ড্রাই ফুডস গুলোর মধ্যে সবচাইতে যেটি জনপ্রিয় সেটি হলো কিসমিস। এটি একটি সুস্বাদু ড্রাইভ ফুড। বাচ্চা থেকে বড় সবাই কিসমিস খেতে কিন্তু পছন্দ করে। কিসমিস খাওয়া ভালো। যেকোনো বয়সের মানুষেরা কিন্তু নিয়মিত কিসমিস খেতে পারে। নিয়মিত ড্রাই ফুডস খাওয়া খুবই ভালো। কারণ ড্রাই ফুডস এ রয়েছে পটাশিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার আমাদের খাদ্য হজম করতে সহযোগিতা করে। এর ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
সকলের পছন্দের এই কিসমিস কিভাবে তৈরি করা হয় সেটা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে। অনেকে ধারণা করে যে আঙ্গুর ফল রোদে শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। কিন্তু অনেক আঙ্গুর ফল কিন্তু টক হয়। তাহলে কিসমিস কেন মিষ্টি হয়?তারপর আবার কারো কারো মনে প্রশ্ন জাগে কোন কোন আঙ্গুর ফল তো আকারে লম্বাটে হয়।
তাহলে সব কিসমিস কেন গোল হয়ে থাকে। আঙ্গুর ফলের তুলনায় কিসমিসের আকার কিন্তু অনেক ছোট হয়। এটা হতে পারে যে রোদে শুকিয়ে আকারে ছোট হয়ে গেছে।তাই যারা জানতে চাই কিভাবে কিশমিশ তৈরি করা হয় তাদের আজকে আমরা সঠিক তথ্য জানাবো যে আসলে কিভাবে কিসমিস তৈরি করা হয়।মূলত কিসমিস তৈরি করা হয় আঙ্গুর ফল শুকানোর মাধ্যমে। কিন্তু আমরা বাজারে যে আঙ্গুর ফল ফল হিসেবে খাই সেই আঙ্গুর ফল কিন্তু সরাসরি রোধে শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি করা যাবে না।
কিসমিস তৈরি করার জন্য আলাদা একটি আঙ্গুর ফল রয়েছে। কিসমিস ব্যবসায়ীরা সেই আঙ্গুর ফল চাষ করে করে বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে রোদে শুকিয়ে আঙ্গুর ফল তৈরি করা হয়।এটি তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। তাপের ফ্রুক্টোজগুলো জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে। আর এভাবেই আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা হার্টকে ভাল রাখে এবং খারাপ কোলেস্টরল দূর করতে সাহায্য করে।
কে না জানে, কিসমিস খুবই উপকারী। এটা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিসমিসে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিশমিশ খেলে কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর হয় সেগুলো আবার আমরা জেনে নেব।
ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ।
রক্ত স্বল্পতা বা রক্ত শূন্যতা কমায়।
হজমশক্তি বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বিষমুক্ত শরীর।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ড্রাই ফুড হিসেবে যারা কিসমিস খাও তারা কি জানো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা?
তাহলে চলো আমরা জেনে আসি কিসমিস খেলে আমাদের শরীরে কোন ধরনের উপকার হয়।
কিসমিসের উপকারের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। এমনকি কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিসমিসে ভিটামিন,খনিজ,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার রয়েছে। কিসমিস শরীরে যেমন শক্তি যোগায় এবং রক্ত উৎপাদনেও সহায়তা করে।
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা শরীরের পরিপাকক্রিয়ায় দ্রুত সাহায্য করে। এতে করে খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যর মত সমস্যা দূর করে।এমন অনেক মানুষ আছে যারা ওজন বাড়াতে চায়। আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান সেক্ষেত্রে কিসমিস হতে পারে আপনার পরম বন্ধু। এছাড়া কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। সব ড্রাই ফুড সেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই যাদের হজমের সমস্যা তারা কিন্তু নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারে। আর ড্রাই ফুডস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু হলো কিসমিস।
কিসমিস রোজকারের খাবারের মধ্যে রাখলে শরীরে ক্যাটেচিন এর মতন শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিড্যান্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়,ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিসমিস শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কিসমিসে ভিটামিন এবং খনিজ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।কিসমিসে পাওয়া যায় আরো এক উপাদান, ক্যালসিয়াম, যা হাড় ও দাঁতের জন্য খুব প্রয়োজন।তাহলে বন্ধুগণ আজকে আমরা জানতে পারলাম যে আসলে কিভাবে কিসমিস তৈরি করা হয়। এবং কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে আমরা নিয়মিত কিসমিস খাবো।