জলাতঙ্ক রোগের কথা আমরা কম বেশি সকলেই শুনে থাকবো। সাধারণত কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হয় বলে আমাদের ধারণা রয়েছে এবং এমনটা হয়েও থাকে। শুধু কুকুর নয় বরং এমন অনেক ধরনের প্রাণী রয়েছে যারা জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস বহন করে থাকে। তাই আপনারা যারা জ্বালাতন করুক কিভাবে হয় তা জানতে চেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে এখানে বিস্তারিতভাবে প্রত্যেকটা তথ্য উপস্থাপন করা হবে। জলাতঙ্ক বিষয়ের সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে সে অনুযায়ী যদি আমরা নিজেদেরকে প্রতিরোধ এর মধ্য দিয়ে নিয়ে যাই তাহলে আশা করি এই ধরনের সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাবো।
জলাতঙ্ক রোগের কথা আমরা সকলেই জানি বলে এ বিষয়ে আরো জানার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তাই যারা বিভিন্ন ধরনের রোগ বিশেষজ্ঞ তথ্য জানতে চান অথবা বিভিন্ন ধরনের তথ্য জেনে নেই সেই অনুযায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান তাদের জন্য বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। ভাই আপনার যখন জলাতঙ্ক বিষয়ে জানার প্রয়োজন হয়েছে তখন অবশ্যই এটা জেনে নিবেন। জলাতঙ্ক বিষয়ে আপনাদেরকে যদি জানাতে চাই তাহলে এটা এমন এক ধরনের ভাইরাস রোগ যেটা প্রাণী দেহে সর্বপ্রথমে বসবাস করে।
রেবিজ ভাইরাস নামক এক ধরনের ভাইরাস রয়েছে যেটা দিয়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। প্রথমত এই ভাইরাস প্রাণী দেহে থাকে এবং সেই প্রাণী আক্রান্ত হওয়ার পর যদি কোন মানুষকে কামড়ায় তাহলে মানুষের জলাতঙ্ক রোগ হবে। তাছাড়া সেই সকল প্রাণী যদি লালা ছড়িয়ে থাকে এবং সেই লালা যদি আমাদের সংস্পর্শে আসে তাহলেও কিন্তু জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৃথিবীতে যে সকল মহাদেশ রয়েছে তার ভেতরে এন্টার্টিকা বাদ দিয়ে অন্যান্য সকল দেশের জন্য আতঙ্ক রোগের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।
আর সেই হিসাব যদি আপনি করেন তাহলে সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশের মানুষজন। তাই জলাতঙ্ক রোগের প্রভাবে দেখা যাচ্ছে যে প্রতি বছর সারা বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে এবং হাজার হাজার মানুষ মারা যাওয়ার ফলে আমাদেরকে আগে থেকেই অবশ্যই প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে তুলতে হবে। তবে জলাতঙ্ক রোগের বিস্তার কিভাবে হয়ে থাকে তা যদি জানতে চান তাহলে বলব যে এই ভাইরাসের কারণে প্রাণী প্রথমে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং অল্পতেই যে কোন মানুষকে কামড়ে দিতে পারে। আর যখনই কামড়ে দেবে তখন দেখা যাবে যে এই ভাইরাসের কারণে সেই বিষ মানুষের শরীরে চলে যাচ্ছে।
জলাতঙ্ক রোগ কিভাবে ছড়ায়
অর্থাৎ উপরের দিকে উল্লেখিত ভাইরাসের কথা আপনাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি বলে এই ভাইরাস যখন একটা প্রাণীকে বা একটা পশুকে আক্রান্ত করে ফেলবে তখন তার ভেতরে সব সময় রাগী ভাব থাকবে এবং অল্পতেই স্তন্যপায়ী প্রাণীকে আক্রান্ত করে দিবে। মানুষ অনেক সময় কুকুরের কামড়ের কারণে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং অন্যান্য প্রাণীরাও এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়াও একজন মানুষের শরীরের যদি জলাতঙ্কের ভাইরাস থেকে থাকে এবং সেই মানুষের থেকে যদি অন্য মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ ট্রান্সপ্লান্টেশন হয়ে থাকে তাহলেও কিন্তু এই ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে।
জলাতঙ্ক রোগ হলে কি হয়
যদি একজন মানুষের জলাতঙ্ক রোগ পুরোপুরি ভাবে হয়ে যায় তাহলে তার অনিবার্যভাবে মৃত্যু হয়ে থাকে। তাই জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের টিকা ব্যবস্থা করে উঠেছে বলে সেটা দিতে হবে যাতে করে একজন মানুষ সুস্থতা অবলম্বন করতে পারে। যেহেতু এন্টিভাইরাল কাজ করতে পারে না সেহেতু টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে বলে তা প্রদান করতে হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা নিলে এ ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
যদি কারো জলাতঙ্ক হয়ে থাকে তাহলে তার মাথাব্যথা থেকে শুরু করে গলা ব্যথা এবং জ্বর হতে পারে। তাছাড়া যে স্থানে কামড় দিয়েছে সেই স্থানে খিঁচুনি হতে পারে। যে ব্যক্তিকে জলাতঙ্ক আক্রমণ করবে সেই ব্যক্তির গিলতে অসুবিধা হবে অথবা তার ভেতরে অন্য এক ধরনের ভয় কাজ করবে। তাই এ ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যত দ্রুত সম্ভব টিকা দিতে হবে এবং সকল ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।