ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তৎপর্য ব্যাখ্যা কর

পাঠ্যপুস্তক বই পড়তে গেলে সাধারণত ভাষা আন্দোলনের পটভূমি এবং তাৎপর্য নিয়ে আমাদের বিস্তার জানতে হয়। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গেলে বহু কথা এখানে বলা যেতে পারে তবে আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে আপনাদের কিছু তথ্য যাবার চেষ্টা করব যে তথ্যগুলো সাধারণ বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানতে অথবা প্রশ্ন উত্তর পর্বে উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। ভাষা আন্দোলনের প্রথম শুরু হয় ১৯৪৭ সাল থেকে এবং সে ভাষা আন্দোলনের একটি সঠিক কারণে মূলত আজকে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পেরেছি।

ভাষা আন্দোলনের পথভূমি সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন আন্দোলনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ অর্থাৎ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ যে এই ভাষাকে স্বাধীন করার পক্ষে ছিল সেটা আমরা সকলেই এক কথায় স্বীকার করতে পারি। চলুন ভাষা আন্দোলনের পটভূমি এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে যেগুলো আমাদের দেশের ইতিহাস জানতে আমাদের সাহায্য করবে এবং আমাদের মাতৃভাষাকে ভালবাসতে আরও বেশি সাহায্য করবে।

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি

আমরা আজকে যে মায়ের ভাষায় কথা বলছি সেই মায়ের ভাষা এত সহজেই আমাদের ধরা দেয়নি। বাংলাদেশ জন্ম হওয়ার আগেই বাঙালিরা নিজের মাতৃভাষাতে কথা বলতে শিখেছে তবে সেই মাতৃভাষার ইতিহাস সম্পর্কে যদি আমরা জানি তাহলে সেটা অনেক আগে থেকেই এই উপমহাদেশে প্রভাব বিস্তার করে। আস্তে আস্তে কিছুসংখ্যক মানুষ আলাদাভাবে বাংলা ভাষাতে শুধু কথা বলতে শুরু করে এবং সেই মানুষগুলো একই জায়গাতে বসবাস করতে শুরু করে এবং তার অবস্থান হচ্ছে পূর্ব বাংলা। কিন্তু যখন পূর্ব বাংলা এবং পশ্চিমবাংলা ভাগাভাগ হয়ে যায় এবং ভারত উপমহাদেশ ইংরেজদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে তখন যে সমস্যা সৃষ্টি হয় সেটা হচ্ছে ভাষা নিয়ে। ভারত এবং পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময় ছিল ধর্ম নিয়ে সমস্যা সেটা সমস্যার সমাধান হওয়ার পরে নতুন একটি সমস্যা সৃষ্টি হয় সেটা হচ্ছে ভাষা নিয়ে।

আর আমরা যারা বাঙালি আছি তাদের পূর্বপুরুষেরা তখন এই বাংলা ভাষাতেই কথা বলতে বেশি পছন্দ করত এবং তারা চাইতো প্রত্যেকটি সেক্টরে যেন বাংলা ভাষার স্বাধীনতা থাকে এবং সকলেই বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে। কিন্তু তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের সকল শাসকেরা চায় তো যেন তাদের উর্দু ভাষায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে পরিচালিত হয় যেটা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারি না। আর এই আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৭ সালে এবং সেই আন্দোলন ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে চলতে থাকে।

আর তাই ভাষা আন্দোলনের পর ভূমি বলতে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ সালের আন্দোলনগুলোকে বলা হয়। পরভূমিকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় তার মধ্যে আমরা সেই ভাগগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব আপনারা এই ভাবগুলো থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন খুব সহজেই।সবথেকে উল্লেখযোগ্য আন্দোলন হচ্ছে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারীর ভাষার জন্য আন্দোলন এবং রাজপথে শহীদদের আত্মত্যাগ। যার কারণে সেই দিনটাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে।

পাকিস্তানি শাসন আমলে
আঞ্চলিক আন্দোলনের সূচনা
খাজা নজিমউদ্দিনের ঘোষণা
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন
ভাষা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা
ছোটদের মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ
রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি

পটভূমি বলতে সাধারণত এই বিষয়গুলোকেই বোঝানো হয়েছে যেখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের পেছনে বাংলার মানুষ কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

ভাষা আন্দোলনের তৎপর্য

ভাষা আন্দোলনের তৎপর্য সম্পর্কে বিভিন্ন ইতিহাস দৃশ্য ৪৭ সাল থেকে শুরু হয় যেখানে হাজার 947 সালের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সকল দাবি মেনে নিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নইমুদ্দিন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা পরিবর্তন করা হয় এবং যার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং সে সমস্যার বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি প্রচুর পরিমাণে আন্দোলন হয়।

 

 

Leave a Comment