হ্যালো প্রিয় প্রথম বন্ধুগণ। আজকে জীব বিজ্ঞানের একটি অধ্যায় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলে এসেছি। আমাদের আলোচিত বিষয় হলো মানবদেহের দৃঢ় অংশকে নিয়ে। যাকে বলা হয় মানব দেহের কাঠামো। আজকে আমরা আলোচনা করব কঙ্কালতন্ত্র নিয়ে। জীববিজ্ঞান অনুসারে মানব দেহের সবচেয়ে শক্ত এবং দৃঢ় কলা কে বলা হয় কঙ্কাল। কঙ্কাল অথবা হারকে বলা হয় অস্থি। আজকে আমরা নবম ও দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান বই অনুযায়ী আপনাদের সাথে অস্থি এবং তরুণাস্তির সংখ্যাগুলো উল্লেখ করব।
সকল ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুগণ তোমরা যারা জিতবে বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চাও তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি ফলো করতে পারো। কোন অধ্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে গুগলে সার্চ করে সেটা জেনে নেওয়া সম্ভব। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে অস্থি এবং তরুণাস্তির সংজ্ঞাসহ তাদের মধ্যেকার পার্থক্য এবং অবস্থানগত দিক সকল কিছু আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সাধারণ জ্ঞান এবং বইয়ের বাইরে যদি কিছু জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য একদম উপযোগী।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি খুবই উপকারী। আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়লে আমাদের সকল ছাত্রছাত্রী বন্ধুদের অস্তি এবং তরুণাস্তিক সম্পর্কে যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আজ বাসায় আমরা আলোচনা করব অস্থি এবং তরুণাস্তির মধ্যকার পার্থক্য। প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। প্রথমে আমাদের অস্থি এবং তরুণাস্তির সংজ্ঞা জানতে হবে। যদি সংজ্ঞা ভালোভাবে না জানি অথবা সংজ্ঞা বুঝতে যদি আমাদের সমস্যা হয় তাহলে আমরা কি কোন ভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।
এজন্য জ্ঞানমূলক প্রশ্ন সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর যদি ভালোভাবে জানা থাকে তাহলে প্রয়োগ এবং উচ্চতর দক্ষতায় কোন সমস্যা থাকে না। এজন্য আমাদের সংজ্ঞা অর্থাৎ শর্ট প্রশ্ন গুলো ভালোভাবে বুঝে মুখস্ত করে নিতে হবে। আমাদের আর্টিকেলটিতে যেকোন টপিকের উপর আলোচনা করার আগে সেই টপিকের সংজ্ঞাটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যাসহকারে সংজ্ঞাটি বোঝানোর চেষ্টা করি যাতে করে আমাদের আর্টিকেল থেকে পড়ার পর সেই সংখ্যাটি আজীবন মনে থাকে এবং সেই সম্পর্কিত যে কোন প্রশ্ন যদি পরীক্ষায় আসে তাহলে খুব সহজে তার উত্তর করা সম্ভব।
তাহলে প্রথমে আমরা অস্থি এর সংজ্ঞাটি ভালোভাবে জানবো। সবসময় অস্থি কাকে বলে সেটা প্রথমে আমরা জেনে নিই।
অস্থি প্রাণী দেহের কঙ্কাল বা কাঠামো তৈরিকরে, যা যোজক কলারএকটি রূপান্তরিত রূপ। অস্থির গঠন খুবই দৃঢ় হয়। এক প্রকার জৈব পদার্থ দ্বারা অস্থির আন্তঃকোষীয় পদার্থ বা মাতৃকা গঠিতহয়, যা শক্ত ওভঙ্গুর। এর অস্থিকোষগুলো মাতৃকারমধ্যে ছড়ানো থাকে।
আমরা অস্থি কাকে বলে সেটা জানতে পেরেছি। অস্থি সম্পর্কে আমাদের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে গেছে বলে আশা করি। আজকে কি সেটা জানতে পেরেছি এবার আমরা জানবো তরুণাস্থি কাকে বলে। প্রথমে অস্থি এবং তরুণাস্তির সংজ্ঞা ভালোভাবে মুখস্ত করার পর এদের মধ্যে কার পার্থক্য আমরা একা একাই বের করতে পারব। জন্য প্রথমে সঙ্গ টা জানার প্রয়োজন খুবই।
তরুণাস্তি কাকে বলে তরুণাস্তি সংজ্ঞা টা এবার আমরা জেনে নিই।তরুনাস্থিঃ স্থিতিস্থাপক ও অপেক্ষাকৃত নরম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যোজক কলার ভিন্নরূপ কে তরুনাস্থি বলে। তরুণাস্থি পেরিকন্ড্রিয়াম নামক একটি তন্তুময় যোজক কলা নির্মিত আবরণী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। তরুণাস্থি বিভিন্ন অস্থির সংযোগস্থলে কিংবা অস্থির কিছু অংশে উপস্থিত থাকে ।
এবার আমরা অস্থি এবং তরুণাস্তি এর মধ্যকার পার্থক্য ভালোভাবে বুঝতে পারব।অবস্থানঃ অস্থি জীবদেহের অন্তঃকঙ্কাল এ অবস্থান করলেও তরুনাস্থি অবস্থান করে অস্থির সংযোগস্থলে পর্শুকার শেষপ্রান্তে, নাকে, কানে, সড়যন্ত্র প্রভৃতি স্থানে।
গঠনঃ অস্থি কঠিন ও অস্থিতিস্থাপক সংযোগ কলা কিন্তু তরুণাস্থি নরম স্থিতিস্থাপক সংযোগ কলা।
আবরণঃ অস্থি পেরিঅস্টিয়াম আবরণ দ্বারা আবৃত অপরদিকে তরুণাস্থি পেরিকন্ড্রিয়াম আবরণ দ্বারা আবৃত।মাতৃকাঃ অস্থির মাতৃকা কঠিন কোলাজেন তন্তু দ্বারা তৈরি কিন্তু তরুণাস্থির মাতৃকা ও অকঠিন কন্ড্রিন দ্বারা গঠিত ।কোষঃ অস্থি অস্টিওব্লাস্ট কোষ দ্বারা কিন্তু তরুনাস্থি কন্ড্রিওব্লাস্ট কোষ দ্বারা গঠিত।আশা করি অস্থি এবং তরুণদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন আপনারা। এদের মধ্যে কার পার্থক্য ব্যাখ্যা সহ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।