ইসলাম ধর্মের বর্ণনা অনুযায়ী জমজম কূপ হলো-নবী ইব্রাহিম তার স্ত্রী হাজেরা ও শিশু পুত্র ইসমাইলকে মরুভূমিতে রেখে আসার পর ইসমাইলের পায়ের আঘাতে এর সৃষ্টি হয়ে থাকে বা সৃষ্টি হয়। মসজিদুল হারামে যারা এসে থাকে তারা এই জমজম কূপ থেকে পানি পান করে থাকেন। ৫০০০ বছর ধরে এখান থেকে পানি উত্তোলন করে পান করা হয়। এবং উল্লেখ করা যেতে পারে যে প্রায় 5000 বছর ধরে এই গ্রুপ থেকে একটানা পানি এখান থেকে পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য এই গ্রুপকে অর্থাৎ জমজম
কূপকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম কূপ বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাহলে আমরা বলতে পারি যে এই জমজম কূপ বিশ্বের সবচাইতে প্রাচীন সক্রিয় ক্রুফ হিসেবে এখনো সেটি রয়েছে। এবং এই কূপকে অনেকটাই অলৌকিক কূপ বলে ইসলাম ধর্মের অনুসারী সকল ব্যক্তিগণ মেনে থাকেন। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করে থাকেন এই কূপের পানি পান করলে বিভিন্ন ধরনের জটিল অসুখ পর্যন্ত সেরে যায়। তাই যারা প্রতিবছর পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে এই মসজিদুল হারামে ভ্রমণ করে থাকেন তারা প্রত্যেকেই সঙ্গে করে এই জমজম কূপের পানি নিয়ে যান।
পানি খাওয়ার দোয়া
আমরা ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা সকলেই বিশ্বাস করি যে, ইসলাম ধর্ম হল একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এখানে সকল কিছুই রয়েছে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাত্রিতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সময় যে সকল কাজ করবো সকল কাজের দোয়া রয়েছে। তাই আজকে আমরা প্রথমে দেখব যে পানি খাওয়ার দোয়া কি। পানি খেতে হলে আসলে কোন দোয়া করতে হবে। এবং জমজমের পানি খেতে হলে কোন দোয়া পাঠ করতে হবে।
এ সকল নানান কিছু নিয়ে এখন আপনাদেরকে অবগত করাবো। আপনারা এখন আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন যে জমজম কূপের পানি খেতে হলে কোন দোয়া পাঠ করে সেই জমজম কূপের পানি খেতে হয়। আপনারা প্রথমেই আগে দেখে নেবেন যে পানি খাওয়ার দোয়া কি।পানি পান করার শুরুতে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তে হয়
بِسْمِ اللّه الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ
বাংলা উচ্চারণঃ- বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
পান করা শেষ হলে একইভাবে নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে হয়
اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ جَعَلَه عَذْبًا فُرَاطًا بِرَحْمَتِه وَ لَمْ يَجْعَلْه مِلْحًا اُجَاجًا بِذُنُوبِنَا
বাংলা উচ্চারণঃ- আল্হামদুলিল্লাহীল্লাজী জা‘আলাহু আ‘জবান ফুরাতান ওয়া লাম ইয়াজআ‘ললাহু মিলহান উজাজান।
এখন আমরা দেখতে পারি যে জমজম কূপের পানি খাওয়ার দোয়া কোনটি। কারণ আপনারা জানেন যে ইসলামের অর্থাৎ মুমিনদের প্রত্যেকটি কাজ অবশ্যই ইবাদত পূর্ণ। ইসলামের মহানবী হযরত মুহাম্মদ যে সকল কাজগুলো তার জীবদ্দশায় করে গেছেন তা অনুসরণ করা প্রত্যেকটি মুমিনদের জন্য ফরজ বলে মনে করা হয়। তাহলে এখন আমরা দেখব যে জমজম কূপের পানি খাওয়ার দোয়া কোনটি সেই বিষয়টি।
পানি পানের পর নিচের দোয়াটি পড়ুন:
اللّٰهُمَّ إِنِّيْٓ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَآءً مِنْ كُلِّ دَآءٍ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান নাফিয়াও ওয়া রিযকাও ওয়াসিআও ওয়াশিফাআম মিন কুল্লি দায়ি।
অর্থ: “হে আল্লাহ! তোমার কাছে চাচ্ছি আমি ফলপ্রদ জ্ঞান, সচ্ছল জীবিকা, আর সকল রোগ থেকে আরোগ্য।”
পানি পান করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতঃ কিছু পানি মাথা ও মুখমন্ডলে ছিটিয়ে দিন। এটা করা সুন্নাত।
তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন যে জমজমের কূপের পানি যদি আমরা খেতে চাই বা পানি যদি পেয়ে যায় তাহলে খাওয়ার পূর্বে আমাদের কোন দোয়াটি পড়ে পানি পান করতে হবে। কারণ আপনারা জানেন যে ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান জীবনের প্রতিটি ধাপে কখন কোন দোয়া পড়ে ধাপ ফেলতে হবে সব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।
তাই পূর্ণাঙ্গ যদি ইসলাম মানেন তাহলে অবশ্যই প্রতিটি কাজের পূর্বে যে দোয়াগুলি রয়েছে সেই দোয়া পাঠ করে কাজ করাটাই ভালো এবং এভাবে কাজ করলে অবশ্যই আপনি কাজের সফলতা পাবেন বলে আশা করা যায় বা বিশ্বাস করা যায়। এ ধরনের সকল তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন।