ছাগলের জাতের নাম ও ছবি ডাউনলোড

পৃথিবীর সব পশুর যেমন বিভিন্ন জাত রয়েছে, তেমনি ছাগলের ও বিভিন্ন ধরনের জাত রয়েছে এই পৃথিবীতে। আমাদের দেশে ছাগল বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে, বেশ কয়েক রকমের জাত পাওয়া যায় এ বাংলাদেশ আপনারা আজকে আমাদের পুরো আর্টিকেলটি পড়লে ছাগলের জাত সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ছাগলের বিভিন্ন জাত পরিচিতি

বাংলাদেশের ছাগলের বিভিন্ন জাত পাওয়া যায়, বাংলাদেশে আমরা প্রায় ৮ থেকে ১০ জাতের ছাগল পালন করে থাকি। তবে দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল আমাদের বাংলাদেশের বেশি পালন করা হয়।

তবে এই সময়ে এসে দেশি ছাগল পালন অনেক কমে এসেছে কারণ বিদেশী ছাগল পালন করলে খামারিরা বেশি লাভ করতে পারছে বেশি দুধ এবং মাংস পাচ্ছে তাই ছাগলের মাংস এখন ভেজাল হয়ে গিয়েছে। আমাদের সবার উচিত দেশী ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন করা।

দেশে ছাগলের চাহিদা অনেক, তবে আমাদের দেশে দেশে ছাগলের চাহিদা অনেক বেশি কারণ বেশি জিনিসের চাহিদা সব সময় বাংলাদেশে বেশি বা পুরো পৃথিবীতে বেশি থাকে, দেশি ছাগলের মাংসের স্বাদ এবং পুষ্টি গুনাগুন অনেক বেশি তার কারণে ই দেশের বাজারে এই ছাগলের মাংসের চাহিদা বেশি।

আমাদের বাংলাদেশের খামারিরা এখন দুই রকমের কাজের জন্য ছাগল বেশি পালন করে থাকে মাংসের জন্য, দুই দুধের জন্য মাংস এবং দুধ বিক্রি করে খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।ছাগল আমাদের দেশে নানান ধরনের পাওয়া যায় বিভিন্ন গ্রাম ভেদে বিভিন্ন ধরনের ছাগল পালন করা হয়ে থাকে।

যে খামারিরা ছাগলের মাংস ব্যক্তির জন্য ছাগল পালন করে তাদের সেই ছাগল পালন করতে হবে যেগুলো মাংস বেশি উৎপাদন হয়। তাহলে খামারীরা লাভবান হতে পারবে। খামারিরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তাদের বিভিন্ন নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। মাংস উৎপাদনের ছাগল পালন করলে খুব তাড়াতাড়ি লাভবান হওয়া যাবে।চলুন এবার কিছু ছাগলের জাত সম্পর্কে আপনাদের জানানো যাক।

১. ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল

বাংলাদেশের সুপরিচিত নাম ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রামে দেখতে পাওয়া যায় এই ছাগল খুব জনপ্রিয় কারণ এই ছাগল খুব সহজে লালন পালন করা যায়। ছাগলের মাংস অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ তাই এই ছাগলের অনেক চাহিদা রয়েছে পুরো বাংলাদেশে। ব্যাক বেঙ্গল ছাগল ওজনের ২০ থেকে ৩০ কেজি হয়ে থাকে। এই ছাগল গুলো খুব ছোট জায়গায় পালন করা যায়।

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম দুধ দিতে পারে এবং এই ছাগল ঘাস ঘর লতাপাতা খেয়ে জীবন যাপন করতে পারে। ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগল সচরাচর কাল এবং খয়েরি রং এর আমাদের বাংলাদেশে বেশি দেখা যায়। ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংসের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে এই ছাগল বাংলাদেশে বেশি পালন করা হয়ে থাকে। গরুর মাংসের চেয়ে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংসের চাহিদা বাংলাদেশে বেশি বিশেষ করে শহর গুলোতে।

২. রাম ছাগল

বাংলাদেশের আরেকটি সু পরিচিত ছাগলের জাতের নাম হল রামছাগল। ছাগল দেখতে অনেক উচা লম্বা হয়ে থাকে অন্যান্য যাতে চাইতে দেখতে অনেক সুন্দর এবং মাংস এদের বেশি হয়ে থাকে। এই রাম ছাগলকে বিভিন্ন গ্রামে বিভিন্ন নামে ডাকে, রামছাগলকে কিছু কিছু এলাকাতে যমুনাপারি ছাগল বলে ডাকা হয়।রাম ছাগলের উৎপত্তি স্থান হল ভারত থেকে তাই একে যমুনাপারি ছাগল বলা হয়ে থাকে ভারতের আশেপাশে গ্রামে এই ছাগলের অনেক আনাগোনা দেখা যায়।

রাম ছাগল অনেক উঁচু লম্বা হয়ে থাকে তাই মাংসও উৎপাদনের জন্য এই ছাগল পালন করা যেতে পারে। তবে রাম ছাগলের মাংস ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মতো তেমনটা সুস্বাদু নয় এর দুধের স্বাদও দেশি ছাগলের মত হয় না। এই ছাগলকে পালন করলে একমাত্র মাংস উৎপাদনের ক্ষেত্রে পালন করা যেতে পারে। রাম ছাগলের গায়ের চামড়ার রং হলুদ কালো এবং খয়রি হয়ে থাকে।

Leave a Comment