আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময়ে একজন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে তাকে নিবন্ধন করতে হয়। তবে এই জন্ম নিবন্ধনের অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। শিশুর জন্মের সাধারণত তিনদিন অতিক্রম হওয়ার পূর্বেই জন্ম নিবন্ধন করা উচিত পিতা-মাতার। জন্ম নিবন্ধন যদি হয়ে থাকে তাহলে সেই শিশু বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়ে গেল। আবার সরকার বর্তমান সময়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল অর্থাৎ গরিব দরিদ্র শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে
নিয়েছে। অর্থাৎ সরকার মনে করেন যে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই এই সকল শিশুদেরকে অবশ্যই সুন্দরভাবে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করে গড়ে তুলতে হবে এখন থেকেই। তাই সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এইসব শিশুদের পুষ্টির যেন কোন অভাব না হয় সেই কারণে তিন বছর যাবত মাতৃভাষা অর্থাৎ মাতৃদুগ্ধকালীন শিশুর খাবার বিষয়ে ভাতা এবং শিশুর জন্মের পর শিশুর বেড়ে ওঠা সম্পর্কেও ভাতা চালু রয়েছে। সেই সকল সুযোগ সুবিধা গুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের উচিত শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা।
জন্ম নিবন্ধন ছবি
আসলে জন্ম নিবন্ধন সবই বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হল জন্ম নিবন্ধন করতে হলে শিশুর কোন ধরনের ছবির প্রয়োজন হয় না। শিশুর ঠিকাদার থেকেই সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে জন্ম নিবন্ধন বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়। অথবা শিশুর নাম পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা যেমন স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা বাবার নাম মায়ের নাম ইত্যাদি বিষয়গুলো জন্ম নিবন্ধন বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়। আরো যে যে বিষয়গুলো দেখা হয় তাহলে শিশুটি পিতা-মাতার কত নম্বর সন্তান সেসব বিষয়ক জন্ম নিবন্ধন বইতে উল্লেখ করা হয়ে
থাকে। তাই একটি শিশুর সঠিক পরিচয় রাখতে হলে এবং দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বেড়ে উঠতে দিতে হলে অবশ্যই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা উচিত বলেই মনে করি। যদি শিশুর জন্ম নিবন্ধন না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে সে জাতীয় পরিচয় পত্র করতেও অনেক ধরনের সমস্যার বা জটিলতার সৃষ্টি হবে। তাই আমাদের উচিত হবে যে, যে কোন কাজ সময়ে করা। আমাদের এই বিষয়টি আরো মনে রাখতে হবে আর তা হল সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড়। তাই জন্ম নিবন্ধন এর যে সার্টিফিকেট রয়েছে বা জন্ম নিবন্ধনের যে দলিল সরকার আমাদের দিয়ে থাকে সেটি জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
জন্ম নিবন্ধন ছবি
বর্তমান সময়ে যে ধরনের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করছে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কিন্তু পূর্ববর্তী সময়ে একই ধরনের সার্টিফিকেট ছিল না। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এই জন্ম নিবন্ধন বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এর মাধ্যমে সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিশুর জন্য একই ধরনের জন্ম নিবন্ধন ফরম একই ধরনের জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে থাকে। জন্ম নিবন্ধন এর সকল তথ্য ভালো ভাবে দেওয়ার পর অবশ্যই আপনি
আপনার ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন থেকে আপনি আপনার সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবেন। এবং সেই সার্টিফিকেটে অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পৌরসভার মেয়র অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। তাহলে আপনি অবশ্যই এই বিষয়গুলি পূর্ণাঙ্গভাবে যদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই যে যে কাজগুলো করতে হবে সকল কাজগুলো আপনি নিয়মমাফিক করবেন তাহলে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধনের একটি সার্টিফিকেট আপনি পেয়ে যাবেন।
তার জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেট পূর্বে একরকম ছিল কিন্তু বর্তমান সময় ডিজিটাল হওয়ার প্রেক্ষিতে সকল জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেটগুলো পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদের সকল নাগরিকের বা সকল শিশুর একই ধরনের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট রয়েছে। আপনারা এ ধরনের যেকোন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন। তাহলে আপনারা সকল তথ্য সবার আগে এবং সঠিক তথ্য আমাদের এখান থেকে পাবেন বলে আশা করা যায়।