আপনারা যদি ফাইটি লিভারের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ওষুধের ক্ষেত্রে কোন ওষুধ খাওয়া যেতে পারে তা অনেকেই জানতে চান। আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমরা ফ্যাটি লিভারের হোমিওপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারি। আপনারা যারা ফ্যাটি লিভারের হোমিওপ্যাথি ওষুধ সম্পর্কে অবগত হতে এখানে ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে চলেছি। সেই সাথে ফ্যাটি লিভার হলে কোন ধরনের জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করবেন অথবা মুক্তির উপায় হিসেবে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো হয় তা আপনাদের সামনে জানাতে চলেছি বলে আপনারা সেগুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ফ্যাটি লিভার হল এমন এক ধরনের অসুখ যেটার মাধ্যমে আপনার যকৃতের চারিদিকে চর্বি জমে যাবে এবং একটা পুরো স্তর তৈরি করবে। যকৃতের চারিদিকে হালকা চর্বি থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু এটা যদি বেশি পরিমাণে হয়ে যায় তাহলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার দিকে আপনি পতিত হবেন। আর ফ্যাটি লিভারের ফলে আপনার খাবারের যেমন অরুচি তৈরি হবে তেমনিভাবে কোন খাবার যেমন হজম হবে না তেমনি আরো আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে। দৈনন্দিন জীবনের সুস্বাস্থ্য অর্জন করাটাই মূল লক্ষ্য এবং এক্ষেত্রে ফ্যাটিলিভার হয়ে থাকলে আপনি বিভিন্ন সমস্যায় পতিত হবেন বলে সে বিষয়ে আগে থেকে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বাস্তবিক জীবনে যারা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় গ্রহণ করে থাকেন তাদের ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা যেমন থেকে থাকে তেমনি ভাবে অনেক মানুষ রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন থেকে শুরু করে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ এবং অতিরিক্ত চিনি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মসলাদার বাইরের খাবার খাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। তাই আপনি অ্যালকোহল যদি পান করেন তাহলে সর্বপ্রথমে এটা আপনাদেরকে বাদ দিতে হবে এবং আপনি যদি অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন তাহলে সেটাও কিন্তু আপনাকে বাদ দিয়ে চলতে হবে।
একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের ক্ষেত্রে আপনার এই ফ্যাটি লিভার যদি অনেক বেশি হয়ে যায় তাহলে শুধু ওষুধ খেয়ে আপনার এই সমস্যার সমাধান করা হয়তো সম্ভব হবে না। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে চিনি জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে চলতে হবে এবং বাইরের যে সকল মসলাদার খাবার আপনার অনেক ভালো লাগছে সেগুলো একেবারে বাদ দিয়ে চলতে হবে। আর এক্ষেত্রে যারা হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম জানতে চান তাদের বলবো যে ডাক্তাররা সবসময় ওষুধের নাম হাইড রেখে রোগীদের ওষুধ প্রদান করে থাকেন বলে এ বিষয়ে আমরা অনেক সময় তা জানি না।
ফ্যাটি লিভারের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
তাছাড়া কোন রোগের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করলে ভালো হয় তা কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা। অর্থাৎ ফ্যাটি লিভারের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থার বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী সেই অনুযায়ী ওষুধ প্রদান করবেন। সুতরাং এখান থেকে দু একটা ওষুধের নাম জেনে নিয়ে সেটা কিভাবে খেতে হবে অথবা আপনার শরীরের পরে সেটা কিভাবে ইফেক্ট করবে তা কিন্তু বলা যাবে না।
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
সাধারণত যাদের শরীর অনেক মোটা হয়ে থাকে তাদের কিন্তু ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এটা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যা হয়ে থাকার কারণে কেউ অবহেলা করবেন না। ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকলে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মেনে চলতে চাইছেন সেটা পরিহার করে নির্দিষ্ট জীবন যাপন করতে হবে। বিশেষ করে খাদ্যের মধ্যে যে চিনি রয়েছে সেগুলোই আপনাদের খেতে হবে এবং আলাদাভাবে যে কৃত্রিম চিনি পাওয়া যায় সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যাতে করে আপনার খাবার খুব দ্রুত হজম হয় এবং আপনি খাবার হজম করে শান্তি পান। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খেতে হবে এবং এক্ষেত্রে যে প্রোটিন বাদ দিয়ে চলতে হবে তা কিন্তু করা যাবে না। সুতরাং ফ্যাটি লিভার হলে কি কি পদ্ধতিতে আপনারা এগুলো এড়িয়ে চলবেন অথবা কোন পদ্ধতিতে আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে তা জানতে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।