শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। আপনি যদি একেবারে শারীরিক পরিশ্রম না করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করতে হবে। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে-মেয়েদেরকে খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে তাহলে তাদের শরীর সুস্থ থাকবে। অনেক সময় দেখি আমরা ছোট বয়সে কিডনি বা শরীরের অভ্যন্তরে অন্যান্য যে কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে যায়।
তাতে করে বোঝা যায় ছেলেমেয়েদেরকে খেলাধুলার সুযোগ দেওয়া হয় না বলেই বর্তমান সময়ে বেশি মনে করা হয়। এবং একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে শারীরিক পরিশ্রমগুলো করতে হয়। আর যদি পূর্ণ বয়স্ক মানুষ নিয়মিত ভাবে শারীরিক পরিশ্রম না করতে পারে বা না করার প্রয়োজন হয় বা সুযোগ না পায় তাহলে অবশ্যই তাকে শারীরিক ব্যায়াম অর্থাৎ শরীর চর্চা করে যেতে হবে।
তা না হলে যেহেতু প্রতিদিন খাবার খাওয়া হচ্ছে আর সেই খাবারগুলো ক্যারোটি সম্পূর্ণভাবে হয় যদি না করি বিভিন্ন রোগে শরীর ভরে যাবে। আর সুস্থ শরীরে যদি একবার কোনো অসুখ ঢুকে পড়ে তাহলে আস্তে আস্তে একের পর এক শরীর রোগের বাসা হয়ে যাবে। তাই আমাদের সব সময় নিজের শরীরকে ভালো রাখার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সে কাজগুলো করতে হবে।
আমরা শুধু টাকা বা অর্থ করে আয় করার জন্য বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে এতে শরীর কোথায় গেল সে বিষয়টি কখনো খেয়াল করি না। যখন যেখানে যা পাচ্ছি সেটাই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে কোন রকমের জীবন ধারণ করে শুধু টাকা পয়সা রোজগারের দিকে তাকিয়ে থাকি। এতে করে একটি বিষয় আপনারা খেয়াল করবেন। টাকা রোজগারের জন্য নিজের স্বাস্থ্যকে তোয়াক্কা না করে অর্থ ইনকাম করে যাচ্ছি কিন্তু একসময় এই শরীরকে রক্ষা করার জন্য আপনার অর্জিত সব টাকাগুলো ওষুধ অথবা ডাক্তারের পেছনে খরচ করতে হবে।
এতে করে লাভের লাভ কিছুই হয় না। তাই সুস্থ থাকতে শরীরের বিভিন্ন দিক চিন্তাভাবনা করে আপনাকে সেই ভাবে পথ চলতে হবে। প্রথমে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার গুলো খেতে হবে জীবন ধারণের জন্য। আমার নিয়ম করে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রত্যেকদিন শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করার সুযোগ যদি না থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিতভাবে দিনের কোন একটি সময়ে অবশ্যই ব্যায়াম করতে পারেন।
অর্থাৎ আপনি যদি অন্যান্য ব্যায়াম করতে না পারেন তাহলে আপনাকে নিয়মিতভাবে প্রত্যেকদিন ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা হাঁটতে হবে। হাটা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে শরীরে প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল থাকে। আপনার প্রতিদিনের অতিরিক্ত ক্যালরি শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলতে হলে অবশ্যই ব্যায়ামের বিকল্প নেই। তাই কিডনি লোফার হাট ইত্যাদি রাখার জন্য সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম করে যেতে হবে।
এজন্য আজকে দেখব আমরা কিডনিকে ভালো রাখার জন্য কোন ব্যায়ামগুলো করতে হবে। কারণ কিডনি হলো শরীরের অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি যদি একবার নষ্ট হয় অথবা কোন রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে মানুষের মন এবং শরীর জুটি আস্তে আস্তে ভেঙ্গে পড়বে এবং মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে। কিডনি ভাল রাখতে যে ব্যায়ামগুলো করবেন তার মধ্যে রয়েছে বজ্রাসন।
আর এই বজ্রাসনটি হল যোগ স্বাস্থ্যে বর্ণিত একটি বিশেষ ধরনের আসন। বজ্রেশন আপনি দুই ভাবে করতে পারেন একটি লোগো বজ্রেশন আরেকটি সুপ্ত বজ্রাসন । অর্থাৎ প্রথমে কোন সমতল জায়গায় আপনাকে হাটু মরে বুঝতে হবে। এ সময় হাটো জোড়া অবস্থায় থাকবে এবং আপনার পায়ের গোড়ালির ওপর নিতম্বের অবস্থান হবে। এ সময় পায়ের পাতা হাঁটু থেকে হাটু পর্যন্ত মাটির সাথে লেগে থাকবে।
এরপর আপনার দুই হাত হাঁটুর উপস্থাপন করুন। এ সময় হাতের তালু হাঁটুর দিকে ফেরানো থাকবে। এবার ধীরে ধীরে পায়ের পাতা দুটো দুদিকে সামান্য পরিমাণে সরিয়ে দিন। এই অবস্থায় মেরুদন্ড ও হাত সোজা রেখে তিরিশ সেকেন্ড পর্যন্ত অবস্থান করুন। এ সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক অবস্থায় রাখুন। এই ব্যায়ামগুলো করলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন।