টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে

ক্লাসে যারা টপার হয়ে থাকে তারা যে সারাদিন পড়াশোনা করে এমন নয়। আবার আপনি যদি সারাদিন বই নিয়ে পড়ে থাকেন তাহলেও যে একেবারে টপার হয়ে যেতে পারবেন অথবা ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। লক্ষ্য করলে দেখবেন কিছু কিছু ব্যাকবেঞ্চার রয়েছে যারা পরীক্ষার আগ মুহূর্তে পড়ে ভাল ফলাফল করতে পারছেন। তাই পড়াশোনা করার মানেই যে আপনাকে সব সময় বই নিয়ে বসে থাকতে হবে এমনটা না ভেবে কিছু টেকনিক ফলো করলে খুব দ্রুত কিন্তু ভালো ফলাফল করা যায় এবং টপার হওয়া যায়।

আমরা যারা মনে করি যে তার হয়তো বুদ্ধি অনেক বেশি অথবা তার ব্রেন বেশি তাই সে হয়তো বুঝতে পারছে বেশি অথবা ভালো ফলাফল করতে তারা এই ধরনের ভ্রান্ত ধারণা বাদ দিয়ে চলবেন। প্রত্যেকটি মানুষেরই মেধা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি মানুষেরই বুদ্ধি বা ব্রেন একই পরিমাণে রয়েছে। প্রধান সমস্যা হলো আমরা যদি ঠিক মত কোন কিছু ভাবতে না পারি অথবা সে বিষয়ে যদি মনোযোগ না প্রদান করি তাহলে সেটা আমাদের দ্বারা সম্ভব হবে না।

কোন একটা গণিতের সমস্যা আপনি ঠিক যেভাবে ভাবছেন অন্য একজন স্টুডেন্ট কিন্তু সেভাবে নাও ভাবতে পারে অথবা সেইখানে যতটুকু মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন সেই মনোযোগ নাও দিতে পারে। তাই আপনি একটা বিষয় পড়ার ক্ষেত্রে কতটুকু মনোযোগ দিচ্ছেন এবং আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সেটা কতটা ভাবতে পারছেন তার ওপরে নির্ভর করে ই পড়াশোনায় এগিয়ে যেতে পারবেন।

তাই টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে সে প্রসঙ্গে বলবো যে তারা বাস্তবতার ভিত্তিতে সকল কিছু ভাবতে পারে এবং পরীক্ষার খাতায় কোন কিছু উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টাইল অনুসরণ করে। আপনি যদি আর দশ জনের মত করে পরীক্ষার খাতায় উত্তর প্রদান করেন তাহলে নাম্বার কিন্তু তাদের মতই পাবেন অথবা নাম্বার কম পাবেন। কিন্তু পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে আপনি কোন স্টাইল অনুসরণ করতে পারেন এবং সেটা যদি একজন শিক্ষকের মন আকর্ষণ করতে সুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ভাল নাম্বার পাবেন তাছাড়া টপার রা তাই করে থাকেন।

সারাদিন পড়াশোনা করার উপায়

অনেকেই বলে থাকেন যে সারাদিন পড়াশোনা করা সম্ভব নয় অথবা সারা দিন পড়াশোনা করার কোন ধরনের টেকনিক আছে কিনা। পড়াশোনা করেন না এমন কোন ব্যক্তি হঠাৎ করে যদি সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকেন অথবা সারা দিন পড়ার চেষ্টা করেন তাহলে তার মাথা হ্যাং হয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক। তাই প্রত্যেকটি কাজের একটা সিস্টেম রয়েছে এবং এক্ষেত্রে সারাদিন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ২ ঘন্টা পড়ার চেষ্টা করতে হবে এবং আস্তে আস্তে তিন ঘন্টা বা চার ঘন্টা এভাবে সময় বৃদ্ধি করতে হবে।

কিভাবে পড়াশোনা করে টপার দের টেক্কা দেওয়া যায়

টেক্কা দেওয়া বা হিংসা করা এ ধরনের চিন্তাভাবনা না রেখে আপনি আপনার ফলাফল ভালোমতো অর্জন করবেন অথবা ভালোমতো শিখে মানুষের মত মানুষ হবেন এমনটাই চিন্তাভাবনা রাখা উচিত। অন্য কাউকে পার হতে হবে এরকম মানসিকতা রাখার চাইতে অথবা অন্য কাউকে নিচে রাখতে হবে এরকম মানসিকতা রাখার চাইলে ভালো ফলাফল করতে পারলেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। হিংসামূলক কর্মকান্ড সৃষ্টিকর্তা পছন্দ করেন না। আর যারা সারাদিন পড়াশোনা করার চিন্তাভাবনা করছেন তাদেরকে আস্তে আস্তে পড়ার গতি বৃদ্ধি করতে হবে এবং প্রতি আধা ঘন্টা পর পর গ্যাপ দিয়ে রেস্ট নিতে হবে।

টপার দের মতো ভালোভাবে পড়াশোনা করে রেজাল্ট করার উপায়

যারা টপার হয়ে থাকেন তাদের যদি ভালো রেজাল্ট দেখে আপনি খুশি হয়ে থাকেন এবং এরকম রেজাল্ট যদি আপনি করতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। একদিনে ১০ ঘন্টা পড়ার চাইতে প্রত্যেকদিন চার ঘন্টা করে নিয়ম করে পড়ার ফলাফল অনেক ভালো। তাই পরীক্ষার আগে অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে আপনারা যদি একাডেমিক পর্যায়ে সব সময় নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করেন তাহলে সেটাই আপনাকে ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে পারবে। আর কোন বিষয়ে কনফিউশন না রেখে প্রত্যেকটি বিষয় ভালোমতো বোঝার চেষ্টা করবেন তাহলেই সবকিছুতে এগিয়ে থাকতে পারবেন।

Leave a Comment