আপনারা যদি ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিন এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে আমরা মনে করি যে এখানকার এই তথ্যগুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে। যখন আপনারা মোটর চালিত যানবাহন কিনতে চান তখন কোন কোন মোটর যেমন ডিজেলের ইঞ্জিন দেয়া থাকে আবার কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আমরা এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনাদেরকে এটাই বোঝাতে চাইবো যে ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিনের মধ্যে পার্থক্য বুঝে নিয়ে সেটা অনুযায়ী নিজেরাই বুঝতে পারবেন যে কোন ইঞ্জিন আপনাদের জন্য ব্যবহার করতে সুবিধা হবে।
তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত কোন বিষয় উল্লেখ না করে সরাসরি পার্থক্যের দিকে চলে গেলাম এবং আপনারা এখান থেকে মনোযোগ সহকারে পড়তে শুরু করুন। আপনারা যদি ডিজেল ইঞ্জিন এবং পেট্রোল ইঞ্জিনের পার্থক্য সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে বলব যে ডিজেল ইঞ্জিনের সিলিন্ডার শুধু বাতাস গ্রহণ করে থাকে বলে সে ক্ষেত্রে কার্বোরেটরের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিন জ্বালানি এবং বাতাস উভয় মিলিয়ে গ্রহণ করে থাকে এবং এক্ষেত্রে কার্বুরেটর এর মাধ্যমে সকল ধরনের উপাদানই গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
ডিজেল ইঞ্জিনিয়ার ক্ষেত্রে যদি স্থান কম হয় অথবা তার যদি সংকুচিত বাতাসের সৃষ্টি করে তাহলে প্রজ্জ্বলনের ক্ষেত্রেও ইঞ্জেক্টরের মাধ্যমে জ্বালানি ইঞ্জেক্ট করার সিস্টেম রয়েছে। অন্যদিকে নিয়ে পেট্রোল ইঞ্জিনের সংকুচিত মিশ্রণে বৈদ্যুতিক স্পার্কের মাধ্যমে প্লাগ প্রজ্বলিত করার সিস্টেম রয়েছে। তাছাড়া সহজ একটা পার্থক্য হল যে জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ইঞ্জিনের ডিজেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং পেট্রোল ইঞ্জিনে পেট্রোল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া ডিজেল ইঞ্জিনিয়ার আপনারা বাতাস ও জ্বালানির অনুপাত নির্দিষ্ট ভাবে পাবেন না কিন্তু পেট্রোল ইঞ্জিনের দিকে যদি লক্ষ্য করেন তাহলে সেখানে বাতাস ও জ্বালানির অনুপাত থাকবে ধ্রুব। তাছাড়া সেখানে বাতাস ও জ্বালানির অনুপাত হবে ১৫ অনুপাত 1।
যদি তখন কাজের জন্য এটা ব্যবহার করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বা বৈদ্যুতিক কোন ধরনের প্রয়োজন হয় না অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিনে দহন কাদের জন্য স্ফুলিঙ্গের প্রয়োজন হয়। আমরা যদি ডিজেল ইঞ্জিনের কথা ভাবি তাহলে সেখানে সংকোচন চাপ হতে পারে 40 থেকে 45 কেজি পর্যন্ত এবং অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিনের সাত থেকে দশ কেজি পর্যন্ত সংকোচন চাপ হতে পারে। আর সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ডিজেল ইঞ্জিনের সংকোচন চাপ ৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে এবং পেট্রোল ইঞ্জিনের ২০০ থেকে ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যেই থেকে যায়।
ডিজেল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে তাপীয় দক্ষতা হয়ে থাকে ৩২ থেকে ৩৮ পার্সেন্ট এর ভেতরে। অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিনের এই দক্ষতা হয়ে থাকে ২৫ থেকে ৩২ পার্সেন্ট এর ভেতরে। ডিজেল ইঞ্জিন অনেক সময় স্থির প্রেশার সাইকেলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং পেট্রোল ইঞ্জিন স্থির ভলিউম সাইকেলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যখন ডিজেল ইঞ্জিনের সাক্সেশন এর সময় হয় তখন বাতাস সিলিন্ডারে প্রবেশ করতে পারে। অন্যদিকে পেট্রোল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে সাক্সেশন এর সময় বাতাস ও জ্বালানি মিশ্রিত হয়ে একত্রে সিলিন্ডারের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ পাই।
পেট্রোল ও ডিজেলের মধ্যে পার্থক্য
ডিজেল ইঞ্জিনে যদি তেলের কথা বলা হয় তাহলে খুবই নিম্নমানের তেল ব্যবহার করে চালানো যায় এবং পেট্রলেজের ক্ষেত্রে উচ্চমানের তেল ব্যবহার করতে হয়। আরপিএমের দিক থেকে ডিজেল ইঞ্জিনে অপেক্ষাকৃত কম আরপিএম পাওয়া যায় এবং পেট্রোল ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ আর প্রেম পাওয়া যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। ডিজেল ইঞ্জিন সব সময় ওজনে ভারী এবং পেট্রোল ইঞ্জিন সবসময় ওজনে হাল্কা হয়ে থাকে। তাছাড়া ডিজেল ইঞ্জিনে কর্মক্ষমতা বেশি থাকে এবং পেট্রোল ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কম থাকে।
ডিজেল ইঞ্জিন ও পেট্রোল ইঞ্জিন এর মধ্যে কোনটি ভাল
বিভিন্ন দিক থেকে আপনারা যদি এখানকার এই তথ্যগুলো পড়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে আপনার জন্য কোনটা সুবিধা জনক। তুলনামূলক ডিজেলের দাম কম এবং পেট্রোলের দাম বেশি হওয়াতে আপনারা নিজেদের পরিচালিত যানবাহনের স্বাস্থ্য যাতে ভালো থাকে সেই বিবেচনা করে ডিজেল ইঞ্জিন নিবেন নাকি পেট্রোল ইঞ্জিন নিবেন তা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে অথবা এরকম ধরনের প্রশ্ন করতে আপনাদের কমেন্ট বক্সে আপনাদের মূল্যবান মতামত থেকে জানিয়ে দিন।