আমরা যখন অনেক আনন্দিত হই তখন খুব ইচ্ছে করে মনের কথাগুলো কারো সাথে শেয়ার করতে। এমন অবস্থায় আমরা সাধারণত নিজের খুব কাছের কোন মানুষকে ফোন দিয়ে এবং আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো একের পর এক বর্ণনা করতে থাকি। আনন্দের খবর নিজের কাছের মানুষকে জানানোর মধ্যে অনেক ভালো লাগা কাজ করে। শুধু কাছের মানুষই নয়, সেই সময় মনে হয় যাকে কাছে পাবো তাকেই মনের কথাগুলো খুলে বলবো। যেহেতু এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের পরিচিত সকলেই থাকে তাই আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা সবার সাথে শেয়ার করে থাকি।
যেকোনো আনন্দের খবর আমরা এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করলেই সকলে দেখতে পারে। তাই এখন আর কষ্ট করে কাউকে ফোন দিয়ে অথবা ধরে ধরে বলতে হয় না যে দেখো আমার সাথে এত সুন্দর একটি ঘটনা ঘটে গেছে। যাইহোক, আমরা আনন্দিত হলে কিভাবে স্ট্যাটাস দিব সে বিষয়ে যারা এখনো খুব বেশি অভিজ্ঞ নন তাদের জন্যই নতুন একটি পোস্ট নিয়ে চলে এলাম। আনন্দ নিয়ে স্ট্যাটাস কিভাবে লিখতে হয় সে বিষয়ে কিছু আলোচনা করব বলেই আজকের এই লেখা। এই লেখার মধ্যে যেমন থাকছে আনন্দ নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া তার পাশাপাশি আনন্দ নিয়ে কিছু উক্তি তুলে ধরা হবে। আমার মনে হয় এই পোস্টটি আমাদের সকলের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা আমাদের সাথে যুক্ত থাকে তারা সকলেই আমাদের পরিচিত হয় এমনটা নয়। তবে অধিকাংশই আমাদের পরিচিত হয়ে থাকে। পরিচিতজনদের মধ্যে সকলের বয়স একই রকম নয় আবার বুদ্ধিও একই রকমের নয়। আমরা স্ট্যাটাস লেখার সময় অবশ্যই এমন ভাবে লিখব যেন এটি কারো কষ্টের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। এমন কোন ছবি শেয়ার করবো না যা দেখে কেউ ভয় পায় অথবা আনইজি ফিল করে। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি অনেকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খাবারের ছবি শেয়ার করতে নিষেধ করে কারণ আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছে যারা অর্থাৎ ভাবে ভালো খাবার খেতে পারে না।
যদিও এটি আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয় তবে এছাড়াও আরো কিছু কিছু ছবি শেয়ার করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। যেমন অনেকে পশুর রক্ত দেখতে পারে না, আমরা যদি পশু শিকার করে আনন্দিত হই তাহলে এই ছবিগুলো কখনোই শেয়ার করব না।আমাদের সাথে যদি এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেমন আমরা ভাল কোন প্রতিষ্ঠানে চান্স পাই, আমাদের নতুন
কোন চাকরি হয়, আমাদের পরিবারে যদি নতুন কোন সদস্য আসে, আমাদের জীবনে নতুন কোন মানুষ আসে সে ক্ষেত্রে আনন্দিত হলে আমরা খুব সুন্দরভাবে ছবিসহ বিষয়গুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারি। এক্ষেত্রে আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আমরা স্ট্যাটাস লিখে ফেলতে পারি। স্ট্যাটাসের মধ্যে আমরা কোন কবিতাংশ সংযুক্ত করতে পারব। এক্ষেত্রে এমন কোন পেজের সাহায্য নিতে পারি যারা নিয়মিত কবিতা প্রকাশ করে থাকে।
-
- সুখ ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখার জিনিস নয়; এটি বর্তমানে উপভোগ করার জন্য।
-
- রাতের পর যেমন আসে ভোর, বৃষ্টির পর যেমন আসে রৌদ্র ঠিক তেমনি দুঃখের অন্ধকার কেটে গিয়ে সুখের আলো ফুটে ওঠে।
- যারা প্রকৃত জ্ঞানী তাঁরা কখনো সুখের অনুসন্ধান করে না ; তাঁরা দুঃখ কষ্ট থেকে অব্যাহতির রাস্তাই খোঁজেন মাত্র।
- সুখের তীব্র আকাঙ্ক্ষায়ই তারুণ্যকে ধরে রাখে।
-
- প্রকৃত সুখী হতে গেলে জ্ঞানী হবার দরকার নেই। যে প্রকৃত সুখী সে ই যে আসল ভাগ্যবান।
- সমস্যার ও দুঃখের কথা চিন্তা করে আর তার জন্য আক্ষেপ করেই যদি বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিই তাহলে আনন্দের মুহূর্তগুলি আমরা কখনো ই উপভোগ করতে পারব না ।
- সুখ হলো মানুষের জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট অনুভূতি।
-
- তারাই সুখী যারা নিজেদের ত্রুটি মেনে নিয়ে নিজেদের সংশোধন করতে পারে ।
- আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারণ প্রত্যাশাই সবসময়ই জীবনের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
- পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ এই উভয় অনুভূতি ই বিরাজ করে সমানভাবে। একজন যখন কেউ চরম আনন্দ পায়, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হয়।
-
- এই পৃথিবীতে একসাথে কখনো সবাইকে সুখী রাখা সম্ভব না । কেউ না কেউ অসন্তুষ্ট থাকবেই।
- কাল কি হবে তা না ভেবে সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করলে জীবন আনন্দমুখর হয়ে উঠবে।
- সুখ কেনা যায় না বা কারো থেকে ধার নেয়া যায় না । সুখ হলো মানুষের অভ্যন্তরীণ একটি প্রতিক্রিয়া ;সুখী হতে হলে বেশী কিছু লাগে না । শুধু একটা সুখী মন হলেই যথেষ্ট ।
-
- একেকটি মানুষের কাছে সুখের সংজ্ঞা একেক রকম।
- সুখ ধন সম্পদ থেকে আসে না ; সুখের অনুভূতি বাস করে আত্মায়।
-
- সুখের একমাত্র উপায় হল ধর্ম আর মনুষ্যত্বেই লুকিয়ে আছে প্রকৃত সুখ ।
-
- আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্যই হল সুখের অনুসন্ধান করা ।
-
- সুখ নামক বস্তুটি একটি সুগন্ধির মতো যা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র এবং সবাইকে আকর্ষিত করে নিজের কাছে ।
-
- মানুষ যখন যেটা ভাবে ,বলেও করে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে একটি সুখের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
-
- সুখ এমনই একটি সূক্ষ্ম অনুভূতি যা নির্ভর করে সম্পূর্ণ সেই মানুষটির নিজের ওপরে ।
-
- সফলতা ই কেবল সুখের মূল কথা নয় । সুখ ই হল বাস্তবে সাফল্যের চাবিকাঠি। আমরা যে কাজটি ই করি না কেন তা যদি ভালোবাসার সাথে ও আনন্দ সহকারে করি তা হলে সফলতা আসবেই।
-
- কারোর জন্য কোনো হিতকর কাজ করলে সুখ আপনা আপনিই আপনাকে অনুসরণ করবে।
-
- সুখ কেবল বাহ্যিক বিষয়গুলি থেকেই আসে না; তা আসে মানুষের নিজস্ব মনোভাব থেকে ।
-
- সুখের প্রধান শত্রু এই দুজনই ;
ব্যথা ও একঘেয়েমি ।
- সুখের প্রধান শত্রু এই দুজনই ;
-
- সুশৃঙ্খল হৃদয় মানুষকে সুখের দিকে পরিচালিত করে ।
-
- একটি পরিশ্রমী মানুষের জীবনে দৈহিক ও মানসিক সুখ দুটোই উপস্থিত থাকে ।
-
- সুখ প্রধানভাবে নির্ভরশীল শারীরিক সুস্বাস্থ্যের ওপর ।
-
- জীবন রূপী ভ্রমণে যদি কেউ সেই যাত্রাপথের প্রেমে পড়ে যায় তাহলেই সে চিরসুখী।
-
- মানুষের জীবনের সুখ হল বেলাভূমিতে গড়ে তোলা বালির ঘরের মতো ; কোন মুহূর্তে যে তা জলে ভেসে যাবে তা কেউ জানে না।
- দুঃখ অবসানে সুখের আগমন ঘটবেই কিন্তু সুখের আতিশয্যে আত্মহারা না হয়ে যাওয়াটাই হল প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ ।
- সুখ যত বেশি স্থায়ী হয় ,তত বেশি তা হ্রাস পায় ।
- সুস্বাস্থ্য এবং ক্ষীণ স্মরণশক্তি মানুষকে প্রকৃত সুখ দিতে পারে।
-
- সুখের চারটি পাখা ;তাই বুঝি সে এত ক্ষণস্থায়ী ;সর্বদা উড়ে পালায়।
- ভালোবাসায় নিজের থেকেও অন্যের সুখ বেশি অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
- সুখ মানুষের জীবনকে করে দীর্ঘায়িত; তার কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করে।
-
- ঝড়ের জন্য অপেক্ষা করে সারা জীবন অতিবাহিত করলে যেমন ঝলমলে রৌদ্রের আনন্দটুকু উপভোগ করা যায় না তেমনি সারা জীবন দুঃখে নিমজ্জিত মন কখনো সুখের আস্বাদ পায় না।
- অগাধ ধনসম্পত্তি, ঐশ্বর্য ও আতিশয্যের মধ্যে সুখ থাকে না ; সুখের বাস হৃদয়ের অন্তস্থলে।
- সুখের ওপর বিশ্বাস না রাখলে সুখ কখনো আসে না।
-
- সুখের পরিমণ্ডল নির্মাণ করার প্রধান স্থপতি হল মানুষ নিজেই।
- সুখ চাইলেই সুখ পাওয়া যায় না ।সুখ পেতে গেলে চেষ্টা করতে হবে।
- উপার্জন অপেক্ষা বিতরণের মধ্যেই লুকিয়ে আছে মানুষের প্রকৃত সুখ।
-
- সুখের অন্যতম পন্থা হল ত্যাগ।
- সুখ হলো অনেকটা পর্বতমালার মতন ; এটি কখনো কখনো কালো মেঘের দ্বারা বেষ্টিত থাকে। তবে মেঘ কেটে গেলে সেটি আবার দৃশ্যমান হয়।
- পৃথিবীতে যারা সবকিছু মেনে নেওয়ার চেষ্টা করে তারাই হলো প্রকৃত সুখী ।
-
- বেদনা থেকে যে আনন্দের উৎপত্তি সেই আনন্দ তুলনা বিহীন ।
- সুখের দিন কারও কাছে নিজে থেকে আসে না; বরং আমাদেরই এমন দিনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়।
- মানুষের মস্তিষ্ক হল আসলে এক টুকরো মাংসপেশির ন্যায়; যখনই এটি ব্যবহৃত হয় তখনই আমরা আনন্দ অনুভব করি । কোন কিছু বুঝতে পারাটাই আনন্দের।
জীবনে সুন্দর মুহূর্ত গুলো মানুষের সাথে শেয়ার করা উচিত কারণ এ থেকে হতাশায় নিমজ্জিত ব্যক্তিরা একটু হলেও বাঁচার আশা খুঁজে পাবে। আমাদের জীবনে পাওয়া সাফল্যের পেছনে কতটা পরিশ্রম থাকে সে বিষয়টিও সবার সামনে তুলে ধরতে হবে। জীবন সুন্দর, এই সত্যটি তুলে ধরতে হবে আমাদের আশেপাশের প্রতিটি ঘটনা বর্ণনার মাধ্যমে। সাধারণত আমরা তখনই আনন্দিত হই যখন আমাদের জীবনের কোন একটি লক্ষ্য পূরণ হয় অথবা কোন স্বপ্ন সত্যি হয়।
ঠিক এভাবেই প্রতিটি মানুষের লক্ষ্য একদিন পূরণ হবে তা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য হলেও সবাইকে জানানো উচিৎ। এর পাশাপাশি আমাদের আরো একটি কথা মনে রাখতে হবে তা হল আনন্দের মুহূর্ত চিরস্থায়ী হবে না। আনন্দের মুহূর্ত একসময় চলে যাবে, হয়তো আবার ফিরে আসবে। তাই প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে হবে নিজের মতো করে।