কারো যদি বুকে কফ জমা থাকে এবং সেটা নিয়ে যদি অনেক সমস্যায় পড়ে থাকেন তাহলে আর দেরি না করে দ্রুত এটার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। কফ জমে থাকার সাথে যাদের অতিরিক্ত কাশি হয় তারা হয়তো অনেক কষ্টে থাকেন এবং ওই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান। মেসেজ করে যাদের বৃদ্ধ বয়স তারা এ ধরনের সমস্যায় পড়লে ঘুম নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক সময় এই সমস্যা থেকে আস্তে আস্তে আরো প্রকট সমস্যার আকার ধারণ করে। তাই কারো যদি কাশি অথবা বুকে কফ জমে থাকে তাহলে নিজের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে আশা করি আপনাদের অনেক সুবিধা হবে।
যাদের অল্পতেই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা রয়েছে তাদেরকে সব সময় ঠিকঠাকমতো চলা উচিত। সেই সাথে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত যাতে করে অল্পতেই ঠান্ডা বা জ্বর সর্দি কাশি না লাগে। বিশেষ করে আপনারা যদি তিন বেলা লেবু খেতে পারেন অথবা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে পারেন তাহলে ঠান্ডা জাতীয় এ ধরনের সমস্যা গুলো থেকে খুব সহজেই মুক্ত রাখতে পারবেন। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যদি প্রতিনিয়ত খান তাহলে এটা আপনাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা প্রদান করবে এবং ঠান্ডা থেকে রক্ষা করবে।
আর কেউ যদি এ সকল বিষয়গুলো না মানেন তাহলে আপনাদেরকে অসুখ হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। অল্প বয়সীদের ক্ষেত্রে কফ জমলে সেটা খুব সহজে নিরাময় হয়ে থাকে এবং যাদের বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে অনেক ভোগান্তি হয়ে থাকে।আপনার বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে এবং কোন রোগ যদি একবার ধরে বসে তাহলে সেটা ভালো হতে অনেক সময় লাগে। বিশেষ করে বৃদ্ধদের যদি এ ধরনের সমস্যা হয় তাহলে আর দেরি না করে খুব দ্রুত এটার চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে না হলে এই সমস্যা বেশি হয়ে গেলে তখন সমাধান করাটা অনেক কষ্টকর।
তাই কফ দূর করার ওষুধ প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে বাজারে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে। আপনারা যদি কফের সাথে কাশি নির্মূল করতে চান তাহলে বাজারে গিয়ে স্কয়ার কোম্পানির এডোভাস সংগ্রহ করতে পারেন। bromhexine cough syrup নামেও সিরাপ রয়েছে যেটা দিয়ে আপনারা কফ সারিয়ে ফেলতে পারেন। তাছাড়া যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কেউ কফ সারাতে চান তাহলে সেটা বয়স অনুযায়ী আপনারা চেষ্টা করতে পারেন এবং সেটা না হয়ে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
তবে এখান থেকে ওষুধের নাম জেনে নিতে পারলে যে তার সমাধান হয়ে যাবে এমন নয়। কফের সঙ্গে যদি আরো অন্যান্য কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সে বিষয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে একত্রে ওষুধ সেবন করলে খুব দ্রুত কাজ হবে। তাই এখানে আপনাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্যে নামগুলো জানিয়ে দিলাম বলে অনেকের উপকার হলো এবং এই প্রসঙ্গে যদি আপনারা অন্যদের মাঝে বিষয়গুলো জানিয়ে দিতে চান তাহলে জানিয়ে দিতে পারেন।
বাজারে বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা ওষুধ কোম্পানি তাদের নিজস্ব কফের সিরাপ বের করছে অথবা কাশির সিরাপ গুলো ব্যাপক পরিমাণে প্রচলিত আছে। তাই যারা দিনের পর দিন কফের সমস্যায় ভুগছেন এবং কাশতে কাশতে ঘুম থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তারা আর দেরি না করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ থাকুন। তাছাড়া যে সকল বিষয়ের কারণে আপনাদের ঠান্ডা লাগছে অথবা কফ ভালো হচ্ছে না সেগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
অর্থাৎ ঔষধ খেয়ে যে আপনি পুরোপুরি সুস্থ হবেন এমন নয় বরং আপনাকে সঠিক জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে কফের সিরাপ সম্পর্কে জেনে নিতে পারলেও এর সঙ্গে যদি আরো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনারা ডাক্তারের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। সর্বোপরি সকলের সুস্থতা কামনা করে এই পোস্ট এখানে শেষ করছি।