এক কথায় বললে বলা যায় যে দাউদ এক প্রকারের ঘা। অর্থাৎ আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষত হতে পারে। আঘাতের দ্বারা ক্ষত হতে পারে কিন্তু দাউদ হলো আঘাত ছাড়াই যদি কোন ঘা হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে দাওয়াত খাওয়া বলে মনে করা হয়। নোংরা বা অপরিষ্কার জায়গায় ফাঁকা সাথে সাথে ঘরে বসবাস করা এবং বিশেষ করে নোংরা কাপড়-চোপড় যদি পড়ে থাকে তার জন্য এই ঘায়ের সব বেশি দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এই দাউদ হতে পারে তবে সাধারণত দাউদ যেখানে যেখানে হয় তা হলো শরীরের চিপা চাপা জায়গায়
অর্থাৎ আপনার জানের দুই চিপায় হতে পারে পেটে অথবা লোকের আঙ্গুলের চিপার মাঝে দাউদাগুলো হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি দাউদখানা থেকে মুক্ত থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এছাড়া আপনি যে ঘরে বসবাস করেন সেই ঘরে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাসের প্রবেশ থাকে তাহলে অবশ্যই এই রোগের থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে পারবেন। এছাড়াও দেখা যায় যে আপনার যদি ত্বক সুস্থ থাকে তাহলে অতিরিক্ত চুলকানোর মাধ্যমে দাওয়াত খাইর আবির্ভাব ঘটে থাকে।
দাউদ কিভাবে ভালো হয়
দাওয়াত খাওয়া যদি ভালো করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে বিশেষ করে দাউদ হলে পরে শক্ত সাবান স্নানের জন্য ব্যবহার না করাই ভালো বলে মনে করা হয়। তবে সর্বপ্রথম আপনি যে কাজটি করবেন তা হলো একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। এবং ডাক্তার যে ধরনের কথাগুলো বলবে সে কথাগুলো এবং যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে ভুলবেন সেই পদ্ধতিগুলো অবশ্যই অবলম্বন করে চলতে হবে। তবে চিকিৎসক আপনাকে এই কথাগুলোই বলবে যে যতদূর সম্ভব পারা যায় সত্য সাবানগুলো স্নানের সময় ব্যবহার না করা। স্নানের সময় বিশেষ করে গরম জল ইউজ করা। আবার মোটামুটি স্নান করতে হলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি সময় না লাগানো। এবং ডাক্তার সাহেব অবশ্যই বলবেন যে কিছু ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
এছাড়াও আপনি আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন আর তা হলো – ভাল কোনও আয়ুর্বেদিক ব্র্যান্ডের অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত সংক্রামিত জায়গায় লাগান, কিছুদিনের মধ্যেই দাদ ও জীবাণু দূর হবে। হলুদও অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণে সমৃদ্ধ। হলুদ বাটার সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে দাদ দ্বারা আক্রান্ত শরীরের অংশে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে স্নান করে নিন। এদের যদি আপনি দেখছেন যে আপনারা দাওয়াত ভালো হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই আপনি আবার আপনার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
এবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আপনাকে অবশ্যই সেখানে লাগানোর কিছু ওষুধ ছাড়াও মুখে খাওয়া কিছু ঔষধ দেবেন। এবং আপনার ত্বক যাতে শুষ্ক না হয় তার জন্য আপনাকে ন্যাচারাল কিছু খাবার খেতে হবে। মোটামুটি সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাণে জল পান করতে হবে তাহলেও শরীর শুষ্ক না হয়ে মোটামুটি ভাবে ভেজা থাকে। এছাড়া সব সময় আপনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করবেন তাতেও আপনার দাওয়াত অনেকটা বিস্তার লাভ করবে না এবং আস্তে আস্তে নির্মূল হবে বলে আশা করি।
তাই যে কোন অসুখ বা যে কোন রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে যে কাজটি করতে হবে তা হল বাইরের যে আবহাওয়া সেই আব্বার সাথে ঘরবাড়ি র সংযোগ ঘটাতে হয়। কারণ সাঁতরাতে আবহাওয়া বা যেখানে বসবাস করবে সেখানে যদি আলো বাতাস প্রবেশ না করে তাহলে এমনিতেই সাজাতে হয় এবং এ ধরনের অসুখগুলো বেশি পাদর দেখা দেয়। তাহলে আপনারা অবশ্যই চিনি তো পারলেন যে দাওয়াত কিভাবে আপনি ভালো করতে পারেন। আর এই ধরনের যেকোন তথ্য অর্থাৎ আমাদের জীবনে চরণে যে ধরনের শব্দ প্রয়োজন হয় সব তথ্য গুলো পাওয়ার জন্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আমাদের সাথে থাকতে পারেন।