অনেকের রয়েছে খাবারে রুচি থাকে না। অর্থাৎ যে কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করে না। ভেতর থেকে অর্থাৎ শরীরের ভেতর থেকে খাবারকে না বলে দেয়। বিশেষ করে কিশোর কিশোরী এই বয়সে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা খেতে চায় না। আবার অনেককে দেখা গেছে যে তারা খেতে কোন অসুবিধা নেই। তাই আমাদের আজকে জানার বিষয় হল কোন ভিটামিন খেলে আমাদের রুচি বাড়বে। অর্থাৎ খাবারের রুচি যদি হয় খিদা যদি লাগে তাহলে যদি আমরা খাবার খেয়ে থাকি বা খেতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের শরীরের সব কিছুর সমস্যার সমাধান হবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই।
আর যদি খাবার খেতে না পারি তাহলে শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেবে। আর আপনারা জানেন যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতির কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে।তাই সবাইকে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য উচিত সব ধরনের ভিটামিন গ্রহণ করা। এই সব ধরনের ভিটামিন যদি আমরা খেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল বা অন্যান্য খাবার যেগুলি আমরা দৈনন্দিন খেয়ে থাকি সে খাবারগুলোকে যথাযথভাবে গ্রহণ করা। কোন এক রকম খাবার আমাদের দেহের সব ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে না।
তাই আমাদের উচিত সব ধরনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য অবশ্যই সব ধরনের খাবারগুলোই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা। সব ধরনের খাবার গুলো যদি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে না পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব পড়বে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কমে যায় তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন রোগ এসে শরীরে বাসা বাঁধবে। তাই আমাদের উচিত হবে আমরা যেন সব ধরনের খাবার খেতে পারি এবং সেই খাবার খাওয়ার জন্য যেন আমাদের রুচি থাকে। কারণ যখন খাবার ভেতর থেকে চায়না তখনই আসলে খাবারের রুচি থাকে না।
ভেতর থেকে চাইলে অবশ্যই খাওয়া যায়। এখন আমাদের দেখতে হবে এই কোন ভিটামিন আমরা যদি খায় তাহলে আমাদের খাবারের রুচি টা বেড়ে যাবে। কারণ মানুষকে বাঁচতে হলে অর্থাৎ সুস্থভাবে বাঁচতে হলে খাবারের প্রয়োজন অপরিসীম। আর যেহেতু খাবারের মাধ্যমেই ভিটামিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাই ভিটামিন কে গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই খাবার খেতে হবে। এখন খাবার গ্রহণ করার জন্য আমাদের দেখতে হবে যে কোন ভিটামিন গুলো বেশি করে খেলে আমাদের খাওয়ার রুচি বাড়বে। তাহলে চলুন আমরা দেখি যে কোন কারণে কোন ভিটামিন গুলো খেলে আমাদের রুচি বাড়তে পারে। সাধারণত কোন ভিটামিন খাবারের রুচি বাড়ায় না।
তবে একটা বিষয় রয়েছে যে ফলিক এসিড বা ফলেট ভিটামিন কিছুটা হলেও আপনার মুখের রূপ রুচি বাড়াবে। তাই যেসব খাবারে এই ফলিক এসিড বা ফলের জাতীয় খাবার বা ভিটামিন থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা সেই খাবারগুলো খেতে পারেন। মেরিলান্ট মেডিকেল সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ফলিক এসিড মস্তিষ্কের ক্ষুদা কেন্দ্রে বা এপি টাইট সেন্টার কে উজ্জীবিত করতে পারে। এখন আমাদের দেখতে হবে যে এই ভিটামিন পেতে হলে আমাদের কি খেতে হবে।
সাধারণত গারো পাতাবহুল সবজি যেমন শাক সরিষা বাধাকপি বিট বীজ জাতীয় শস্য ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে এই ভিটামিন পাওয়া যায়। এছাড়াও কমলার রস এবং কলিজাতে এই ভিটামিন পাবেন। এছাড়া শাকসবজি গোটা ফলমাল যেমন বাদাম ইত্যাদিতে এই পরিমাণ বা এ জাতীয় খাবারগুলো সবচাইতে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন এতক্ষণে যে কোন খাবারগুলো খেলে বা কোন ভিটামিন খেলে আপনাদের রুচি বাড়ায়। আপনারা সাধারণত ভিটামিনের জন্য রুচি বাড়ানো কিছু কিছু খাবার আছে সে খাবার গুলোর জন্য রুচি বাড়ে তাই কোন ভিটামিন খেলে রুচি বাড়বে সেটি অবশ্যই ঠিক নয়। তাই কোন ধরনের খাবারগুলো খেলে আপনার না মুখের রুচি হতে পারে সেই খাবারগুলো সম্পর্কে এতক্ষণে আলোচনার মাধ্যমে তা আপনারা বুঝে নিতে পারলেন।