দাঁতের মাড়ির ক্যান্সার এর ছবিগুলো মাদক জাতীয় দ্রব্যের উপর সচেতন মূলক পোস্টারের জন্য ব্যবহার করা হয়। মাদক জাতীয় দ্রব্যের প্যাকেজিং এর ওপরেও এইসব ক্যান্সার জাতীয় রোগের ছবি দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। এগুলো ছবি দেখলে মানুষ সতর্ক হবে এবং সুস্থ এবং সঠিক জীবন যাপন এর দিকে ধাবিত হবে।আপনি কিম্বা আপনার কাছের বন্ধু কি তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করেন?
আপনার পাশে থাকা বন্ধুকে সচেতন করে ফেলুন নাহলে নিম্নবর্তী তো ভয়ংকর দাঁতের মাড়ির ক্যান্সারের পিকচার গুলো একদিন হয়তো আপনার বন্ধুর হয়ে যেতে পারে। এবং আপনিও যদি মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবনে অভ্যস্ত হন তাহলে আজই সতর্ক হয়ে যান। কারণ একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।আপনার উপর আপনার পুরো পরিবার নির্ভরশীল। ছবিতে দেখা এই ভয়ংকর ক্যান্সারের পিকচার গুলি যদি একদিন আপনার নিজের হয়ে যায় তাহলে আপনার পরিবারের কি হবে?তাই সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। নিজের পরিবারকে ভালো রাখতে নিজে প্রথমে ভালো থাকতে শিখুন। সতর্ক হয়ে যান। দাঁতের মাড়ির ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগ যেন আপনার না হয় সেজন্য আজ থেকেই নিজের শরীরের যত্ন নিতে শিখুন।
যারা ধূমপান করে এবং যারা তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করে তাদের সচেতন করতে আপনারা এই ধরনের মাড়ির ক্যান্সারের পিকচার গুলো কিন্তু, আপলোড করে তাদের সচেতন করতে পারেন। আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা ভয়ংকর সব মারি এবং খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ভয়াবহ দৃশ্যের পিকচার গুলো আপলোড করে রেখেছি। এই ছবিগুলো অনেকে ডাউনলোড করে ফেসবুকে অথবা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে। মানুষকে সচেতন করতে এ ধরনের পিকচার প্রয়োজন পড়ে। প্রথমে মানুষ এইসব ঘটনাকে তুচ্ছ বলে মনে করেন। কিন্তু পরে যখন নিজেই এই সকল দুর্ঘটনা শিকার হয় তখন বুঝতে পারে তারা কতটা ভুল করেছে।
সাধারণত যারা অতিরিক্ত ধূমপান করে এবং তামাল জাতীয় দ্রব্য সেবন করে তাদের মুখে এবং খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হয়। যা সুপ্ত আকার থেকে ভয়ানক আকার ধারণ করে। মানুষের মুখের আকৃতি ভয়ংকর এবং বিকট হয়ে যায়। বাংলাদেশের এরকম অনেক রোগী রয়েছে যারা দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের জন্য প্রাণ হারিয়েছে। শুধু যে যারা নেশাগ্রস্থ তাদের বাড়িতে ঘা হবে এমন কিন্তু নয়। দাঁতের মাড়িতে ঘা যে কোনো কারো হতে পারে ।এটি একটি পুষ্টির অভাব জনিত রোগ। ছোট আকারের মাড়ির ঘা থেকে কিন্তু ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের রূপ নিতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় যে ভালো পরিবারের মানুষজন যারা জীবনে কোনদিন নেশা দ্রব্য স্পর্শ করেনি তারাও দাঁতের মাড়ি এবং খাদ্যনালির ক্যান্সার জনিত রোগে আক্রান্ত। এই রোগের আরও একটি অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার দাঁত। দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রাশ না করা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করা এই ক্যান্সার রোগের বড় একটি কারণ। শরীরের অভাবজনিত রোগ থেকেও দাঁতের মাড়িতে ঘা হয়।দাঁতের মাড়ির ঘা যখন ইনফেকশন হয়ে বড় আকার ধারণ করে তখন বেড়ে যায় ক্যান্সারের ঝুঁকি। তাই আপনারা সতর্ক হয়ে যান নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন এবং দাঁত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এবং সকল প্রকার মাদক জাতীয় দ্রব্য থেকে দূরে থাকুন।
কাদের মাড়ির ক্যান্সার হতে পারে? যাঁরা অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করেন, তামাক বা গুটকা খান, অথবা হুকা টানেন তাঁদেরই মূলত এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার মাড়ির ক্যান্সার হয়েছে কিনা? এই মাড়ির ক্যান্সারের একাধিক ধাপ হয়।মাড়ির ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ হচ্ছে মুখের মধ্যে না ঠোঁটের আশপাশে লাল বা সাদাটে ভাব দেখা যাবে।
চামড়া অনেক সময় স্বাভাবিকের তুলনায় মোটা হয়ে যায়, এবং মুখের মধ্যে বারবার আলসার বা ফোঁড়া হতে থাকে। সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। কিন্তু এটাকে অনেকেই সাধারণ মাড়ির ব্যথা বা জ্বলুনি ভেবে ভুল করেন। তাইমারের ব্যথা এবং মাড়িতে যেকোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ততক্ষণ আর ডাক্তারের পরামর্শ নিন।ওপরে দাঁতের মায়ের ক্যান্সারের পিকচার গুলো দেখে আপনি সচেতন হয়ে যান। এবং অন্যকে এই পিকচার গুলো দেখানোর মাধ্যমে সচেতন করে তুলুন।