ভিটামিন ডি এর ঔষধের নাম

যখন আমাদের আশেপাশে থাকা খাবারের মাধ্যমে আমরা ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি না তখন একজন চিকিৎসক আপনাকে ভিটামিন ডি ঔষধ খেতে বলবেন। কয়েক বছর আগে এই ভিটামিন ডি এর এই ঔষধ গুলোর ব্যবহার খুব একটা না থাকলেও বর্তমানে অনেক বেশি ব্যবহার দেখা যাচ্ছে এবং একজন রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যে কেউ এই ভিটামিন ওষুধ খেতে পারেন। এ ভিটামিন ঔষধ খাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কোন ওষুধ অতটুকু খেতে হবে আর এর জন্যই একজন রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

যদি সঠিক সময় সঠিক পরিমাণে ঔষধ খাওয়া না হয় সেটা শরীরের জন্য ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসতে পারে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব ভিটামিন যুক্ত ঔষধের নাম এবং এ জিনিসটা যদি আমরা জানতে পারি তাহলে সেখান থেকে সেই ঔষধের ব্যবহার সঠিক পরিমাপ ইত্যাদি সম্পর্কেও আমরা জানতে পারবো। যখন একটি ঔষধ বাজারজাতকরণ করা হয় তখন শুধুমাত্র যে একটি কোম্পানি সেই ঔষধ বাজারের নিয়ে আসেন বিষয়টি এমন নয় বাজারের শীর্ষ কোম্পানিগুলো চেষ্টা করে পর্যায়ক্রমে সেই ওষুধগুলো বাজারে নিয়ে আসতে। এখন আমরা বেশ কয়েকটি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার আছে তারপরেও ঔষধের উপর নির্ভরশীলতা আমাদের বাড়ছে।

বাজারে সাধারণত যে ভিটামিন গুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোতে ভিটামিন ডি থ্রি ব্যবহার করা হয় এবং ভিটামিন ডি থ্রি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হিসেবে বিবেচিত।

3D
Al-D3
Aristo D3
Calcirol
Cholevit
D-1000
D-Balance

উপরে উল্লেখ করা ওষুধগুলো বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধ কিন্তু প্রায়ই ওষুধের কার্যকারিতা কি। বিভিন্ন ক্যাপসুল এর আবার ভাগ রয়েছে এবং কোন রোগীর জন্য কতটুকু ক্যাপসুল খাওয়া উচিত সেটা নির্ধারণ করতে পারেন একজন চিকিৎসকায় অবশ্যই সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত হবে না।

ভিটামিন ডি ঔষধ খাওয়ার মাত্রা

আমরা মাত্র সম্পর্কে যতটুকু জানতে পেরেছি সেখানে বিভিন্ন রোগের জন্য বিভিন্নভাবে ভিটামিন ডি৩ ব্যবহার করা হয়। ভিটামিন ডি থ্রি এর ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৪০ হাজার আয়ুর ৭ সপ্তাহ পর্যন্ত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে খাওয়ানো যেতে পারে রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। এছাড়াও আরো অন্যান্য রোগের জন্য এটা অন্যান্য ভাবে ব্যবহার করা হয় যেমন মেন্টেনেন্স থেরাপির মাত্রা দৈনিক হতে পারে ১৪০০ আইয়ু থেকে ২০০০ আইয়ু। আবার আরো অন্যান্য সমস্যা রয়েছে আবার মেইনটেনেন্স খারাপের ক্ষেত্রেও তিন থেকে চার মাস পর এর পরিমাণ পরিবর্তন করতে হবে।

প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার আয়ু অর্থাৎ প্রতি চার সপ্তাহে বিশ হাজার আয়ু করে সেবন করা যেতে পারে তবে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরী। শিশুদের ক্ষেত্রেও এটা ব্যবহার করা যাবে তবে অবশ্যই বয়স সর্বনিম্ন 12 বছর হতে হবে।

১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে যারা এই ঔষধ ব্যবহার করবেন তাদের সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে একজন রেজিস্টার প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া কখনোই কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। সঠিক মাত্রা জানাটা অত্যন্ত জরুরি এবং সঠিক মাত্রা জেনে ওষুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

ভিটামিন ডি ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত ভিটামিন বি থ্রি যে সকল সাপ্লিমেন্ট মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং যেটা মানুষ খেয়ে থাকেন তাদের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে ক্ষুধা মন্দা বা অবসন্নতা সৃষ্টি হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়ার মতন সমস্যা তৈরি হতে পারে।

মাথাব্যথা থেকে শুরু করে কষ্টকাঠিন্য বা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া বা বহুমূত্র মতন সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা যদি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং ওষুধ পরিবর্তন করে চেষ্টা করতে হবে পুনরায়।

 

 

Leave a Comment