সম্মানিত পাঠক মণ্ডলী, আপনাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা যে প্রবন্ধটি সাজিয়েছি সেখানে আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার অনেকগুলো ছবি একসাথে সংযুক্ত করে সেগুলো আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদের উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আপনাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা যে প্রবন্ধটি সাজিয়েছি সেখানে আপনাদের প্রয়োজনীয় কথা চিন্তা করে আমাদের সকল কার্যক্রম গুলো অব্যাহত রেখেছি। আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন এবং আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এখানে আপনারা আপনাদের প্রয়োজন মত সকল কিছু সবার আগে পেয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো আমাদের সাথে থাকতে হবে এবং আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যারা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রবন্ধ মনোযোগ সহকারে পড়েন তারা জানেন যে, আমরা প্রতিনিয়তই নতুন নতুন তথ্য সংযুক্ত করে থাকি। আর নতুন নতুন তথ্য সংযুক্ত করার মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়তই আপনাদেরকে সাহায্য করে যাচ্ছি।
আর আপনারা যদি আমাদেরকে সাহায্য করতে চান তাহলে আপনারা একটি কাজ করতে পারেন আমাদের প্রবন্ধে প্রতিনিয়ত আপনারা ভিজিট করতে পারেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আমাদের প্রবন্ধগুলো অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন যাতে করে অন্যরাও আমাদের প্রবন্ধ গুলো পড়তে পারে। সকলের জন্যই আমাদের ওয়েব সাইট উন্মুক্ত। যে কেউ যেকোনো মুহূর্তে চাইলে আমাদের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করতে পারে। আর এখানে প্রতিনিয়ত নতুন অনেক কিছুই সংযুক্ত করা হচ্ছে। নতুন অনেক কিছু আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
পতাকার নতুন ছবি
আমাদের দেশের পতাকা মুক্তিযুদ্ধের সময় একরকম ছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পতাকার বেশি কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যেমন: আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পতাকা দেখেন তাহলে আমাদের পতাকার মাঝখানে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশের জাতীয় পতাকার উপরে মানচিত্র অংশটি তুলে নেয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে নতুন করে আরো একটি ডিজাইন করা হয়েছে। যেখানে সমগ্র সবুজ আয়তক্ষেত্রের উপরে লাল বৃত্ত লক্ষ্য করা যায় এটা দ্বারা বোঝানো হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লালবৃত্ত সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক। সেই সাথে বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মর উৎসর্গ কারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এইরূপটি প্রদান করা হয় ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি। আপনারা যদি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের এই প্রবন্ধের সম্পূর্ণ অংশটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি আমাদের জাতীয় পতাকার সকল তথ্যগুলো একসাথে পেয়ে যাবেন। আমাদের জাতীয় পতাকার অনুপাত হিসেবে হিসেব করা হয় ১০/৬।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার একটি নির্ধারিত মাপ এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভবনে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলো—
● ১০ বাই ৬ ফুট (৩.০ বাই ১.৮ মিটার)
● ৫ বাই ৩ ফুট (১.৫২ বাই ০.৯১ মিটার)
● ২.৫ বাই ১.৫ ফুট (৭৬০ বাই ৪৬০ মিলিমিটার)
মোটরগাড়িতে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলো—
● ক) ১৫ বাই ৯ ইঞ্চি (৩৮০ বাই ২৩০ মিলিমিটার) (বড় গাড়ীর জন্য)
● খ) ১০ বাই ৬ ইঞ্চি (২৫০ বাই ১৫০ মিলিমিটার) (ছোট এবং মাঝারি আকারের গাড়ীর জন্য)
আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য টেবিল পতাকার মাপ হল—
● ১০ বাই ৬ ইঞ্চি (২৫০ বাই ১৫০ মিলিমিটার)
উপরে আপনারা যে মাপটি দেখছেন এই মাপটি অনুযায়ী আপনাকে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে হবে। জাতীয় পতাকার মাপের ক্ষেত্রে কোনভাবে কোন ভুল করা যাবে না। আমরা জাতীয় পতাকা যখন যেভাবে যেখানে ব্যবহার করি না কেন তখন অবশ্যই এই মাপটি বিবেচনা করে তবে আমাদেরকে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা উচিত। এটা ব্যবহারের জন্য সরকারি ভাবে বেশ কিছু দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা সরকারি দিক নির্দেশনা মেনে তবে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করবেন। এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জাতীয় পতাকাকে সবসময় সম্মান প্রদর্শন করবো।