জারণ সংখ্যা ও যোজনীর মধ্যে পার্থক্য

আপনারা যদি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং আপনাদের পাঠ্য বইয়ে যদি জারণ সংখ্যা ও যোজনীর বিষয়গুলো উঠে আসে তাহলে অবশ্যই সে বিষয়ে আপনাদেরকে ধারণা অর্জন করে নিয়ে পার্থক্য দেখাতে হবে। অনেক সময় বইয়ের ভেতরে আমাদেরকে যোজনী অথবা জারণ সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়ে থাকলেও এগুলো সম্পর্কে কোন পার্থক্য দেয়া হয়ে থাকে না। আর যখন পার্থক্য লিখবেন তখন অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে একটা সঙ্গে আরেকটা যুক্তিসঙ্গতভাবে পার্থক্য দেখাতে হবে। আপনাদের সামনে যোজনী এবং জারণ সংখ্যা সম্পর্কিত পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম এবং এর মাধ্যমে আপনারা পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন।

যোজনী এবং জারণ সংখ্যা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করে নিয়ে তারপরে আমরা পার্থক্যের দিকে এগিয়ে যাব। তাই আপনারা যারা এ সম্পর্কে একেবারেই ধারণা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে, যোজনী হলো এমন এক ধরনের সামর্থ্য যেটার মাধ্যমে অনু গঠনকালে এক পরমাণুর সঙ্গে অন্য পরমাণু সংযোগ স্থাপন করতে পারে অথবা একটি সঙ্গে আরেকটি পরমাণু সংযুক্ত হতে পারে। অর্থাৎ অনু গঠন করার সময় একটি পরমাণু যখন ওর অন্য একটি পরমাণুর সঙ্গে যুক্ত হবে এবং এই যুক্ত হওয়ার সামর্থকে যোজনী বলা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে জারণ সংখ্যা সম্পর্কে যারা জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমরা তার সংজ্ঞা প্রদান করছি। তাই জারণ সংখ্যা হল এমন একটা সিস্টেম যেটার মাধ্যমে যৌগ গঠন করার সময় এখানকার মৌল যত সংখ্যক ইলেকট্রন বাতিল করে দিতে পারবে এবং ধনাত্মক আয়ন উৎপন্ন করতে পারবে সেটাকে বোঝানো হয়ে থাকে। আবার এক্ষেত্রে ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়ন উৎপন্ন করার সিস্টেমও চালু থাকতে পারে। তাহলে এখান থেকে আমরা এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়ার পরে এখন আপনাদের উদ্দেশ্যে পার্থক্য তুলে ধরব।

যোজনী ও জারণ সংখ্যা এক নয় কেন

যোজনী এবং জারণ সংখ্যা সম্পন্ন আলাদা দুটি বিষয় এবং এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলে এক নয়। একটা পরমাণু থেকে আস্তে আস্তে অনুগঠনের ক্ষেত্রে সামর্থ্য হিসেবে কাজ করে থাকে এবং অন্যটি কোন কিছু গ্রহণ করা অথবা কোন কিছু বর্জন করার ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে এখন আপনারা পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করে নিন।

যোজনী ও জারণ সংখ্যা মধ্যে পার্থক্য লিখ

উপরের দিকে সংজ্ঞাগত পার্থক্য প্রদান করা হয়ে থাকলেও এখন আপনাদের জন্য আলাদা পার্থক্য তুলে ধরব। যখন কোন মৌল অপর মৌলের সঙ্গে যুক্ত হবে তখন সেই যুক্ত হবার ক্ষমতাকে যোজনী বলা হবে। অন্যদিকে ইলেকট্রণ আদান প্রদানের যে সংখ্যা রয়েছে সেক্ষেত্রে যৌগ গঠনে যে অংশগ্রহণকৃত মৌলের কাজ রয়েছে সেটাকেই জারণ সংখ্যা বলা হয়ে থাকে। সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে যোজনী সাধারণত স্ত্রীর ভূমিকা পালন করে এবং মৌলের পরিবর্তনশীল যোজনী হিসেবে কাজ করে থাকে এবং তার পূর্ব থেকে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে ভিন্ন ভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের সময় জারণ এর মান স্থির না হয়ে ভিন্ন হয়ে থাকে এবং এক্ষেত্রে সংখ্যাগুলো বা পরিমাণগুলো আলাদা নির্দেশনা দিয়ে থাকে। যোজনী সব সময় ধনাত্মক ভূমিকা পালন করে থাকলেও জারণ সংখ্যা ধনাত্মক বার ঋণাত্মক উভয় ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনারা উপরের উল্লেখিত পার্থক্য জেনে নিতে পারে ভালো করলেন। আরো কিছু পার্থক্য রয়েছে এবং তার ভেতরে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য গুলো তুলে ধরলাম।

যখন মৌলের যোজনী সব সময় পূর্ণ সংখ্যা বা শূন্য হতে পারে তখন জারণ সংখ্যা পূর্ণ সংখ্যা হতে পারে আবার ভগ্নাংশও হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে জারণ সংখ্যা শূন্য হতে পারে। সাধারণত নিষ্ক্রিয় গ্যাসের যোজনী শুন্য হয়ে থাকে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে জারণ সংখ্যার বিষয়গুলো ভগ্নাংশ হতে পারে অথবা পূর্ণ সংখ্যা হতে পারে। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা যোজনী সম্পর্কে যেমন জানতে পারলেন তেমনিভাবে অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে আপনাদের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে সেটা জেনে নিতে সুবিধা হল। এ প্রসঙ্গে কারো কোনো জানার থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করতে পারেন।

Leave a Comment