দুর্ভিক্ষ এর সাথে বর্তমান যুগের মানুষজন এবং এখনকার শিশু ভবিষ্যতের বাংলাদেশী নাগরিক তারা কোনভাবেই পরিচিত না। তাই বাংলাদেশের ইতিহাস এবং অতীতের ঐতিহ্যবাহী এবং স্মরণীয় বিষয়গুলো জানাটা খুবই দরকার। দুর্ভিক্ষ একটি এমন ভয়াবহ অবস্থা যেখানে মানুষ খাদ্যের অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। দিনের পর দিন না খেয়ে খেয়ে থাকতে হয়েছে। এখনকার মানুষ যতটা বিলাসিতা করছে তারা কি এই দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে কিঞ্চিত পরিমাণ ধারণা রাখে?
দুর্ভিক্ষ এর যন্ত্রণা এবং দুর্ভিক্ষের সময়কালীন মানুষদের দুর্দশা বোঝার ক্ষমতা হয়তো এখনকার মানুষদের নেই।
এখনো পৃথিবীতে অনেক দেশ রয়েছে যেখানে মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করছে। তাই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে মানুষ বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে তাদের এই দুর্ভিক্ষ নামক ভয়াবহ মর্মান্তিক অবস্থা সম্পর্কে জানা অবশ্যই প্রয়োজন।বিশেষ করে দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে জানার আগে যদি দুর্বৃক্ষেত ছবি মানুষ দেখে তাহলে বুঝতে পারবে যে দুর্ভিক্ষ আসলে কতটা ভয়াবহ।দুর্ভিক্ষ একটি ভয়াবহ অবস্থাকে বলা হয়। যখন কোন দেশে বা কোন বিরাট এলাকা জুড়ে খাদ্যের ব্যাপক ঘাটতি পরে তখন মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করে। খাদ্যের অভাবে যখন প্রাণী জগৎ অচল হয়ে পড়ে তখন সে অবস্থাকে বলা হয় দুর্ভিক্ষ।
অতিরিক্ত খরা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফসল উৎপাদন না হলে এরকম ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি নয়। তবে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সকল দেশ এখন অনেক উন্নত হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার কারণে এইরকম মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। কিন্তু অতীতে মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে অনাহারে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাংলাদেশে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত দুর্ভিক্ষের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত।এ সময়ে বৃদ্ধ এবং শিশুরা খাদ্যের অভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। দিনের পর দিন মানুষ খাদ্যের অভাবে গাছের লতাপাতা সেদ্ধ করে খেয়েছে। খাদ্য অর্থাৎ শস্যদানের অভাব এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার পানির অভাব কেউ দুর্ভিক্ষ বলা হয়। মানুষ পান করার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাইনি।
তাদের দুর্দশা এর চিত্র দেখলে আমরা বুঝতে পারব যে তখনকার সময় মানুষ কতটা কষ্ট সহ্য করেছিল। দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুবরণ করেছে দেশের অর্ধেক জনগণ। খাদ্যের অভাবে জীবিত কঙ্কালে পরিণত হয়েছে এক একজন ১৭৭০ সালে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। সময়টি বাংলা ১১৭৬ সাল হওয়ায় এই দুর্ভিক্ষ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে পরিচিত হয়। অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সমগ্র দেশজুড়ে চরম অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। তখন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এতটাই অচল হয়ে পড়েছিল যে মানুষ দুবেলা দুমুঠো খাদ্যের যোগান দিতে অক্ষম ছিল। খাদ্যের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।
এখন নতুন এবং আধুনিক জগতের মানুষজন হয়তো সেই সব অতীতের দুর্ভিক্ষের সঙ্গে পরিচিত নয়। তাদের ধারণা নেই যে খাদ্যের অভাব কেমন হয় বা তারা জানে না অনাহারের কষ্ট কতখানি। তাই এখনকার মানুষ অর্থাৎ আমাদের নবজাতকদের কাছে সেটা জানানো খুবই প্রয়োজন। দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের করুন দৃশ্যের কিছু ছবি আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন শিল্পাচার্য এর অঙ্কিত দুর্ভিক্ষের ছবি সহ দুর্ভিক্ষের নানা ধরনের ছবি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন। ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন আসলে দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের কষ্টের দিনগুলো কেমন ভাবে অতিবাহিত হয়েছিল।
দুর্ভিক্ষের ছবি:-
দুর্ভিক্ষ ( মানুষজাতির জন্য অভিশাপ) হল কোন এলাকার ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি। সাধারণত ফসলহানি, যুদ্ধ, সরকারের নীতিগত ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণে দুর্ভিক্ষ সংগঠিত হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গবাদিপশুর মড়ক, পোকাড় আক্রমণ ইত্যাদি কারণেও দুর্ভিক্ষ সংগঠিত হয়।
দুর্ভিক্ষের কিছু পিকচার ডাউনলোড
দুর্ভিক্ষ বা মহামারী এমন একটি অবস্থা যেটা মানুষ জাতি এবং সম্পূর্ণ প্রাণিজগতের জন্য মারাত্মক। যদিও বর্তমানকালে মানুষজন মহামারী এবং দুর্ভিক্ষ সঙ্গে পরিচিত নয়। কিন্তু ২০২০ সালে সংঘটিত মহামারী ভাইরাস
(কোভিড -১৯ )এর প্রকোপ এর ফলে সারা বিশ্বের মানুষ মহামারী অর্থাৎ দুর্ভিক্ষ সঙ্গে অনেকটাই পরিচিত।তারপর তো মনের মানুষ অনুভব করতে পারে যে দুর্ভিক্ষ যখন কোন দেশে বা কোন এলাকায় দেখা দেয় তখন মানুষের অবস্থা কতটা তারপর তো মনের মানুষ অনুভব করতে পারে যে দুর্ভিক্ষ যখন কোন দেশে বা কোন এলাকায় দেখা দেয় তখন মানুষের অবস্থা কতটা করুন হয়ে যায়।