আমাদের সমাজে অনেক মানুষের পিত্তথলিতে পাথর হয়ে থাকে। আর পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ফলে আপনারা যখন এটার সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করার কথা ভাবেন তখন হয়তো অনেকেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে চান। যাদের ধৈর্য ধারণ করে ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অথবা আউটপুট না পাওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে বসে থাকতে পারেন তারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিলে আশা করি সেটা আপনাদের জন্য ভালো হবে। কারণ বর্তমান সময়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যতীত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা আপনাদেরকে ভালো ফলাফল দিতে সারাক্ষণ হচ্ছে।
দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেক সময় সেই খাদ্যাভ্যাস এর জীবন গুলো দিয়ে পাথরের সৃষ্টি করে। অনেকের অল্প পরিমাণে পাথর হয়ে থাকলেও অনেকের বেশি পরিমাণে বাজার হয় এবং এটা থেকে যে খুব বেশি জ্বালা যন্ত্রণার সৃষ্টি হবে এমনটা না। তবে পিত্তথলিতে দীর্ঘদিন ধরে পাথর থাকলে সেটা পরবর্তীতে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে অথবা পিত্ত নালীতে চলে গিয়ে এটা জন্ডিসের সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং কোন রোগ ভালো নাই এবং রোগের ক্ষেত্রে কোন ধরনের কম্প্রোমাইজ না করে চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করাটাই ভালো হবে।
কারণ কোন একটা অসুখের চিকিৎসা আপনি যদি না করাতে চান এবং পরবর্তী সময়ে যদি এটার জন্য অপেক্ষা করেন তাহলে দেখা যাবে আস্তে আস্তে রোগের বর্ধন খুব দ্রুত হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা পিত্তথলিতে পাথর হওয়া প্রসঙ্গে বলব যে যেকোনো ধরনের রোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চললে প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিরোধ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি যদি পিত্তথলির পাথর গলাতে চান তাহলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিলে এটা প্রাথমিক অবস্থায় নিতে হবে নয়তবা খুব একটা কাজে আসবে না।
অর্থাৎ পিত্তথলিতে পাথর গলানোর ক্ষেত্রে আপনারা যারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিবেন বলে ভাবছেন তারা দেরি না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারলে আশা করি ওষুধ নির্বাচনের সঠিক তা অবলম্বনে ভিত্তিতে এটা সমাধান পাওয়া যাবে। তবে যাই হোক আপনারা যেহেতু এই পোস্ট ভিজিট করেছেন সেহেতু একটা বিষয় বলবো যে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর বিভিন্ন বর্ণনার উপরে নির্ভর করে একজন চিকিৎসক ওষুধ নির্বাচন করে থাকেন। তাছাড়া ওষুধ প্রদানের ক্ষেত্রে এক এক ডাক্তার একেক রকম ভাবে দিয়ে থাকেন বলে আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ওষুধ নিলে আশা করি সেটা খুব ভালো হবে।
তবে ডাক্তারেরা ওষুধের নামের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নাম প্রদান করে থাকে না বলে সেটা আপনাদেরকে প্রদান করা গেল না। কারণ প্রত্যেকটা হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকানদারের একটা নিজস্ব টেকনিক রয়েছে এবং এক্ষেত্রে ওষুধের নাম জানিয়ে দিলে আপনি সেটা বাইরে থেকে কিনে খেতে পারবেন বলে নাম লিখে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ ফাঁকা বদলে আপনাদেরকে ওষুধ প্রদান করে সেটা দিনের ভেতরে কিভাবে কতবার খেতে হবে এবং কি পরিমান খেতে হবে তা উল্লেখ করে দেয়। তাই পিত্তথলিতে পাথর গলানোর ক্ষেত্রে আপনারা চিকিৎসকেরা যে পরামর্শ দিয়ে থাকবে সেটাই অনুসরণ করবেন।
পিত্তথলির পাথর গলানোর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নাম কি
যেহেতু আপনাদের উদ্দেশ্যে উপরের দিকে পাথর গলানোর হোমিওপ্যাথিক ওষুধের নাম জানিয়ে দিতে পারলাম না সেহেতু আপনারা এলাকার ভেতরে যারা সঠিকভাবে ওষুধ প্রদান করে এবং যাদের ওষুধ কার্যকরী উপায়ে অনেকেই ফলাফল পেয়েছে তাদের শরণাপন্ন হতে পারেন। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে যদি এটা ভালো না হয় তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের হয়তো সার্জারির অনুসরণ করা লাগতে পারে।
পিত্তথলির পাথর গলানোর উপায়
অর্থাৎ পিত্ত থলিতে পাথর গলানোর ক্ষেত্রে ওষুধ দিয়ে যদি কাজ না হয় তাহলে আপনাদেরকে ল্যাপরোস্কপি সার্জারির অনুসরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অনেকে এই সার্জারির বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্ত ধারণা রেখে থাকলেও বলবো যে বর্তমান সময়ে উন্নত অস্ত্রোপচার এর করার মাধ্যমে খুব দ্রুত শরীরের ভেতর থেকে পিত্তথলির পাথর প্রতিটি অংশের কেটে বের করে আনা হচ্ছে। চিকিৎসক যদি আপনার পিত্তথলির পাথর গলানোর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার অনুসরণ করতে বলে তাহলে দেরি না করে অথবা ভেতরে কোন কনফিউশন না রেখে এটা করে নিবেন। তাই দৈনন্দিন জীবনে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক জীবন ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।