অতিথি পাখি নিয়ে অনেক অনুচ্ছেদ হয়তো আপনারা আগে দেখেছেন কিন্তু কোন অনুচ্ছেদ আপনার মনের মত হয়নি আপনারা অনেক ওয়েবসাইট খুঁজেছেন কিন্তু কোথাও হয়তো বা অতিথি পাখি সম্পর্কে কোন অনুচ্ছেদ পাননি। আবার যেটি পেয়েছেন সেটি আপনার কোন কাজে আসেনি। তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি যে, অতিথি পাখি সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ আজকে আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
আপনারা মনোযোগ সহকারে এই অনুচ্ছেদটি পড়ে নিন। এই অনুচ্ছেদটি আপনাদের ভবিষ্যতে অনেক কাজে আসবে। অতিথি পাখি সম্পর্কে আগে কোন অনুচ্ছেদ আমাদের ওয়েবসাইটে উপস্থাপন করা হয়নি। আজকে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করা হচ্ছে। আপনারা অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন এবং এই অনুচ্ছেদটি পড়ার মাধ্যমে আপনার অনেক কিছুই জানতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি।
অতিথি পাখি
বরফ আচ্ছন্ন শীত প্রধান অঞ্চলে ঠান্ডা প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য এবং অপেক্ষাকৃত অনেক উষ্ণ আবহাওয়ার সুখ অনুভব করার আশায় অনেক সুদীর্ঘ পথ পেরিয়ে পরিযায়ী পাখিরা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া পাওয়ার আশায় আমাদের দেশ বাংলাদেশ আসেন। শীতকালে পরিচয় পাখিদের আগমন ঘটে অনেক বেশি এবং শেষ হয়ে গেলে এ সকল পরিযায়ী পাখিরা তারা তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যায় তারা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায়।
অল্প সময়ের অবস্থানে এদেশে আসে বলে এই সকল পাখিদেরকে আমরা অতিথি পাখি বলে ডেকে থাকি। আমাদের দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে এ সকল অতিথি পাখিদের বিশেষ আগমন ঘটে। তারা আমাদের দেশে আসেন আমাদের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সুন্দরবন, সুনামগঞ্জের হাওর, ঢাকার চিড়িয়াখানার জলাশাগুলোতে এবং ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর সাময়িক আবাস গড়ে তোলে। এখানে এসে তারা তাদের নিজেদের মতো করে জীবন যাপন করতে থাকে।
এছাড়াও আমাদের দেশের আরও বেশ কিছু অঞ্চলের গোপালগঞ্জ যশোর এবং খুলনার বিলগুলোতেও অনেক পরিযায়ী পাখিদের দেখা যায়। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শীত প্রধান দেশ থেকে আমাদের দেশে আসেন। এখানে তাদের ভালো কিছু সময় অতিক্রম করার আশায় মূলত হিমালয়ের পাদদেশ এবং সুদূর সাইবেরিয়া এবং উত্তর ইউরোপ থেকে পাড়ি দিয়ে শীতের অতিথি হিসেবে তারা আমাদের দেশে আসে।
পরিচয় পাখিদের মধ্যে বেশ কিছু পাখি রয়েছে যে রকম রাংগো, কাইন, টেকুর, ডাক, বালি হাঁস, হাঁস, কুদালা, কোড়া এ সকল পাখিরা অতিথি পাখি হিসেবে আমাদের দেশে আসে এবং তারা অতি অল্প সময়ের জন্য এদেশে এসে এদেশের আবহাওয়া তাদের নিজেদের ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাস্তবসম্মতভাবে এই সকল পরিযায়ী পাখিদেরকে অতিথির মতো করেই আমাদের সাদরে গ্রহণ করা উচিত। তাদের প্রয়োজনে তাদের জন্য তৈরি করা উচিত বেশ কিছু অভয়ারণ্য কিন্তু আমরা তাদের সাদরে আগমন ঘটাতে পারিনা তাদের জন্য আমরা অভয়ারণ্য তৈরি করতে পারিনা।
আমাদের প্রত্যেককে এ সকল পাখি সংরক্ষণে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে যারা পাখি শিকার করে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। আমাদের দেশে বেশ কিছু দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত পাখি শিকার করে এটি কোনভাবেই উচিত নয়। আমাদের প্রত্যেককে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে আমরা এই পাখির সৌন্দর্য কখনোই উপলব্ধি করতে পারবো না। এটি আমাদের সকলের জন্যই একটি কালো অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হতে পারে। আমরা যদি এ সকল পাখিদেরকে সাদরে গ্রহণ করতে পারি এবং তাদের জন্য একটি অভয়ারণ্য তৈরি করতে পারি তবে আমাদের দেশে হবে পরিচয় পাখিদের একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
সুখে পাঠকমন্ডলী, আপনারা উপরে একটি সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ দেখতে পাচ্ছেন এই অনুচ্ছেদটি আপনারা যে কোন সময় যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে বলছি যে, আপনারা অতিথি পাখি সম্পর্কে যে সকল অনুচ্ছেদ গুলো আপনারা খুঁজছিলেন সেই সকল খোঁজাখুঁজির আর কোন প্রয়োজন নেই। আমরা উপরে সম্পূর্ণ একটি অনুচ্ছেদ উপস্থাপন করেছি এই অনুচ্ছেদটি মনোযোগ সহকারে যদি আপনি পড়েন তাহলে অতিথি পাখি সম্পর্কে একটি সম্পন্ন অনুচ্ছেদ আপনারা এখানেই পেয়ে যাবেন। আপনারা চাইলে এই অনুচ্ছেদটি কপি করে আপনার যে কোন শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবহার করতে পারবেন।