ছাগল সব কিছু খায়, ছাগলকে আমরা বেশিরভাগ মানুষই বেঁধে রেখে পালন করি। বেঁধে রেখে পালন করার কারণে তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি প্রয়োজন হয়। ছাগলকে সবসময় ভালো খাবারের মিশ্রণ দিয়ে খেতে দিলে তারা অনেক শক্তিশালী থাকে এবং অনেক ভালো দুধ দেয়।
ছাগলকে আমরা প্রতিদিন খড় ঘাস এ জাতীয় খাবার খেতে দেয়ার মাধ্যমে তাদের শরীরের চাহিদা পূরণ করতে পারি।আমরা যদি মাঠ থেকে কেটে আনা খড়-বিচালি অন্তত তিনদিন রোদে শুকিয়ে তারপর ছাগলকে খেতে দিতে পারি তাহলে তাদের ডায়রিয়া সহ নানান ধরনের অসুখ থেকে তারা রক্ষা পেতে পারে।
আমাদের যেসব ছাগল দুধ দেয় তাদের প্রয়োজনমতো পানি পান করাতে হবে তাহলে তারা খুব সহজে খরবিচালি হজম করে ফেলতে পারবে। এতে ছাগলের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। কয়েকজন কৃষক জানায় অন্যান্য গাছপালা খাওয়ালে ছাগল বেশি দুধ দেয়। তাই আমাদের সবসময় চেষ্টা করতে হবে ছাগলকে ঘাস জাতীয় খাবার খাওয়াতে জাতীয় খাবারে রয়েছেন নানা ধরনের পুষ্টি ও ভিটামিন যার মাধ্যমে ছাগলের সকল ধরনের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি ছাগল অনেক দূর দিতে পারে।
ছাগলের দুধ বৃদ্ধির উপায়
ছাগলের দুধ বিক্রির নানান ধরনের উপায় রয়েছে ছাগলকে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়ানো ছাগলকে খড় খোঁটার পাশাপাশি ঘাড় জাতীয় খাবার খাওয়ানো। এছাড়াও ভুট্টা গম এ জাতীয় খাবার যদি ছাগলকে খাওয়ানো যায় তাহলে ছাগলের দুধ বৃদ্ধি পায়। বাজারে নানা ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায় ছাগলের জন্য এই ভিটামিন গুলো ছাগল এর বাচ্চা হওয়ার আগে খাওয়ানো উচিত তাহলে ছাগল স্বাস্থ্যবান থাকে সুস্থ থাকে, ছাগল যদি সুস্থ থাকে তাহলে ছাগলের বাচ্চা গুলো অনেক ভালোভাবে পুষ্টি পায়। ছাগলের বাচ্চার দুধের চাহিদা পূরণ করার পরও তারা অনেক বেশি দূর দিতে পারে যেগুলো আমাদের খাদ্য হিসেবে আমরা খেতে পারি।
ছাগলের দুধ কমে যাওয়ার কারণ
ছাগলের দুধ কম হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারণ থাকে তারমধ্যে অন্যতম কারণগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
১.অসুস্থতা থাকলে।
২.এন্টিবায়টিক ব্যবহার করা হলে।
৩.কৃমি রোগে আক্রান্ত হলে, ছাগল দুধ কম দেয়!
৪. ছাগলের শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব থাকলে।
৫.সুষম দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাসের অভাব থাকলে।
৬.খাদ্য গ্রহণ কমে গেলে।
ছাগলের দুধ বৃদ্ধির উপায়
সঠিকভাবে ছাগলকে লালন পালন করতে পারলে এবং ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারলে ছাগলের দুধ উৎপাদন বেশি হবে, এখন বেশিরভাগ খামারি রায় ছাগলের দুধ এবং বাচ্চা ঠিকমতো পাচ্ছে না এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে যেগুলো আমরা এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরব সেগুলো লক্ষ্য করলে আপনারা আপনাদের ছাগলের যত্ন নিতে পারবেন এবং আপনাদের ছাগল থেকে দুধ এবং বাচ্চা পাবেন নিজে দুধ বৃদ্ধির উপায় সমূহ তুলে ধরা হলো:
সুষম খাদ্য সরবরাহ: গর্ভবতী ছাগীকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে খাবার দিতে হবে প্রয়োজনমতো সময় খাবার সরবরাহ করতে হবে ছাগলকে এ সময় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন একটি ছাগলের, কারণ এই সময় সে তার পেটে থাকা বাচ্চার পুষ্টি গ্রহণ করবে তার শরীর থেকে তাই সে সময় পুষ্টি নির্ভর খাবার দিতে হবে একটি ছাগলকে তাহলে সে একটি সুস্থ বাচ্চা প্রসব করতে পারবে।
প্রশব কালের পরিচর্যা: একটি ছাগল গর্ভবতী হওয়ার পরে তার বাড়তি পরিচর্যা করা উচিত এ সময় ছাগলকে নরম এবং শুকনো জায়গায় রাখতে হবে এবং তার ঘর জীবাণু মুক্ত রাখতে হবে যতটুকু পারা যায়।
গোসল করানো: গরমকালে একবার গোসল করানো ভালো, সেই সাথে সাথে শরীর ের লোম থেকে শুরু করে পুরো শরীর ছাগলে ধরে দিতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে আপনি ছাগলকে যত সুস্থ রাখতে পারবেন ততই আপনি ছাগলের শরীর থেকে দুধ বেশি সংগ্রহ করতে পারবেন।
কাঁচা ঘাস সরবরাহ: এ সময় ছাগলকে যত আপনি কাঁচা ঘাস খাওয়াতে পারবেন ততই সে সুস্থ থাকবে, সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে, কাঁচা ঘাসে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল, যার মাধ্যমে ছাগলের শরীরে দুধ উৎপাদন বাড়বে।