তোতলামি সাধারণত অস্পষ্ট কথা বলা কে বোঝায়। কোন কোন শিশু অনেক বড় হওয়ার পরও তাদের কথার মধ্যে কোন স্পষ্টতা থাকে না। আর যখন কোন স্পষ্টতা থাকে না তখনই তাদেরকে তোতলা বা তোতলামি বলে মনে করা হয়। তবে প্রত্যেক শিশুই যখন কথা বলা শিখে তখন সবাই আধুভাদো কথা বলে এবং এই আধুনিক কথা বলা কেউ তোতলামি বলা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যেক শিশুর ক্ষেত্রেই এই তোতলামিটা থাকে। কিন্তু কোন কোন শিশু যখন অনেক বড় হওয়ার পরও তোতলামু থেকেই যায় তখনই তাদেরকে বলা হয় তোতলা। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখান থেকে এসেছেন জানতে যে তোতলামি ভালো করার জন্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ কোনটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
যদি কোন বাবা-মায়ের সন্তান তোতলা হয় তাহলে সেই বাবা-মায়ের অনেকটাই চিন্তা বেড়ে যায় তার শিশুকে কিভাবে সঠিক কথা বলা শেখাবে। সঠিক কথা বলা শেখানোর জন্য তাদের অবশ্যই অনেক কিছুই প্রয়োজন হয়। তাই আজকে দেখাবো আপনাদেরকে যে যদি কোন শিশু তোতলা হয়ে থাকে তাহলে সেই তোতলা শিশুদেরকে আমরা কিভাবে ভালো করতে পারি সেই বিষয়টি।
তোতলামি কেন হয়
সাধারণত আমরা জানি যে তোতলামি হওয়ার কারণ হলো মুখ্যবিবরের মধ্যে যে কন্ঠনালী রয়েছে সেই কন্ঠনালীর কোন ধরনের সমস্যার কারণে শিশুরা তোতলামি করতে পারে। অর্থাৎ আমাদের কন্ঠনালীর মধ্যে সব সময় লালা জাতীয় পদার্থ থাকে। লালা জাতীয় পদার্থ গুলি থাকার কারণে সব সময় কণ্ঠনালী ভিজে থাকে এবং তখন অবশ্যই সঠিকভাবে কণ্ঠনালী কাজ করতে পারে। কিন্তু কণ্ঠনালী মধ্যে যদি এই লালা বেশি অথবা কম থাকে তখনই সমস্যা হয় কন্ঠ তৈরি করার জন্য। আর এ থেকেই সাধারণত তোতলামি হয় বলে মনে করা হয়।
হোমিওপ্যাথি ঔষধ
হোমিওপ্যাথি ঔষধ একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন ঔষধ। এইজন্য পুরাতন রোগ এবং বিশেষ করে মেয়েলি রোগ সারার জন্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই হোমিওপ্যাথি ঔষধ যদি দীর্ঘদিন যাবত আমরা সেবন করতে পারি তাহলে অবশ্যই তোতলামু থেকেও রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। আর এই কারণেই আজকে আপনারা জানতে এসেছেন যে তোতলামি রোগ সারার জন্য হোমিওপ্যাথি কোন ঔষধি ব্যবহার করা যেতে পারে। এলোপ্যাথিক এর মত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে বিভিন্ন ধরনের রোগ সারানোর জন্য। কারণ হোমিওপ্যাথি ঔষধ আধুনিক যুগে এসেও বেশ সুনামের সহিত এ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে।
তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে অবশ্যই হোমিওপ্যাথি ঔষধে তোতলামি সারানোর বিষয়টি ভালোভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। যেহেতু আমরা আগেই বলেছি যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ অনেকটা কার্যকর এবং এই হোমিওপ্যাথি ঔষধ অনেক ব্যক্তি ব্যবহার করে থাকেন তাই হোমিওপ্যাথি ঔষধ দিয়ে কিভাবে তোতলাম দূর করা যায় সে বিষয়টি আপনাদের জানতে হবে। এবং এ বিষয়টি জানার জন্যই আজকে আপনাদেরকে এখান থেকে অবগত করাবো। তাহলে চলুন এখন আমরা দেখে নিতে পারি যে কোন হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহার করে শিশুর বা পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির তোতলামো দূর করা যায়।
তোতলামি দূর করার হোমিও ঔষধ
অনেকেই মনে করে থাকে যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ দিয়ে তেমন কোন রোগ সারে না। কিন্তু আবার অনেকে এও মনে করে থাকেন যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ দ্বারা অনেক পুরাতন রোগ পর্যন্ত ভালো হয়ে যায়। তাই আপনাদের যাদের হোমিওপ্যাথি ঔষধের ওপর বিশ্বাস হয়েছে তারা অবশ্যই তোতলামি দূর করার জন্য হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কারণ এই ঔষধের দ্বারা অনেকেই তোতলামি ভালো হয়েছে।মুনমানি জাতীয় ঔষধ। এই মন মানিক জাতীয় ওষুধের মত মধ্যে কয়েক ফোঁটা পানি জাতীয় ঔষধ মিশিয়ে ছয় মাস খাওয়ালে শিশুর তোতলামি অনেকটাই দূর হয়ে যেতে পারে। তাই আপনারা যদি যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমাদের এখানে জানতে আসেন তাহলে অবশ্যই সব সমস্যার সমাধান বা সব ধরনের সমস্যার কারণগুলো আমরা আপনাদেরকে বলে দিতে পারব।