খুলনা হলো বাংলাদেশের দক্ষিণের একটি বিভাগীয় শহর। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় এই শহরটি খুলনা জেলার জেলা শহর এবং বিভাগের শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম নগরের পরে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর বা নগর হিসেবে খুলনা শহরকে দেখা হয়। খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা দিয়ে প্রবাহিত রুপসা নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশকে প্রাথমিকভাবে যে চারটি মহানগরী হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছিল এই চারটি মহানগরীর মধ্যে খুলনা মহানগরী একটি।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীনতম এবং ব্যস্ততম বন্দর গুলোর মধ্যে খুলনা নদী বন্দর অন্যতম। খুলনা নদী বন্দরের কারণেও খুলনা মহানগরী অনেকটা পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের যে সকল শহরগুলোকে শিল্পোন্নত শহর এবং শিল্পনগরী বলা হয় তার মধ্যে খুলনা অন্যতম। অর্থাৎ যেহেতু খুলনা নদী বন্দর রয়েছে তাই এই নদী বন্দরের কারণে খুলনা একটি বাণিজ্যিক শহর হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করেছে। এই শহরটি রুপসা ভৈরব এবং ময়ূর নদীর তীর জুড়ে অবস্থিত। প্রাচীন সব শহরের পাশ দিয়ে যেহেতু বড় বড় নদী প্রবাহমান তাই খুলনার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
বিভাগীয় শহর হিসেবে খুলনা
খুলনা বিভাগে মোট দশটি জেলা রয়েছে। এই দশটি জেলার মধ্যে খুলনা জেলা অন্যতম এবং খুলনা জেলার জেলা শহর এবং বিভাগীয় শহর এই দুইটি শহরের মিলনস্থল হল খুলনা শহর। অর্থাৎ বাংলাদেশে যে কয়টি প্রাচীন শহরের নাম করা যায় তার মধ্যে দেখা যায় যে খুলনা শহর অন্যতম প্রাচীন শহর। বাংলাদেশের যে প্রাথমিকভাবে চারটি মেগাসিটি হিসেবে বিভক্ত করা হয়েছিল। চারটি মেগাসিটি হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম খুলনার রাজশাহী। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের প্রথম যে
মেগাসিটি সেই প্রথম মেগাসিটির মধ্যেও খুলনা রয়েছে। তাই বিভাগের শহর হিসেবে খুলনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি আমাদের বাংলাদেশের বড় বড় শহর গুলোর মধ্যে খুলনা একটি অন্যতম শহর হিসেবেই দেখা হয়। খুলনা শহর বাণিজ্যিক নগরী হওয়ার কারণে এখানে বেশ বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাণিজ্য পার্ক প্রাণকেন্দ্র হল খুলনা বন্দর। খুলনা বন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি করা হয়। আর এই জন্য খুলনা শহর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিক শহর হিসেবেও গড়ে উঠেছে। এই বড় শহরের ছবি এখন দেখব।
খুলনা শহরের ছবি
খুলনা শহরের একটি আলাদা পরিচিতি রয়েছে বিশ্বে। আর তা হল ইউনেস্কো থেকে স্বীকৃতি প্রাপ্ত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন যা খুলনা জেলায় অবস্থিত। তাই সুন্দরবন এবং খুলনা দুটি প্রায় একই সমর্থক শব্দরূপে পৃথিবীর সকলের কাছে উচ্চারিত হয়। আর এই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হলে খুলনা দিয়ে যেতে হয় এজন্য সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার খুলনা বলা হয়। বর্তমানে পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব হয়েছে মাত্র দুই শ বারো কিলোমিটার।
১৯৮৪ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি তারিখে কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত রেলওয়ে পরিষেবা চালু করে দুই দেশের সরকার। এর পূর্বে অর্থাৎ ১৯১২ সালে এই খুলনা অঞ্চল থেকে নদীপথে ঐতিহাসিক স্টিমার চলাচল শুরু হয়। অর্থনৈতিক উন্নতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে খুলনা কে বাংলার কুয়েত সিটি হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখান থেকে খুলনা শহরের ছবি দেখতে চান তারা অবশ্যই তা দেখতে পাবেন।
তবে খুলনা শহরের ছবি দেখে শুধু হয়তো আপনি ঈদ কার্ড পাথর বা বড় বড় বিল্ডিং অথবা নদীর ছবি দেখতে পাবেন। কিন্তু আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে খুলনা শহর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এবং ঐতিহাসিকদের তথ্য সেই তথ্যগুলো আপনারা পেয়ে যাবেন। তাই খুলনা শহরের ছবির সাথে সাথে যদি খুলনা শহর সম্পর্কে আপনাকে জানতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই কথাগুলো ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে দেখে যেতে হবে। তাহলে আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করেন তাহলে সব ধরনের তথ্য সবার আগে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন।