চুল গজানোর ঔষধ

চুল গজানোর জন্য অনেক ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সব ওষুধ কি কাজের হয় সব? ওষুধ এতটাও কাজের জন্য হয় না। অনেক ওষুধ রয়েছে যে সকল ওষুধগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি। আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে সেই সকল ওষুধগুলো আমরা যদি ব্যবহার করি তাহলে সেখান থেকে আমাদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। আর তাই আপনাদেরকে বলছি আপনারা যদি আমাদের এই প্রবন্ধটি পড়েন তাহলে এখানে বেশ কিছু উপায় আপনারা দেখতে পাবেন যে সকল উপায় গুলোতে চুল পড়া বন্ধ সহ চুল গজানোর বেশ কিছু ওষুধ আপনাদেরকে দেখাবো। এই সকল ঔষধ গুলো যদি আপনারা সেবন করেন এবং এগুলো নিয়মিত সেবন করেন তাহলে আপনারা আপনাদের মাথায় নতুন চুল আবিষ্কার করতে পারবেন।

এজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই প্রবন্ধ গুলো মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে এবং এখানে যে সকল ওষুধগুলোর নাম এবং সেবন বিধি উল্লেখ করা হবে সেগুলো অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পালন করতে হবে। আপনি যদি সঠিক নিয়ম অবলম্বন না করতে পারেন তাহলে এই সকল ওষুধগুলো কোন কাজে আসবে না। যারা সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে পারবে শুধুমাত্র তাদেরই উপকার হবে। প্রত্যেকটি ওষুধের ক্ষেত্রে তাই আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ সেবন না করতে পারেন তাহলে সেই ওষুধ কখনোই আপনার রোগ নিরাময়ের জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবেনা।

চুল গজানোর কার্যকরী ওষুধ

চুল গজানোর জন্য কার্যকরী অনেকগুলো ওষুধ বাজারে রয়েছে। তার মধ্যে মিনোক্সিডিল টপিক্যাল হচ্ছে ইউএসএফডিএ কর্তৃক স্বীকৃত। এটি একমাত্র ও প্রথম ওষুধ যেটা ইউএসএফডিএ কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। ট্রপিক্যাল সল্যুশন যা পুরুষ ও মহিলাদের পুনরায় চুল গজানোর জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা ও গবেষণায় প্রমাণিত ঔষধ। এটি যথাযথ রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা করতে পারলে বংশগতভাবে চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে থাকে।

অনেকেই চিকিৎসার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। আপনার যদি বংশগত সমস্যা থাকে তবুও আপনি এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন। এই ওষুধটি সেবন করলে বংশগত সমস্যা থেকেও আপনি দূরে থাকে সক্ষম হবেন।

মিনোক্সিডিল ঔষধ আপনাকে কি ধরনের সহায়তা প্রদান করতে পারে তার একটি নমুনা আমরা নিচে উপ উল্লেখ করছি আপনারা মনোযোগ সহকারে নমুনাটি পড়ুন।
● যদি আপনার পরিবারে অর্থাৎ আপনার বংশের কোন পুরুষ বা মহিলার চুল পড়া বা টাক সমস্যা থাকে তাহলে এই ওষুধটি আপনি সেবন করতে পারেন।
● গোসলের সময় অথবা রাতে ঘুম থেকে জেগে যদি দেখেন যে বালিশে অথবা চিরুনিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি চুল পড়ছে তখন আপনি এই ওষুধটি সেবন করতে পারবেন।
● চুল পড়ার কারণে ফাঁকা হয়ে যাওয়া অংশ ঢাকতে চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে হয় যদি উপরে উল্লেখিত দুইবার বা তার বেশি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তাহলে আপনি বংশগত টাক সমস্যাই আগে থেকেই ভুগছেন আর এই সকল সমস্যার সমাধানে ওষুধ কি সেবন করতে পারেন।
● এই ওষুধটির খুব বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে কেউ কেউ মাথার তালুতে আলতোভাবে ও চুলকানিজনিত অসস্তিবোধ করতে পারেন।
● এই ওষুধটি যারা সেবন করবেন তাদের বয়স সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে সেটা হলো ১৮ বছরের নিচে এমনকি 65 বছরের ঊর্ধ্বে কোন সাধারণ ব্যক্তির এই ওষুধটি সেবন করা উচিত হবে না।

সম্মানিত পাঠক মন্ডলী, উপরে যেসকল দিকনির্দেশনা গুলো প্রদান করা হয়েছে এ সকল দিকনির্দেশনা গুলো যদি আপনারা সঠিকভাবে পালন করতে পারেন তাহলে চুল পড়ার রোধে অনেক কার্যক্রম হাতে নিতে পারবেন এবং আপনারা সহজেই আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন এবং সেই সাথে আপনি আপনার মাথায় নতুন চুল গজাতে সক্ষম হবেন।

আপনার যদি মাথায় নতুন চুল না গজায় তাহলে আপনারা সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আরও বেশ কিছু সমাধান আপনাদের কাছে পৌঁছে দেব আপনাদের কাছে। এই সকল সমস্যার সমাধান গুলো পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।

Leave a Comment