আমরা মুসলিম। আমরা আল্লাহর বান্দা। আল্লাহর দেখানো পথে চলতে হবে। আল্লাহর প্রশংসা করার জন্যই আল্লাহ আমাদের জন্মদান করেছেন। এই পৃথিবীতে খাল- বিল, নদী- নালা, পাহাড়- পর্বত, চন্দ্র -সূর্য, যা কিছু রয়েছে সুন্দর সবকিছুই আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। আল্লাহ তাআলা আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পৃথিবীর সুখ ভোগ করার পাশাপাশি আল্লাহর প্রচার করার জন্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্ম দিয়েছেন তাই এটা অনিবার্য যে আমাদের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আমরা এই ইহলোকে যা যা করব বড়লোকে আল্লাহর কাছে হিসাব দিতে হবে।
আল্লাহ কবুল করেছেন যে তার প্রত্যেকটি বান্দা তার জীবন দশায় নেক কাজকর্ম করবে, জায়েজ এবং নাজায়েজের ভেদাভেদ জ্ঞান থাকতে হবে। আমাদের এহলোক যদি সুষ্ঠুভাবে যাপন করতে পারি তাহলেই বড়লোকে আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হবো। আল্লাহর নির্ধারিত জান্নাত এবং জাহান্নাম। এই দুইটি ভোগ করার জন্যই আমাদের এই মানব জীবন। এই মানব জীবনের কৃতকর্মই নির্ধারণ করবে যে আমরা জান্নাতবাসী হব নাকি জাহান্নামবাসী।
আমরা মুসলিম ধর্মের মানুষ মুসলিম প্রধান দেশে বসবাস করি। তাই মুসলিম সম্পর্কে বিভিন্ন বাণী আমরা প্রচার করব এটাই স্বাভাবিক। আমাদের ধর্মের বাণীকে আমরা বিশ্ব দরবারে প্রতিফলিত করতে চাই। আজকে আমরা দুই সিজদার দেওয়ার মাঝের ছবিগুলো এই আর্টিকেলে পেয়ে যাব। এখান থেকে ডাউনলোড করে আমরা বিভিন্ন গ্রুপ এবং নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া আইডিতে শেয়ার করব। আমাদের শিশু সন্তানদের ইসলাম ধর্মের বাণী অনুযায়ী গড়ে তোলার চেষ্টা করব।
ইসলাম ধর্মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম। তাই শিশুকাল থেকে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আমাদের জীবন দশায় কখন মৃত্যু আসবে আমরা কেউ বলতে পারি না। আমাদের আল্লাহ আমাদের জন্য কতটুকু হায়াত নির্ধারণ করেছে সেটা আমরা কেউ জানিনা। এজন্য শিশুকাল বলে আল্লাহর প্রশংসা করা থেকে দূরে থাকলে হবে না। শিশুকাল থেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে এবং আল্লাহর গুনোগান করতে হবে।দুই সিজদার মাঝে দোয়া রয়েছে। নামাজের অন্যান্য দোয়ার মতো এই দোয়াটিও সুন্নত। তবে এ সময় দোয়া পড়ার হুকুম নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতে এই দোয়াটি মুস্তাহাব। এটি নামাজের ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত নয়।
নামাজ অর্থাৎ আল্লাহর প্রশংসা। নামাজে বসে আল্লাহকে উপলব্ধি করার মুহূর্ত এক অপরূপ মুহূর্ত। পুরো নামাজি আল্লাহের কাছে পৌঁছায়। নামাজে বসে আপনি আপনার যেকোন পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিতে বাধ্য। একজন নামাজী ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহ বলেছেন একজন ব্যক্তির নামাজে বসে যদি তার কষ্ট আমার কাছে কবুল করে তাহলে আমি তার কষ্ট অবশ্যই লাভ হবে। একজন নামাজী ব্যক্তি যদি নামাজে বসে আপনার দেওয়া কষ্টের জন্য আল্লাহর কাছে কান্না করে তাহলে সেই কান্নার জবাব আল্লাহ তাকে দেবে। তাই একজন নামাজী ব্যক্তি সর্বশক্তিমান। আল্লাহ বলেছেন যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে সেই আমার অতি প্রিয়। সে ব্যক্তি মানসিক শান্তির সাথে জীবন যাপন করতে পারবে।
নামাজের প্রত্যেক রুকনে দোয়া, তাসবিহ, তাহলিলের মধ্যে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে চায়। এ সব দোয়া ও জিকির কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকেও রয়েছৈ আল্লাহ তাসবিহ এবং দোয়া। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দোয়াহজরত ইবনে আব্বার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বলতেন। দোয়াটির বাংলা উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াহদিনি, ওয়া আফিনি, ওয়ারযুকনি। (মুসলিম, মিশকাত)অর্থ : হে আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করুন, আমাকে রহম করুন,
আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে শান্তি দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।হজরত হুজায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে এ দোয়াটি পড়তেন।আল্লাহর গুনোগান ছাড়া আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের কোন গতি নেই। আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। আল্লাহর দেখানো পথে চলতে হবে তাহলে জীবনের সার্থকতা নিশ্চিত। কারণ মুসলিম ধর্ম পৃথিবীর একটি শ্রেষ্ঠ ধর্ম এবং এই ধর্মের রচিত প্রত্যেকটি বাক্য অমৃতের সমান।