কে কখন মারা যাবে আগে থেকে কেউ বলতে পারেনা। তাই সবসময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত এবং মৃত্যুকে ভয় পাওয়া উচিত। যদি পৃথিবীর মায়ার কথাই বলেন তাহলে কেউ এই মায়ার পৃথিবী থেকে ছেড়ে যেতে চায় না কিন্তু আমাদের তৈরি করা হয়েছে এই উদ্দেশ্যে সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে। এবং এই কথাগুলো চিন্তা করে মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম এবং হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর দেখানো পথে আমাদের চলতে হবে। আমরা যাতে আল্লাহ তাআলার নেককার বান্দা হতে পারে এবং আমাদের প্রিয় নবী এর প্রিয় উম্মত হতে পারি সেদিকে নজর রাখতে হবে।
এই বিষয়টি নিয়ে যারা ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিতে চান যেটা থেকে অনেক মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারবে তাদের জন্য এ ধরনের শিক্ষনীয় বিভিন্ন স্ট্যাটাস আমাদের কাছে আছে। আপনারা সরাসরি এখান থেকে কপি করে আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে পেস্ট করে সেখানে আপলোড করতে পারেন এটা। স্ট্যাটাস গুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং অবশ্যই এখানে শিক্ষণীয় কিছু উক্তি আছে যেগুলো একজন মানুষের স্বভাব চরিত্রের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। আমাদের সমাজে এই জিনিসগুলোর অভাব খুব কম অর্থাৎ কেউ কাউকে ভালো কোন পরামর্শ দিবে কেউ কাউকে ভাল রাস্তা দেখিয়ে দিবে এমন মানুষ পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি যদি এরকম কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে চান তাহলে আমাদের এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক স্ট্যাটাস সংগ্রহ করে নিন।
মৃত্যু পৃথিবীর মধ্য দিয়ে যায়, প্রিয়জনকে আলাদা করে যাতে পরে তারা অনন্তকালের জন্য একত্রিত হতে পারে।
***
বন্ধু সব সময় একে অপরের হৃদয়ে বেঁচে থাকে, একজন মারা যাওয়ার পরেও অন্যের হৃদয়ে সে চিরকাল থাকবে।
***
আপনি এত হঠাৎ চলে গেলেন … এটা অকল্পনীয় যে আপনার জীবন এইভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল, আমাদের কাছে কেবল অশ্রু এবং সত্য রয়েছে: মনে রাখবেন এবং প্রার্থনা করুন।
***
পৃথিবীতে এমন কোন প্রাণ নেই যেখানে সন্তান নেই। বাচ্চারা মারা গেলে আমি কেন পৃথিবীতে বাঁচব?
***
ফিরে আসা অসম্ভব, ভুলে যাওয়া অসম্ভব… সময় অসহ্য!!! এরই মধ্যে অর্ধেক বছর পেরিয়ে গেছে। জীবন কেটে যাচ্ছে… সচেতনতা আসেনি!!!
মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক ব্যাখ্যা
মানুষের মারা যাওয়া সম্পর্কে আমাদের ধর্মে কি বলা হয়েছে সে সম্পর্কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মতামত আমরা পেয়েছি। আল্লাহতালার বাণী পবিত্র কুরআনে বেশ কয়েকটি আয়াতের মাধ্যমে খুব পরিষ্কারভাবে বোঝানো হয়েছে যে মহান আল্লাহ তাআলাই আমাদের জীবন দিয়েছেন এবং তিনি আমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। এ বিষয়ে ইসলামের বিভিন্ন ধরনের হাদিসও পাওয়া যায় চলুন আজকে একটি হাদিসের মাধ্যমে আমরা এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করি।
যারা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য উত্তমরূপে প্রস্তুতি গ্রহণ করে তারাই সর্বাধিক বুদ্ধিমান । — সুনানে ইবনে মাজাহ (৪২৫৯ নং হাদিস )। সবার প্রথমে মৃত্যুকে বিশ্বাস করতে হবে এবং আপনি যদি মৃত্যুকে বিশ্বাস করেন এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবন কে বিশ্বাস করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তালাকে আপনি বিশ্বাস করেন। আল্লাহ তাআলা এক অদ্বিতীয় তিনি সর্বশক্তিমান তিনি আমাদের রিজিকদাতা এই মহাবিশ্বে যা কিছু আছে সব কিছুই তারই সৃষ্টি এই কথাই আমরা যদি বিশ্বাস করি তাহলে অবশ্যই আমরা ভয় করব আমাদের মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে। আর তখনই আমরা সৎ পথে চলবো এটাই এই হাদিসের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে তাই আমাদের সকলকেই এই হাদিস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
মৃত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বিভিন্ন আয়াত আছে এই আয়াতগুলো দ্বারা স্পষ্টভাবে মানুষের মৃত্যুবরণ সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে।‘তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান আর তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৫৬)। সূরা ইউনুসের এই আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে আমরা এটা বুঝতে পারি যে মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের জীবন দিয়েছেন এবং তিনি আমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। এবং মৃত্যুর পরে তারই কাছে আমাদের ফিরে যেতে হবে তাহলে কেন বা আমরা অন্য পথে হাঁটছি আমরা অবশ্যই এক আল্লাহ তায়ালার কথা মতন চলার চেষ্টা করব এবং তার নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করব। যেখান থেকে আমরা সত্যিকারের শান্তি খুঁজে পাবো।