বাঙালি জাতির চেতনা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ। যা বাঙালি জাতির অস্তিত্বের সঙ্গে আজীবন মিশে থাকবে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে উচ্চারিত সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি কি ছিল সেটা একবার দেখে নিন।
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম”
“রক্ত দিয়েছি রক্ত আরো দেবো প্রয়োজনে নিজের সর্বস্ব দিয়ে যুদ্ধে ঝাপে পড়বো।
বাংলাকে স্বাধীন বাংলাদেশে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ”।।
আপনারা আপনাদের ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলুন। নিজেদের কাছে যা আছে তা নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। বাঙালি জাতিকে সকল শোষণ এবং শাসন থেকে মুক্ত করতে নিজেদের সবকিছু দিয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ুন।
রেসকোর্স ময়দানে তৎকালীন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সেখানে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেছিল ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। আজকে আমাদের এই উপস্থাপনায় সকল বাঙালি বন্ধুদের স্বাগতম। স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অথবা যেকোনো সরকারি সমাবেশ অনুষ্ঠানে এই ৭ই মার্চের তাৎপর্য তা আজও আলোচিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জাতির পিতা। বাঙ্গালীদের স্বাধীন বাংলাদেশে উপহার দিয়েছেন তিনি । আল্লাহ সকলের সৃষ্টিকর্তা কিন্তু এই বাংলাদেশের সৃষ্টিকর্তা শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন অর্থাৎ শিশুদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানিয়ে তুলতে হবে। শিশুদের মনে যাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি উদয় হয় তার দিকে নজর রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে অনুচ্ছেদ গুলো আপনারা ফেসবুকে পোস্ট করতে পারবেন এবং বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই অনুচ্ছেদ গুলো পাঠ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে বাচ্চাদের বঙ্গ বন্ধুর অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানাতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর রচিত বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক গল্প অনুচ্ছেদ আকারে তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে।।
আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আজ আমরা ৭ মার্চের ভাষণের অনুচ্ছেদ গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর রচিত অনুচ্ছেদ গুলি পাঠক বন্ধুরা পড়ে গর্বিত বোধ করবেন।
১// ১৯৭১ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বর্তমান রেসকোর্স ময়দান লক্ষ লক্ষ নিরীহ বাঙালি সমাবেশে সর্বকালের সেরা বাঙালি কর্তৃক উচ্চারিত সেই রণধ্বনি ছিল বাঙ্গালীদের অনুপ্রেরণার চাবিকাঠি।
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙ্গালীদের ক্ষুব্ধ করে তোলেছে। বাঙ্গালীদের রক্তে জাতীয়তাবাদের চেতনা জাগিয়ে তুলেছেন বঙ্গবন্ধুর উচ্চারিত সকল ধনী। বঙ্গবন্ধু পথপ্রদর্শক হিসেবে নিরীহ বাঙ্গালীদের সব সময় গাইড করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় বাঙালি জাতির নিজের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
কারণ বাঙালি জাতি দরিদ্র। দরিদ্র এ বাঙালি জাতির কাছে ছিল না কোন অস্ত্র। ছিল না কোন পূর্ব পরিকল্পনা। ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরীহ ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। পচিশে মার্চের সেই কালরাত্রি ছিল বাঙালি জাতির ভয়াবহ এক কলঙ্কিত দিন। নিরস্ত্র বাঙালি জাতি বিনা অপরাধে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। তারপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনায় দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ চলে।
এই যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে সহস্র বাঙালি ছাত্রনেতা এবং সর্বস্তরের বাঙ্গালিরা। কৃষক -শ্রমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গন এবং ছাত্র-ছাত্রী সকলে ঝাপিয়ে পড়েছেন স্বাধীনতার। ১৯৭১ সালের পটভূমিতে সমগ্র বাঙালি জাতি নিজের অবদান রেখে গেছেন আমাদের এই গৌরবময় স্বাধীনতায়।
তাদের অবদান বাঙালি জাতি কোনদিন ভুলবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি আমরা সব সময় শ্রদ্ধা প্রদর্শন করব। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরকম বাঙালি জাতির সকল অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের অনুচ্ছেদ পাঠ করা হয় এর মাধ্যমে নব নতুনের মাঝে বীর যুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা উদয় হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। যুদ্ধের পরবর্তী বাংলাদেশ ছিল একটি ধ্বংসস্তূপ। তখন বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপ বাংলাদেশকে পুনঃনির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। বৈদেশিক বিভিন্ন আর্থিক সহায়তার সাহায্যে বাংলাদেশ আবার আস্তে আস্তে সচল হতে শুরু করেন।
সেই গৌরবময় স্বাধীনতা আজ বাঙালি জাতি অনুভব করছে। স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রে বসবাস করার জন্য আমরা সব সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব। বঙ্গবন্ধু আমাদের এই স্বাধীনতা উপহার দিয়ে বাঙালি জাতের মাঝে চির অমর হয়ে থাকবে।