থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হয়

সাধারণ কথায় অর্থাৎ সাধারণ বাংলা ভাষায় বললে বলা যায় যে ছেলের সেমিয়া একটি রক্তের জিনঘটিত রোগ বলে মনে করা হয়। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বললে বলতে হয় যে, থ্যালাসেমিয়া একটি অটোজোমাল মিউটেন্ট প্রচ্ছন্ন জিন ঘটিত বংশগত রক্তের রোগ। এই থ্যালাসেমিয়া রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেয় বা ত্রুটি দেখা দেয়। তাই থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকে।

তাই বলা যায় যে থ্যালাসেমিয়া রোগের জন্য মানুষ অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে এবং অনেক সময় যখন আর রক্ত দিতে পারে না অর্থাৎ হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে পারেনা তখন অবশ্যই মৃত্যু হতে পারে এই রোগের দ্বারা। মানুষের কোন ধরনের রোগেই ভালো নয় সব রোগেরই সমস্যা আছে এবং সব রোগ হলেই মানুষ কোন না কোন দিক থেকে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে বেড়ায়। তাই থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের বিষয় পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।

থ্যালাসেমিয়া কেন হয়?

সাধারণত থ্যালাসেমিয়া কেন হয় সেটি জানার জন্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তাদের গবেষণায় উঠে আসা বিষয়গুলি সম্পর্কে যদি আলোকপাত করা যায় তাহলে বলা যায় যে, সাধারণত ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবি ন জিনের কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগটি হয়। অর্থাৎ বাবা-মা অথবা বাবা-মা ও যদি থ্যালাসেমিয়া দিন বহন করে বা থাকে তাহলে বংশানুক্রমে এটি সন্তানের মধ্যে ছড়াতে পারে বা ছড়ায়। তাই এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে বাবা এবং মা উভয়ের থ্যালাসেমিয়া জিন থাকলে ভুমিষ্ঠ শিশুর শতকরা প্রায়

85 ভাগ শিশুরই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে বা আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই সর্বশেষভাবে এ কথাই উল্লেখ করা যায় যে সাধারণত বাবা-মায়ের যদি অথবা বাবা-মা কারোর যদি থ্যালাসেমিয়া থাকে তাহলে তাদের থ্যালাসেমিয়া রোগ হয়। এছাড়া এর ব্যতিক্রম রয়েছে অর্থাৎ বাবা-মায়ের থ্যালাসেমিয়া রোগ ছাড়াও কোনভাবে কোন কারণে সন্তানের ওপর এই থ্যালাসেমিয়া রোগটি চলে আসতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এটি বাবা-মায়ের কারনেই অর্থাৎ বাবা মায়ের রক্তে থাকার কারণে ই বেশিভাগে এই রোগটি সংঘটিত হচ্ছে।

থ্যালাসেমিয়া কি ভালো হওয়ার সম্ভব?

তবে এক কথায় যদি উত্তর দিতে হয় তাহলে বলা যায় যে থ্যালাসেমিয়া রোগ কখনোই ভালো হয় না। তবে সুষ্ঠু চিকিৎসার দিয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত খুব ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়। নিয়মিত রক্ত দিয়ে রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে যদি সঠিকভাবে থ্যালাসেমিয়া রোগীর চিকিৎসা করা হয় তাহলে অবশ্যই সেই রোগীকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত সুস্থ ভাবেই বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু এর চেয়ে কার্যকরী ভাষা সঠিক চিকিৎসা হলো অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা।

তবে বিষয় হলো যে নানা কারণে সবার জন্য এই অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় না বলেই মনে করা হয়। তাই অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করার যে চিকিৎসা সেই চিকিৎসা সবার জন্য নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন যে, নানা চিকিৎসা রয়েছে এই থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য। কিন্তু সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে হলে অস্তিমাত্রা প্রতিস্থাপন করতে হয়। তারপরেও এই রোগে হয়তো দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু কোন একটা সময় হয়তো তাকে আর ধরে রাখা সম্ভব হয় না।

তাই আপনারা বুঝে নিতে পারলেন যে, এই ধরনের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে এই ধরনের বিভিন্ন পোস্ট দেখে আপনারা বুঝে নিতে পারবেন বিষয়গুলো সম্পর্কে। আপনারা জানেন যে সব সময় আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে যে ধরনের বিষয় আপনাদের চাহিদা রয়েছে সেই সকল বিষয়গুলি সম্পর্কেই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আলোকপাত করে থাকি। আর এই ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকতে পারেন বলে আশা করি।

Leave a Comment