২০২৪ সালে এসে আপনারা যারা নতুন নতুন ইমোশনাল স্ট্যাটাস বাংলাতে সংগ্রহ করতে চাইছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের ইমোশনাল স্ট্যাটাস এখানে প্রদান করলাম। যাদের ভেতরে ইমোশন অনেক বেশি এবং অল্প কথাতেই যাদের চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে তারা এ ধরনের ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করার ভিত্তিতে সকলকে ইমোশন সংক্রান্ত কথাবার্তা জানিয়ে দিতে পারেন। তাছাড়া ইমোশন যে কতটা খারাপ জিনিস অথবা ইমোশনের কারণে আপনি যে কষ্টটা পাচ্ছেন সেটা যদি অন্য কেউ বুঝতে পারে তাহলে হয়তো সেই ব্যক্তি সেই পথে পা বাড়াবে না।
বর্তমান সময়ে মানুষজন ইমোশনের চাইতে বাস্তবতার দিকগুলো বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাছাড়া বাস্তবিক জীবনে আপনি যত বেশি ইমোশনাল হবেন ততটাই আপনাকে লোকজন দুর্বল ভাবতে থাকবে। তাই আপনার যদি ভেতরে ইমোশন অনেক বেশিও থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা ইমোশনাল না হয়ে বাস্তববাদী হয়ে উঠুন। তবে এই দুনিয়ার যদি কোন নির্দিষ্ট মানুষের প্রতি আপনি ইমোশনাল হয়ে থাকেন অথবা সেই মানুষের থেকে যদি আপনি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে তার কাছে ইমোশনাল হওয়ার চাইতে নিজের সৃষ্টিকর্তার কাছে ইমোশনাল হয়ে উঠুন।
কারণ আপনি যখন অন্য মানুষের প্রতি আবেগ দেখাবেন অথবা অন্য মানুষের কারণে কষ্ট পেয়ে সেটা যদি আপনার চোখের পানি ঝরাতে পারে তাহলে সেই পানি না ঝরিয়ে সৃষ্টিকর্তার জন্য আপনি যে ভুল করেছেন সেগুলোর কারণে চোখের পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এই দুনিয়াটা এতটাই নিষ্ঠুর যে কোনো মানুষ আপনার দুঃখ কষ্টে আপনার পাশে থেকে সান্তনা দেওয়ার পরিবর্তে আপনি আরও কিভাবে কষ্ট পাবেন সে বিষয়গুলো খুব ভালো করেই জানে। সুতরাং কারো কাছে আবেগ প্রকাশ না করে আপনারা যদি শক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন এবং নিজের জীবনের যাবতীয় দুঃখ-কষ্টকে একমাত্র সৃষ্টিকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে দেখবেন যে মনের ভেতরে এক অন্য ধরনের প্রশান্তি চলে এসেছে।
জীবনে চলার পথে আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঘটে এবং সেই মানুষের সঙ্গে যখন আমাদের ঘনিষ্ঠতা হয় তখন আমরা হয়তো তাদের প্রতি নির্ভরশীলতা অনুভব করি। কিন্তু কোন কারণে যদি সৃষ্টিকর্তার বিপরীতে গিয়ে আপনি কোন কাজ করেন অথবা কোন মানুষ যদি আপনাদেরকে কষ্ট দিয়ে থাকে তাহলে মনে হয় যে এই পৃথিবীর সকল কিছু তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে এবং জীবনের কোন অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই আপনারা সকল দিক থেকে চিন্তামুক্ত থাকার জন্য সৃষ্টিকর্তার সাথে নিয়মিতভাবে ইবাদত করার মধ্য দিয়ে যোগাযোগ রাখুন।
কারণ সৃষ্টিকর্তাই একমাত্র জায়গা যেখানে আমরা মনের কথাগুলো বলে দুঃখবোধের জায়গা নিয়ে গেলেও মনের ভেতরে শান্তি নিয়ে ফিরে আসতে পারি। তবে যাই হোক এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা যারা ইমোশনাল স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে এসেছেন এবং যারা বাংলাতে এই স্ট্যাটাস গুলো প্রদান করবেন বলে ভাবছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে স্ট্যাটাস গুলো কপি করে নিতে পারেন।
তাছাড়া যারা নিজেদের ছবির ক্যাপশন হিসেবে ইমোশনাল স্ট্যাটাস প্রদান করতে চাইছেন তারাও এই স্ট্যাটাস গুলো ক্যাপশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনা ভিত্তিতে আপনাদের যেমন ইমোশনাল হতে নিষেধ করা হচ্ছে তেমনিভাবে আপনারাই ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে নিয়ে হয়তো পোস্টের রিচ বাড়ানোর জন্য এগুলো করতে পারেন। আশা করি এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন আসলে এগুলো মানুষের দুর্বলতার জায়গা থেকে একটা মানুষকে কতটা কষ্ট দিয়ে থাকে।
১. “সময় এবং উভয়ই যখন একসাথে আঘাত করে, তখন প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে পাথর হয়ে যায়।”
২. “তুমি যা নও তার জন্যে ভালোবাসার থেকে তুমি যা আছো তার জন্যে ঘৃণিত হওয়া অনেক ভালো
৩. “সত্য অল্প সময়ের জন্য কষ্ট দেয়, কিন্তু মিথ্যা আজীবন কষ্ট দেয়।”
৪. “ সবসময় হাসতে থাকো করুন কেউ দেখতে পাবে না যে তুমি ভিতরে কতটা ভেঙে পড়েছো ।”
৫. “সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিদায় সেইগুলি যা কখনও বলা হয় নি এবং কখনও ব্যাখ্যা করা যায় না…”
৬. “সময় আসলে হৃদয় নিরাময় করে না। এটি কেবল হৃদয়কে সমস্ত ব্যথা ভুলে যেতে সাহায্য করে ।”
৭. “কখনও কখনও তুমি যাকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করো সেই ব্যক্তি তোমায় হয়তো সবচেয়ে কম বিশ্বাস করে!”
৮. “সুখ অল্প সময়ের জন্য ধৈর্য দেয়, কিন্তু ধৈর্য চিরন্তন সুখ নিয়ে আসে।”
৯. “কেউ হৃদয়ের মধ্যে থাকলে হৃদয়টা হালকা লাগে, কিন্তু কেউ ছেড়ে গেলে খুব ভারি হয়ে যায় ।”
১০. “কাউকে পছন্দ করতে এক মিনিট লাগে, কাউকে ভালোবাসতে এক ঘণ্টা, কিন্তু কাউকে ভুলতে সারাজীবন লাগে।”
১১. “আমি হয়তো খারাপ কিন্তু কখনো ভালো হওয়ার ভান করি না ।”
১২. “যে তোমার চোখ পড়তে পারে তার কাছে কখনই কিছু লুকাবেন না কারণ যে তোমার চোখ পড়ে সে সবসময় তোমার হৃদয় পড়তে পারদর্শী
১৪. “প্রেম হল এমন একটি ইমোশন যা অনেকের দ্বারা অনুভব করা হয় তবে অল্প কিছুর দ্বারাই উপভোগ করা হয়।”
১৫. “আমার নীরবতা আমার বেদনার আরেকটি শব্দ …”
১৬. “তুমি যদি তার অনুভূতিকে সম্মান করতে না পারো তবে তুমি তার নীরবতার যোগ্য নও।”
১৭. “আমি আর মানুষের উপর নির্ভর করি না কারণ আমি হতাশ হতে-হতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।”
১৮. “কখনোই ধরে নেবে না যে কেউ তোমাকে তোমার মাধুর্য দেখে পছন্দ করে। কখনও কখনও, যখন তারা বিরক্ত হয় যাবে তখন তুমি কেবল তাদের একটি বিকল্পমাত্র হয় থেকে যাবে ।”
১৯. “তুমি যখন তোমার গল্প বলতে পারো এবং এটি তোমাকে কাঁদাচ্ছে না, তখনই তুমি জানবে যে তুমি সুস্থ হয়ে গেছো।”
২০. “যখন অন্য কেউ কারও জীবনে তোমার জায়গা নিতে শুরু করে তখন এটি সত্যিই কষ্ট দেয়।”
তাই জীবনে যেখানেই থাকুন না কোন বাস্তববাদী হয়ে উঠুন এবং যেখানে সেখানে ইমোশনাল না হয়ে আমরা যদি সকল কিছু ধৈর্য ধারণ করে মোকাবেলা করতে পারি তাহলে আমাদের জীবনের জন্য তা খুব ভালো হবে। আর এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা ইমোশনাল স্ট্যাটাস গুলো ডাউনলোড করে নিলে বুঝতে পারবেন ইমোশন কতটা খারাপ জীবনের এবং এটার মাধ্যমে একটা মানুষ কতটা ভেঙে পড়তে পারে
ধন্যবাদ।