কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে এবং তাদের অবদান কতখানি সেটা আমরা সবাই মনে রাখব। আমরা যেরকম বিলাসবহুল জীবনযাপন করি কৃষক ভাই-বোনরা কিন্তু বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারে না। তারা সারা পৃথিবীর খাদ্যের অভাব মেটায় কিন্তু তাদের খাদ্যের অভাব থেকেই থাকে। এজন্য কৃষকদের ন্যায্য অধিকার এর জন্য দাবি করতে হবে।কৃষকদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে এবং কৃষকদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
কৃষকরা মোটেই মূর্খ , বর্বর অসহায় নয় তারা হচ্ছে শক্তিশালী জাতি। কৃষকদের সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা সেটা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যদি তাদেরকে ছোট জাতি মনে করি তাহলে আমাদের শিক্ষার অভাব আছে বলে ধারণা করতে হবে। কৃষক মানে অশিক্ষিত এই ধারণা মুছে ফেলতে হবে। এখন অনেক যুবক-যুবতীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে কিন্তু কৃষি কাজে নিজেকে নিয়োজিত করছে।। তাই কিসে কাজ কোনভাবে ছোট কাজ না। কৃষিকাজ সব কাজের ঊর্ধ্বে।
আমরা গ্রাম বাংলার দৃশ্য দেখব কিন্তু সে দেশে কৃষক থাকবে না সেটা কখনোই হয় না। শস্যভরা ফসল খেত গ্রামবাংলার চাষীদের রোদে পোড়া চেহারা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম। চারা গাছ থেকে ফসল রোপন করা তারপর তাদের লালন-পালনও পরিচর্যা করা। কৃষকদের বিভিন্ন ছবি তাদের চাষাবাদ করার বিভিন্ন দেশের ছবিগুলো আপনারা যদি দেখতে চান তাহলে
আমাদের আর্টিকেলে কৃষকের ছবি সহ কৃষকের বর্ণনা পেয়ে যাবেন। কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও তাদের একরাশ হাসির চেহারাগুলো দেখতে আমাদের মন ভরে যায়। যারা প্রকৃতিপ্রেমী এবং অসহায় মানুষদের কষ্ট দেখে যাদের মন কাঁদে তারা কিন্তু কৃষক ভাইদের সেই অসহায় ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে।
কৃষকদের ন্যায্য অধিকার দাবির জন্য আমরা অনেকেই কৃষক ভাইদের ছবিসহ কিছু কথা লিখে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করি । বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যার মাধ্যমে কৃষকদের দুঃখ-কষ্ট অনেক অংশে কম হয়ে গেছে। কৃষকদের ন্যায্য অধিকারের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। আর এখন সোশ্যাল
মিডিয়া ব্যবহার করে কিন্তু আমরা কৃষকদের বর্তমান অবস্থা বিশ্বদরবারের মানুষদের কাছে তুলে ধরতে পারি। যারা সারা পৃথিবীর খাদ্যের যোগান দেয় তাদের কিন্তু খাদ্যের অভাব মোটেই সহ্য করা যাবে না। তারা যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায় এবং কৃষক ভাই-বোনদের পরিবার যেন সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করতে পারেন এইদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।কারণ তাদের কাজকর্মকে আমরা সবসময় শ্রদ্ধা করব মনে রাখতে হবে তারা হচ্ছে একটি দেশের চালিকাশক্তি।
একটি দেশের অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখে কিন্তু সেই দেশের শস্য উৎপাদনের পারসেন্টেজ। যে দেশের কৃষিকাজ যত উন্নত অর্থাৎ যে দেশে ভালো ফলন হয় সেই দেশী কিন্তু উন্নতির সিঁড়িতে উঠতে পারবে। তাই কৃষি কাজকে ছোট করবে দেখলে সেই দেশ কখনোই উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবে না।
এখন তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে যেগুলোর দ্বারা কৃষি কাজ অত্যাধুনিক এবং সহজতর হয়ে গেছে। বাংলাদেশের কৃষকেরা ও এই ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হচ্ছে ধীরে ধীরে। একটি দেশের চালিকাশক্তি হলো কৃষকরা। কারণ কৃষকের উৎপাদিত ফসলের দ্বারায় কিন্তু একটি দেশের প্রত্যেক মানুষের রোজি রুটি উৎপন্ন হয়।
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের 70% জনগণ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত এবং বাকি ৩০ পার্সেন্ট জনগণ অন্যান্য বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃষকের ভূমিকা অপরিসীম এবং বাংলাদেশ হচ্ছে একটি কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি ক্ষেত্রে সকল কাজ করার জন্য কৃষকের প্রয়োজন হয় এবং এই কৃষকের ভূমিকা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি।
দেশের যে কোন ধরনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের ভূমিকা অপরিসীম।দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে কৃষক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।যেকোনো ধরনের খাদ্য দ্রব্য রপ্তানি করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করে।
পশু পালনে দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়।দেশের যেকোনো ধরনের আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম কৃষকরা ভূমিকা পালন করে।
কৃষকরা হল বাংলাদেশের ঐতিহ্য। কৃষকরা হল বাংলাদেশের পরিচয়। কারণ বাংলাদেশ একটি গ্রাম প্রধান দেশ এজন্য কিন্তু আমাদের দেশের প্রধান পেশা কৃষক।