল কি সে বিষয়টা। এখন আমাদের দেখাতে হবে খ্রিস্টাব্দ এবং সালের মধ্যে পার্থক্য কি সে বিষয়টি। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খ্রিস্টাব্দ এবং সালকে সমার্থক শব্দ হিসেবে দেখে থাকি। খ্রিস্টাব্দ এবং সাল আসলে সমার্থক শব্দ নয়। দুই বিষয়ে অবশ্যই আলাদা আলাদা। কারণ খ্রিস্টাব্দে এবং সাল একই অর্থে ব্যবহৃত হয় না।
যদিও আমরা খ্রিস্টাব্দের বর্ষকে কখনো কখনো সাল বলে উল্লেখ করি। কিন্তু আসলে খ্রিষ্টাব্দের তারিখ সাল বললেও সাল আসলে বছরকে বোঝায়। তাই আমরা যদিও সমার্থক শব্দের মত গুলিয়ে ফেলি তবুও সাল এবং খ্রিস্টাব্দ একই বিষয় নয় এদের ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। খ্রিস্টাব্দ কে সাল বলা যেতে পারে কিন্তু অন্যান্য সাল কখনো খ্রিস্টাব্দ হতে পারে না। তাই আপনারা মনে হয় এতক্ষণে সাল এবং খ্রিস্টাব্দ বিষয়টি কি সে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বুঝলেন বলে মনে করি।
তাই আপনারা এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এসে বারবার ভিজিট করবেন তাহলে সব ধরনের তথ্য অবশ্যই সবার আগে পাবেন বলে আমরাও আশা করি। কারন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা চেষ্টা করে যাই মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যে তথ্যগুলো প্রয়োজন আসতে পারে সেই তথ্যগুলো। তাই আপনারা সবার আগে যে কোন তথ্য জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে আসতে পারেন।
তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে বারবার এসে ভিজিট করবেন এবং আপনার প্রয়োজনের সব ধরনের তথ্য আমাদের এখান থেকে পাবেন তাহলে আমরা এবং আপনারা উভয়েই উপকৃত হব। এবং আমরা উৎসাহ বোধ করব আপনাদেরকে আরো সুন্দর সুন্দর তথ্যগুলি সঠিক তথ্য গুলি আপনাদের জন্য তুলে ধরার।