আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ। আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে বিভিন্ন যাতে সুন্দর সুন্দর কবুতর পাখির ছবি দেখব। কবুতর একটি গৃহপালিত পাখি। এই পাখি বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হয়। আমরা সচরাচর যে কবুতর পালন করে থাকি সেটা হচ্ছে দেশি জাতীয় কবুতর। কিন্তু কবুতরের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। আপনি কি জানেন এমনও জাতের কবুতর রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি ব্যয়বহুল। আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে দামি কবুতরের ছবিগুলো দেখব এবং এই কবুতরের সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবো।
পাখি আমরা সবাই ভালোবাসি । পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ প্রতিচ্ছবি হল পাখি।পাখি ভালোবাসে না এমন কোন মানুষ হয়তো পৃথিবীতে নেই। আজকে আমরা বিভিন্ন প্রজাতির দামি দামি কবুতরের ছবিগুলো দেখব। আমাদের মধ্যে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যারা পাখি পালন করতে ভালোবাসে। আর কবুতর পালা হয় এখন অনেকের বাসায়। কবুতরের মাংস একটি জনপ্রিয় খাদ্য হিসেবেও কিন্তু পরিচিত। বাণিজ্যিকভাবে অনেক লাভবান হতে পারেন কবুতর পালন করার মাধ্যমে। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রজাতির কবুতর রয়েছে যেগুলোর দাম অনেক বেশি । এক জোড়া কবুতরের দাম আপনার কল্পনার বাইরে হতে পারে।
এগুলো কবুতর পালন করে আপনি বড়লোক হয়ে যেতে পারেন। আপনি যদি কবুতর পালন করতে চান তাহলে নিশ্চয়ই কবুতর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আপনার জানতে হবে। আজকে এই প্রতিবেদনটি মূলত কবুতরের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দ্বারা আবদ্ধ। আমাদের না দেখা এমনও অনেক কবুতরের প্রজাতি রয়েছে যেগুলো দেখতে এতটাই সুন্দর যে তাদের সৌন্দর্যের মুগ্ধ হয়ে মানুষ আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। পৃথিবীতে রয়েছে বিভিন্ন জাতির মনমুগ্ধকর কবুতর। এই কবুতরগুলো আপনারা চাইলে নিজের বাসায় পালন করতে পারবেন। তাহলে চলুন প্রথমেই আমরা দেখে নেব এই কবুতরের বিভিন্ন প্রজাতির ছবি। অর্থাৎ দামি দামি কিছু কবুতরের ছবিগুলোই এবার আমরা দেখব।
আমরা দেখে নিলাম বিভিন্ন প্রজাতির কবুতরের এই ছবিগুলো। অনেক সুন্দর নাম এই ছবিগুলো!এই ছবিগুলো আসলেই একজন পাখিপ্রেমীকে আকর্ষিত করে তুলবে। এগুলো অনেক দামি দামি প্রজাতির কবুতরের ছবি। এই কবুতরগুলো বাজারে প্রায় আট হাজার থেকে দশ হাজার টাকা জোড়া পর্যন্ত বিক্রি হয়। তার বেশি দামও হতে পারে বর্তমান বাজারে।পৃথিবীতে প্রায় ২০০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রকার কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র এসকল কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
পূর্বে কবুতরকে সংবাদবাহক, খেলার পাখি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্বারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হচেছ। এদের সুষ্ঠু পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। কবুতর প্রতিপালন এখন শুধু শখ ও বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা এখন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। কবুতর বাড়ি ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়।বাংলাদেশে কবুতরের জাতের মধ্যে গিরিবাজ খুবই জনপ্রিয়
যারা কবুতর পালন করতে চাই এবং যারা কবুতর পালন করে তাদের জন্য সাধারণ কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন।কবুতর অন্যান্য পাখিদের মতোই আহার করে থাকে গম, চাউল, কাউন, ধান, খুদ, চিনা সরিষা, ডাবলি, রেজা, বাজরা, বিভিন্ন বিজ ইত্যাদি খায় । মুরগির জন্য তৈরি খাবারও কবুতর খায়। খাবারের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়।কবুতরের ঘরে যাতে পানি না আসে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়।কবুতরের ঘর সব সময় পরিষ্কার রাখা বাঞ্ছনীয়।
বাচ্চাগুলো নিজে খাদ্য গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্ত্রী এবং পুরুষ কবুতর উভয়ে দানাদার খাদ্যের সাথে দুধ মিশিয়ে ঠোঁট দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ায়। কবুতরের জন্য তৈরিকৃত খাদ্য শর্করা, আমিষ, খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন, চর্বি এবং খনিজ লবণসম্পন্ন সুষম খাদ্য হতে হবে। । বিভিন্ন প্রজাতির কবুতরের খাবারও ভিন্ন ভিন্ন। তবে শস্য দানা সব কবুতরের জন্যই ভালো একটি খাদ্য।যাদের কবুতর পছন্দ এবং যারা বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর পালন করতে চায় তাদের জন্য ছিল আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। এরকম যেকোনো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করবেন। আল্লাহ হাফেজ, সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।