কান ব্যাথার ঔষধ

যদি কোন কারনে আপনার কানের ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে সেটা কমানোর জন্য হয়তো আপনাকে ওষুধ সেবন করে রাখতে পারে অথবা ঘরোয়া পদ্ধতিতে এটা আপনারা করতে পারেন। কানে যদি হেডফোন ব্যবহার করে থাকেন অথবা অন্য কোন কারণে যদি কানে আঘাত লাগে তাহলে সেই আঘাত থেকে হয়তো প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি হবে। কিন্তু আপনি যখন এ সকল বিষয় থেকে পরিত্রাণ পেতে চাইবেন এবং কানের ব্যাথার ঔষধ পেতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাকে সেই ওষুধের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

যারা সব সময় অথবা কোন ধরনের ব্যথা অনুভূত হলে সরাসরি ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে যান তাদেরকে এই ঔষধ সেবন করা থেকে কিছুটা কমাতে হবে। কারণ প্রত্যেকটা ওষুধেরই কিছু না কিছু সাইড ইফেক্ট রয়েছে এবং আমরা যদি এই ঔষধ সেবন করি তাহলে দেখা যাবে যে ভবিষ্যতে এটার ভোগান্তি আমাদেরকে পোহাতে হবে। তাই কোন কারণে যদি আপনার কান ব্যথা হয় তাহলে সর্বপ্রথমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর এই ব্যথা যদি আপনারা একেবারে সহ্য করতে না পারেন তাহলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিভিন্ন কারণে আমাদের কানের ব্যথা হয়ে থাকে এবং কানের ব্যথা যদি হয়ে থাকে তাহলে আর দেরি না করে সেটার সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। অনেক সময় কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘুমানোর কারণে কানের ব্যথা হতে পারে।আবার কোন একটা আঘাতের কারণে ও কানের ব্যথা হতে পারে। তাই কানের ব্যথা হলে আপনারা যারা মনে করেন এটা আর সহ্য করা যাচ্ছে না অথবা কানের ব্যথা হওয়ার কারণে আপনারা যারা সমস্যার ভেতরে আছেন তাদেরকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে হবে।

তবে আপনারা যদি কানের ব্যাথার ব্যাপারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে চান এবং ধৈর্য সহকারে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেতে চান তাহলে সেটা অনেক ভালো হবে। উভয় ক্ষেত্রে আমরা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিচ্ছি বলে এটা আপনাদের জন্য বুঝতে সুবিধা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী আপনাদের কানের ব্যথার চিকিৎসা করতে সুবিধা হবে। এই পোষ্টের মাধ্যমে কানের ব্যাথার ঔষধের ব্যাপারে আমরা যদি আপনাদেরকে জানিয়ে দিই তাহলে সেটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে এবং সে অনুযায়ী আপনারা কানের ব্যথা সারিয়ে ফেলতে পারবেন।

কানের ব্যথা হলে কমানোর উপায়

কানের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরে যদি অলিভ অয়েল থেকে থাকে তাহলে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগবে। দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এর সাথে ঘরে থাকা রসুনের দুই কোয়া থেতলে নিয়ে আপনারা সেটাকে একটু আগুনে হিট করবেন। অর্থাৎ অলিভ অয়েলের সঙ্গে যখন রসুনের রস পুরোপুরি ভাবে ইটের কারণে একত্রিত হয়ে যাবে তখন সেটা যতদূর সহ্য করা যায় ঠিক ততটাই গরম কানের ভেতরে দুই ফোঁটা তেল দিতে হবে। তাছাড়া কানের চারিপাশ দিয়ে একটু মেসেজ করে দিলেই সেটা অবশ্যই ভালো ফলাফল এনে দিবে।

কান ব্যথা এন্টিবায়োটিক

যারা কানের ব্যথা একেবারে সহ্য করতে পারছেন না তাদেরকে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার পূর্বে আমরা নাক কান গলা বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ করার কথা বলব। আপনার এই সমস্যা অনেক প্রকট সেহেতু ডাক্তারেরা আপনার কানের বর্তমান অবস্থা দেখে এবং এই ঘটনার উৎস জেনে সে অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট প্রদান করবে। এক্ষেত্রে যদি এন্টিবায়োটিক প্রদান করার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার আপনাদেরকে এন্টিবায়োটিক দিবে। তাই ইন্টারনেট থেকে এন্টিবায়োটিক এর নাম জেনে নিয়ে সেটা ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই।

কান ব্যথা হলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম

কান ব্যথা হলে যদি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম জানতে চান তাহলে বলব যে সাধারণত হোমিওপ্যাথিকের ওষুধের দোকানদার নাম প্রদান করে রোগীর কাছে ওষুধ প্রদান করে না। অর্থাৎ আপনি ডাক্তারের কাছে গেলে সমস্যার কথা খুলে বলবেন এবং তারা আপনাকে সেই অনুযায়ী ঔষধ প্রদান করবেন। ওষুধের গায়ে কোন লেভেল দেওয়া থাকে না অথবা ওষুধের গায়ে কোন নাম দেওয়া থাকে না বলে এখান থেকে নাম জানা সম্ভব নয়। তাছাড়া হোমিওপ্যাথির বিভিন্ন ক্যাটাগরি থাকার কারণে কোন ডাক্তার কি ধরনের ওষুধ ব্যবহার করছে তা বিস্তারিত আলোচনার একটি বিষয়। ধন্যবাদ।

Leave a Comment