যদি কানের ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যাথা সারানোর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে ভালো হয়ে গেলে সেটা খুবই ভালো ভূমিকা পালন করে এবং যদি কোন ভাবেই ভালো না হয় সেই ব্যথা তীব্র হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে কানের ঔষধ বাংলাদেশ সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আপনারা খুব সহজেই তা জেনে নিয়ে সেই ওষুধ কিনে সেবন করলে আশা করি সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন ধরনের অসুখের সম্পর্কে আমরা ওষুধের নাম গুলো জানিয়ে দিয়ে থাকি এবং সতর্কতা জানিয়ে দিয়ে থাকে বলে সেগুলো সঠিক নিয়ম মেনে আপনারা ব্যবহার করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে মানুষজন বিভিন্ন ধরনের অসুখে অসুস্থ হয়ে থাকলে ধৈর্য ধারণ না করে সরাসরি ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন কোন অসুখের ক্ষেত্রে ব্যথা অনুভূত হয় তখন সেটা মানুষ সহ্য করতে না পারে সরাসরি ওষুধ কিনতে বাজারে চলে যাই। তবে ইন্টারনেটের যুগে আপনারা যদি মনে করেন এই সময় ওষুধের নাম ইন্টারনেট থেকে জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী দোকান থেকে কিনবেন তাহলে হয়তো কম দামে কেন যেতে পারে।
কারণ ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললে তারা নিজেদের মতো করে প্রেসক্রিপশন করবে এবং তারা নিজেদের মতো করে আপনাদের ঔষুধ ধরিয়ে দিয়ে বিল দিতে বলবে।তবে এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যে আপনি যদি নিজের মত করে ডাক্তারি করেন এবং এ বিষয়ে যদি আপনার কোন জ্ঞান না থাকে তাহলে খুবই সমস্যার একটা বিষয়। তাই আপনাদের সব সময় জানিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে যে ওষুধের নাম জেনে নিয়ে শুধু যে সেটা ব্যবহার করবেন এবং পরবর্তীতে এটার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে আমাদের এই তথ্যগুলো কখনোই দায়ী থাকবে না।
ডাক্তারেরা একটা মানুষের বয়স তার শরীরের ওজন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে অথবা অন্য কোন অসুখ রয়েছে কিন্তু তার ওপরে নির্ভর করে ওষুধ প্রদান করে। তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে কোন ঔষধ ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। আর যদি এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করতে চান তাহলে সেটা অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যবহার করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে নিজেরাই যদি ডাক্তারি করেন এবং সে ক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনাদের হবে।
কানের ব্যথার ঔষধের নাম
কানের ভেতরে আপনারা কোনো কারণে যদি কোন কিছু ভেতরে ঢুকিয়ে থাকেন অথবা কানের ভেতরে যদি কটনবার ইউজ করেন তাহলে অবশ্যই সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চারা এগুলো করেন এবং এগুলো করার পরে অনেক সময় কানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। জোরে কোন শব্দ শোনার কারণে অথবা কোন আঘাত জনিত বিষয়ের কারণে কানে যদি ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে আপনারা এই ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন। কানের ব্যাথার ঔষধের ক্ষেত্রে নর-ডিছ ৪০০ এমজি অথবা ৬০০ এমজির ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কানের ইনফেকশনের ঔষধ
উপরের উল্লেখিত সমস্যার ভিত্তিতে আপনারা শুধু সেই ঔষধ যে ব্যবহার করবেন তা নয় বরং তার সঙ্গে আরও অন্যান্য ওষুধ লাগবে। তাই বয়স অনুযায়ী অথবা সমস্যার কথা অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে এ বিষয়গুলো খুলে বললেই তারা আপনাকে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে। কানে ব্যথার কারণ অথবা কানে কতটা ব্যথা প্রাপ্ত হয়েছে সে বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে ডাক্তারেরা সঠিক প্রেসক্রিপশন এর মাধ্যমে এগুলো প্রদান করে থাকে বলে সেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সঠিক ইফেক্ট পড়ে।
কানের পুঁজ এর ওষুধ
যদি কানের ভেতরে পুজ জমা হয়ে থাকে এবং কান পেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা কেমন পরিমাণে হচ্ছে তার ওপরে নির্ভর করে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান করা হয়। তাছাড়া সমস্যার উপর নির্ভর করে কানে এন্টিবায়োটিক ড্রপ প্রদান করা হয়ে থাকে এবং যদি বয়স ভেদে এটার সমস্যা আরো বেশি পরিলক্ষিত হয় তাহলে নাকের ড্রপ অথবা এন্টিহিস্টাসিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করা উচিত এবং সকল ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি সতর্কতা মেনে চলা উচিত।