একজন নারীর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো হলো গর্ভবতী হওয়া। তবে যে সকল নারী প্রথমে গর্ভবতী হয় তারা অনেকেই প্রেগনেন্ট কিনা কিভাবে বুঝবে সে বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানে না। আর এই বিষয়টি না জানার কারণে অনেকেরই নানান ধরনের সমস্যা হয়। তবে আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা সেটা বোঝার অনেক উপায় বর্তমানে রয়েছে। কোনো নারীর পিরিয়ড মিস হয়েছে মানেই যে সে প্রেগনেন্ট এমনটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। আরও অনেক কারণেই পিরিয়ড মিস হতে পারে। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগন্যাস্টি টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।
বর্তমান সময়ে কোন নারী প্রেগন্যান্ট হয়েছে কিনা এই বিষয়টি জানার জন্য তেমন কঠিন কিছু করতে হয় না। ঘরে বসেই খুব সহজে প্রেগনেন্ট টেস্ট করা যায়। তবে অনেক নারী কিভাবে প্রেগনেন্ট টেস্ট করতে হয় সেটা জানে না তাই আপনি যদি পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করে এই বিষয়টি সঠিকভাবে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব প্রেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করবেন তার সহজ কিছু পদ্ধতি। চলুন তাহলে এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
একজন নারীর জন্য প্রেগনেন্ট টেস্ট করা খুবই জরুরী একটি বিষয়। কারণ প্রেগনেন্ট টেস্ট আপনি যদি না করেন তাহলে আপনি সঠিকভাবে জানতে পারবেন না আসলে আপনি পেগনেন্ট কিনা। আর আপনি যদি প্রেগন্যান্ট হয়ে থাকেন আর এটা সঠিকভাবে যদি না জানেন অনেক সময় আপনার বাচ্চা নানা কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে তো এটা টেস্ট করার মাধ্যমে আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনি আসলে প্রেগনেন্ট তাহলে আপনি সতর্ক হয়ে চলাফেরা করবেন। তবে প্রেগনেন্ট টেস্ট করার জন্য সঠিক কিছু নিয়ম রয়েছে। চলুন তাহলে জানা যাক কিভাবে প্রেগন্যান্ট টেস্ট করতে হয়।
যেভাবে করতে হবে প্রেগনেন্ট টেস্ট
কোন নারী যদি সঠিকভাবে তার প্রেগনেন্ট টেস্ট করতে চায় তাহলে সর্বপ্রথম একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আর তা হলো তার পিরিয়ড ঠিক কতদিন বন্ধ রয়েছে এই বিষয়টি বুঝতে হবে। পিরিয়ড এর ডেট ১০ থেকে ১৫ দিন পার হওয়ার পরে তাকে প্রেগনেন্ট টেস্ট করতে হবে যদি প্রেগনেন্ট টেস্টের সঠিক ফলাফল সে পেতে চাই। পিরিয়ডে ডেট এর আগে আপনি যদি প্রেগনেন্ট টেস্ট করে থাকেন তাহলে অনেক সময় সেটা নেগেটিভ আসতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে আপনাকে এই টেস্ট করে নিতে হবে।
প্রেগনেন্ট টেস্ট করার জন্য প্রথমে একজন নারীকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম প্রসাব থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়। কারণ এসময় প্রস্রাবে বেশি ঘনীভূত থাকে। আর যে কারণে প্রস্রাবে থাকা এইচ সিজি হরমোনের উপস্থিতি টা এই সময় ভালোভাবে বোঝা যায়। তাছাড়া আপনি যেই প্রেগন্যান্ট কিটের সাহায্যে প্রেগন্যান্সি চেক করবেন সেখানে সকল নিয়ম সঠিকভাবে লেখা থাকে। আপনি যদি কিভাবে প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন সঠিকভাবে বুঝতে না পারেন তাহলে
সে নির্দেশনা গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। প্রথমে একটি পাত্রে সকালের প্রথম প্রেসাবের কিছু নমুনা সংগ্রহ করুন।
তারপর প্রেগন্যান্সি কিটের নির্দিষ্ট স্থানে ড্রপারের সাহায্য প্রস্রাবের নমুনা দিন। আর নমুনা দেয়ার সাথে সাথে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনি ফলাফল দেখে নিতে পারবেন। যদি প্রেগনেন্সি কিটের একটি লাল দাগ উঠে তাহলে আপনি গর্ভবতী নন। আর কিটের উপরে যদি দুইটি লাল দাগ ওঠে তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনি গর্ভবতী। তবে যে পিরিয়ড মিস হওয়ার পর তারাহুড়ো করবেন না। অন্তত এক সপ্তাহ খানেক অপেক্ষা করে তারপর পরীক্ষা করুন। কারণ বেশি তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করলে রিপোর্ট ভুল আসতে পারে।
আমাদের অনেকের কাছে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা অনেক কঠিন একটি কাজ বলে মনে হয়। অনেকে অনেক বার চেষ্টা করেও এই কাজটি সঠিক ভাবে করতে পারে না। কারণ তারা সঠিক নিয়ম জানেনা তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনাতে আপনাদের কে জানিয়ে দিলাম প্রেগনেন্ট টেস্ট করার সঠিক কিছু পদ্ধতি। আপনারা যদি প্রেগনেন্ট টেস্ট কি ভাবে করে এটা না জানেন তাহলে আমাদের আজকের আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ভাবে জেনে নিতে পারবেন।