গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ

গ্যাসের সমস্যাই আমরা কম বেশি অনেকেই পড়ে থাকি বলে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে সেটার সমাধান করার চেষ্টা করি। তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি যদি গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ সম্পর্কে জানতে এসে থাকেন তাহলে সে বিষয়ে আপনাদেরকে আমরা পুরোপুরি সঠিক তথ্য জানিয়ে দেবো। তাছাড়া গর্ভধারণ করা অবস্থায় একটা গুরুত্বপূর্ণ সিচুয়েশনে থাকে বলে এ সময় কোন ধরনের হুটহাট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অথবা নিজেদের মত করে ডাক্তারি করে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করবেন না।

তাই গর্ভবতী মায়ের গর্ভে একটি সন্তান আছে এবং সেই সন্তানের ওপরে যেন কোন ঔষধ ইফেক্ট না ফেলে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে অথবা আমরা যে সকল খাবার গ্রহণ করে থাকি সেগুলো আমাদের শরীরে ঠিকঠাক মতো হজম না হওয়ার কারণে বুক জ্বালাপোড়া থেকে গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই এ সকল সমস্যার সমাধানে আপনারা সরাসরি স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে গ্যাসের ওষুধ খেতে পারলেও গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে খাওয়া উচিত কিনা অথবা গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে এটা খেলে কোন ধরনের অসুবিধা হবে কিনা তা কিন্তু অনেকে জানিনা।

তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে এবং বাচ্চার স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে মায়ের স্বাস্থ্য এবং ওজন থেকে শুরু করে অন্যান্য সার্বিক পরিস্থিতি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে। কোন তথ্য না জানলে অন্ততপক্ষে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের নাম্বার রেখে দিতে হবে যাতে করে কোন সমস্যার কারণে যোগাযোগ করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন। সাধারণত বাইরের খাবার অর্থাৎ ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের বুক জ্বালাপোড়া করে এবং এই জ্বালাপোড়া করার কারণে তারা সহ্য করতে পারেন না।

তাই এরকম পরিচিত একজন গর্ভবতী মা কি করবেন অথবা গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ওষুধ খেলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না তা কিন্তু জানতে চান। তাই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর হিসেবে আমরা যদি এটার সঠিক তথ্য দিতে চাই তাহলে বলব যে বাজারে যে তরল গ্যাসের ঔষধ রয়েছে অথবা যে সকল ট্যাবলেট আকারে চুষে খাওয়ার অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট রয়েছে এমন ট্যাবলেট খেতে পারেন। কিন্তু ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা মেনে খাওয়ানো উচিত এবং এই ক্ষেত্রে আমরা বলব যে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ওষুধ গর্ভবতী মাকে দেওয়া যাবে না।

গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ওষুধের নাম

একজন গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য কেমন অথবা তার শারীরিক কন্ডিশন কেমন সেটার উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নির্বাচন করা যায়। বাজারে ২০ এমজি এর গ্যাসের ওষুধ অনেক কোম্পানির অনেক ধরনের পেয়ে যাবেন। সকল গ্যাসের ঔষধের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্যাস নির্মূল করা এবং রোগীকে শান্তি প্রদান করা। কিন্তু সব ওষুধ কিন্তু সবার শরীরের জন্য নয় এবং এই ক্ষেত্রে বয়স ভেদে এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে এক এক গ্যাসের ওষুধ এক একজন ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়ে থাকে।

গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ খাওয়া যাবে

তাই সেই অবস্থান থেকে আপনারা যখন গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা জানতে চাইবেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে ডাক্তারের চেকআপের সময় একটা নির্দিষ্ট গ্যাসের ওষুধ সাজেস্ট করে নিবেন। তাছাড়া সেলস রিপ্রেসেন্টেটিভদের চাপে তারাই কিন্তু আপনাদেরকে গ্যাসের ওষুধ লিখে রাখেন যাতে করে আপনারা সেটা ব্যথা নাশক ওষুধ এবং অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে খেয়ে শান্তিতে থাকতে পারেন।

গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা

গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের সমস্যা হলে ঔষধের উপরে নির্ভরশীল না হয়ে তাদেরকে পুষ্টিকর ভালো তেল দিয়ে রান্না করা এমন খাবার প্রদান করুন। ভাজাপোড়া ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের যেন সেটা গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি না করে এমন জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে। আর যখন আপনারা এ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে পারবেন তখন সেটা আপনাদের জন্য ভালো হবে এবং গ্যাসের ওষুধ ব্যতীত একজন গর্ভবতী মা সুস্বাস্থ্যের অধিকারিনী হতে পারবেন। তাই গর্ভবতী মা প্রসঙ্গে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকলে আপনারা করতে পারেন এবং আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে সঠিক সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারব।

Leave a Comment