আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আপনাদের সাথে আলোচনা করব। অনেকে লম্বা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং গ্রোথ প্রোমোটার সেবন করে থাকেন। কিন্তু সঠিক ঔষধ সেবন করেন কি?
লম্বা হওয়ার ঔষধ সেবন করে কোন ফলাফল পাওয়া যায় কি?সত্যিই কি লম্বা হওয়ার ওষুধ খেলে উচ্চতা বৃদ্ধি করা যায? এরকম সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকে আমরা হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। উচ্চতা বৃদ্ধি সম্পর্কে সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেবো এবং উচ্চতা বৃদ্ধি হওয়ার প্রাকৃতিক কিছু উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনায় আপনারা সবাই আমাদের সাথে থাকুন।
বাজারে অনেক ধরনের উচ্চতা বৃদ্ধি করার ঔষধ পাওয়া যায় । অনেকে এ ধরনের ঔষধ সেবন করেন। নামিদামি মানুষেরা টাকার জন্য এসব মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। বিজ্ঞাপন দেখে আকর্ষিত হয়ে আমরা সবাই এই ধরনের ঔষধ সেবন করি। এটা একদম এক ধরনের প্রতারণার শিকার। কারণ কোন ঔষধ সেবন করে উচ্চতা বৃদ্ধি হয় না। বাজারে অথবা অনলাইনে আমরা যে সকল ঔষধ দেখে থাকি উচ্চতা বৃদ্ধি করার জন্য সেই সবই মিথ্যা।
তাই উচিত এই ধরনের ঔষধের পেছনের না ছুটে নিজের সন্তান যেন সঠিক এবং সুস্থ শরীর নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। আর এই জিনিসটা নিশ্চিত করবেন একজন সচেতন অভিভাবক তবে সচেতন অভিভাবকেরাই মাঝেমধ্যে ভুল করে বসে আশা করছি আপনি তাদের মধ্যে একজন নন। আপনার সন্তান সারাদিন কি করছে আপনার সন্তান সারাদিন কি খাবারগুলো খাচ্ছে এবং তার শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে সব সময় খোঁজ খবর রাখুন দেখবেন সে এমনিতে সুস্থ থাকবে।
শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একজন শিশুর মা। যেহেতু আমাদের দেশের পরিবেশ অনুযায়ী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাবা বাড়ির বাইরে থাকে এবং তার কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং শিশুর কাছে সব সময় তারা মা থাকে তাই এই ক্ষেত্রে শিশুর সঠিক উচ্চতা বৃদ্ধিতে সবথেকে সাহায্য করে তার মা। একজন সচেতন মাকে সবসময় নিজের সন্তানের শারীরিক পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে হবে। সন্তানকে আমিষ জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ বেশি করে দিতে হবে। সন্তান যাতে প্রতিদিন খেলাধুলা করে এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাস সম্পূর্ণ পরিবেশ পায় সেই দিকে মায়ের নজর রাখতে হবে।
তার সন্তান সারাদিন কি খাবার খাচ্ছে তাতে তার শরীরের সঠিক পুষ্টি পূরণ হচ্ছে কিনা সেটা জানা জরুরী একটি ব্যাপার। তাই একজন মাকে সবসময় সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে এবং নিজে সন্তানের খাবারের খোঁজ খবর রাখতে হবে সব সময়। বিষয়টি এমন নয় যে সব সময় খাবে বলে সন্তান বড় হবে অল্প খা কিন্তু পুষ্টিকর ও ভেজালভুক্ত খাবার খাক এমনিতেই সন্তান সুস্থ এবং সতেজ থাকবে।
লম্বা হওয়ার একটি সাধারণ টিপস আছে আমাদের কাছে। এখানে প্রথম শর্ত হচ্ছে বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শিশুদের বাড়তি বয়সে যত বেশি পুষ্টিকর খাবার খাবে এবং তার পাশাপাশি যতটা শারীরিক পরিশ্রম বা শারীরিক ব্যায়াম করবে বা খেলাধুলা করবে সেই শিশু তত তাড়াতাড়ি বড় হবে।
এছাড়া উচ্চতা বৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখে বংশগত জিন। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধিতে ৮০ ভাগ বৈশিষ্ট্য পালন করে তাদের জিন। জেনেটিক্স, (ডি এন এ আর এন এ) ডিএনএ অর্থাৎ ডিঅক্সিড রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড। এবং আরএনএ হলো রাইব নিউক্লিক অ্যাসিড। ডিএনএ এবং আর এন এ সরাসরি মানুষের দেহের গঠন নির্ধারণের ওপর বৈশিষ্ট্য রাখে। একটি মানব সন্তান এর দেহের ডিএনএ এবং আরএনএ আসে তার পিতা-মাতা এবং পরিবারের অন্য সদস্য দ্বারা। তাই মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধির পেছনে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব রাখে মানব জিন।
কিন্তু কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম কারণের মাধ্যমেও উচ্চতা বৃদ্ধি করা যায়। যেমন কিছু শারীরিক ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে। কিছু কিছু প্রেম রয়েছে যার মাধ্যমে উচ্চতা বৃদ্ধি হয়ে থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টির অভাবের কারণেও উচ্চতা বৃদ্ধি পায় না। অনেকের ক্ষেত্রে হরমোন জনিত সমস্যা দেখা দেয়। আশা করি উচ্চতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত এই সকল তথ্য জানতে পেরে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।