গনোরিয়া রোগ হচ্ছে একটি যৌনবাহিত রোগ। এই রোগটির ইংরেজি নাম হলো- Gonorrhea. সাধারণত আমরা জানি যে, Neisseria gonorrhoeae নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ী হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই ব্যাকটেরিয়াতেই গনোরিয়া রোগ ছড়ায় বলেই মনে করা হয়। পুরুষের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া ও মূত্রথলি দিয়ে পুঁজ বের হওয়া এবং টেস্টিকলে ব্যথা প্রভৃতি এই রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়।
তবে গনোরিয়া স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। স্ত্রী লোকদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোন লক্ষণ পাওয়া যায় না। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে যোনিপথে পুঁজ বের হওয়া এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে এই রোগটি হলে। তাই এ ধরনের কোন লক্ষণ যদি স্ত্রী এবং পুরুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তারা যেন এই রোগের চিকিৎসা জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তাতে করে অল্প থাকতেই রোগটি সরানো সম্ভব। তাহলে আমরা এখন এই রোগটির নিরাময় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। চলুন দেখি তাহলে,
এন্টিবায়োটিক ঔষধ
সাধারণত যখন মানুষের শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখন বাহির থেকে সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাটাকে বাড়িয়ে তোলার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত শরীরের যে রোগ হয়েছে সেই রোগের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ভেতর থেকে। তাই এ রোগের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ কাজে লাগতে পারে। তবে অবশ্যই এই রোগটির ক্ষেত্রে কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ দিতে হবে তা অবশ্যই একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জেনে থাকবেন।
আজকে আমরা এন্টিবায়োটিক ঔষধ গনোরিয়া রোগটি হলে কোন অ্যান্টিবায়োটিক দিবে সে বিষয়টি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে। গনোরিয়া রোগটি যদি অল্পতেই অর্থাৎ লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর পরই যদি চিকিৎসা করা না হয় তাহলে অবশ্যই এখান থেকে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যেন যেকোনো রোগ হোক না কেন
সেটি অল্পতেই জানে সরিয়ে তোলার যায় তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আর গনোরিয়া রোগটিও যদি আমরা খুব তাড়াতাড়ি এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে আস্তে আস্তে এটি হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য এ রোগে আক্রান্ত সমস্ত রোগীকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে প্রথম থেকেই।
গনোরিয়া রোগের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ঔষধ
গনোরিয়া রোগে কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ প্রয়োগ করা যায় তা এখন আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করছি। গনোরিয়া রোগ হলে আপনারা যে এন্টিবায়োটিক গুলো ব্যবহার করতে পারবেন তা এখন আপনাদের অবশ্যই এখান থেকে জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
সাধারণত গনোরিয়া (মহিলা প্রজনন অঙ্গের সংক্রমণ), পেলভিক প্রদাহ রোগ এবং ফুসফুসের সংক্রমণ, চামড়া, রক্ত, হাড়, জোড় এবং পেটের মতো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। সেফট্রিয়াক্সন ১০০০ এম জি ইনজেকশন (Ceftriaxone 1000 MG Injection) সেফালসপোরিন অ্যান্টিবায়োটিক নামে পরিচিত ওষুধের একটি শ্রেণির অন্তর্গত।
আপনারা যদি এই শ্রেণীর অন্তর্গত ঔষধ গুলি গণ্ডি আলমের জন্য ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই এখান থেকে সুফল পেতে পারেন বলেই আশা করি। কারণ এই ওষুধগুলি সাধারণত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গনোরিয়া রোগের জন্য লিখে থাকেন। তবে আপনারা কখনোই এ ধরনের পোস্ট থেকে দেখে ওষুধগুলি নিজে নিজেই রোগীকে দেবেন এটা কখনো ঠিক হতে পারে না।
কারণ যেকোনো রোগ হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শম্মতাই আপনাকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। কারণ চিকিৎসকগণ সরাসরি রোগীকে দেখে তারপর তারা ব্যবস্থা নেয়। তবে শুধুমাত্র এই ঔষধ গুলি গনোরিয়া রোগ হলে ব্যবহার করতে পারেন এই কথা এখানে বলে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের তথ্যগুলি যদি আপনারা সব সময় সব পেতে চান তাহলে বেশি বেশি করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন।