থেরাপি কিভাবে দেয়

থেরাপি হলো কোন এক ধরনের ব্যায়াম বা শরীর চর্চা এই ধরনের বিষয়। তবে থেরাপির বাংলা পরিভাষা সম্পর্কে বললে বলা যায় যে, নিরাময়িক অর্থাৎ রোগ নিরাময় মূলক বা আরোগ্যকারী বা আরোগ্য মূলক চিকিৎসাকে বোঝায়। ইংরেজিতে এই পরিভাষাকে বলা হয় Curative treatment (সংক্ষেপে Cure) বা Therapeutic treatment (সংক্ষেপে Therapy) বলে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, রোগ নিরাময় করার বা রোগ ভালো করার জন্য যে কোন বিষয়ে ক্রিয়েটিভিটি ট্রিটমেন্টকে সাধারণত থেরাপি বলা হয়ে থাকে। থেরাপি কখনো কখনো মেডিসিন দ্বারা হতে পারে আবার কখনো কখনো এটি মেসেজ জাতীয় বিষয় হতে পারে।

ক্যান্সারের জন্য বিভিন্ন ধরনের থেরাপি দেওয়া হয় অর্থাৎ ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য এক্সরে থেরাপি এবং বিভিন্ন ধরনের ঔষধের থেরাপিয়া চলতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী এই সময় চলা বিষয়কেই থেরাপি বলা হয়। ইদানিংকালে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি বেড়ে গেছে তাই আমাদের সমাজে অনেকেই থেরাপি দেওয়ার কথা বলতে শুনি। কিন্তু এই থেরাপি আসলে কিভাবে দেওয়া হয় সে বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের খুব একটা ধারণা রয়েছে বলে মনে করা হয় না। তাই আপনারা আজকে আমাদের এখান থেকে কাকে বলে থেরাপি কি ধরনের হয় কিভাবে থেরাপি দেওয়া হয় সকল কিছুই সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

থেরাপি কিভাবে দেওয়া হয়

আপনারা জানেন বিভিন্ন ধরনের থেরাপি হয়ে থাকে। শেখ হাসি গুলোর মধ্যে রয়েছে ফিডিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ইত্যাদি। বিভিন্ন রোগের জন্য বিভিন্ন ধরনের থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। অর্থাৎ চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন যে কোন রোগের জন্য আপনি কোন থেরাপি দিলে আপনি বেশি ফল পাবেন। তাই থেরাপি দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোন ধরনের থেরাপি নেবেন বা নিতে হবে সেই বিষয়টি আপনাদের দেখে নিতে হবে। তবে থেরাপি অবশ্যই আলাদা আলাদা হয় এই আলাদা আলাদা রোগের জন্য আলাদা আলাদা থেরাপিও দিতে হয়। আপনি এখন যদি ক্যান্সারের জন্য ফিজিওথেরাপি ঠিক করেন তাহলে হয়তো ঠিক হবে না। তাই আমরা দেখতে পাই যে বিভিন্ন ধরনের থেরাপি রয়েছে এবং সেই থেরাপি গুলো আলাদা আলাদা রোগের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ফিজিওথেরাপি

সাধারণত ফিজিও এবং থেরাপি এই দুটি শব্দ একত্রিত হয়ে ফিজিওথেরাপি নাম দেওয়া হয়েছে। এখানে ভিজিয়ে বলতে শারীরিক এবং থেরাপি বলতে চিকিৎসা বোঝায়। তাই ফিজিওথেরাপি শব্দটি আসলে একটি স্বতন্ত্র চিকিৎসা ব্যবস্থা। এখানে শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। আর এই পদ্ধতির চিকিৎসকরা ফিজিওথেরাপিস্ট নামে পরিচিত হয়ে থাকে। আপনারা খেয়াল করে দেখলে দেখবেন যে প্রত্যেকটি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অবশ্যই ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়।

অর্থাৎ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের শারীর িক চিকিৎসা গুলো দিয়ে তারা তাদের খেলোয়াড়দের কে সুস্থ রাখার চেষ্টা করেন। তাই এই শারীরিক চিকিৎসকরা অর্থাৎ ফিজিওথরা বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য। বিভিন্ন শারীরিক অক্ষমতার জন্যই বা বিভিন্ন শারীরিক ব্যাধির জন্যই ফিজিওথেরাপিস্টদের প্রয়োজন হয়। যেমন: বুক ও পিঠের ব্যথা, আঘাত জনিত ব্যথা, নার্সের সমস্যা, সেরিব্রাল পলিসি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন।

অকুপেশনাল থেরাপী

অকুপেশনাল থেরাপি একটি বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা। এই চিকিৎসা ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি শারীরিক মানসিক সামাজিক এবং পরিবেশগত সমস্যা দূর করার মাধ্যমে তাকে দৈনন্দিন কাজে যথাসম্ভব স্বনির্ভর করে বাসা নির্ভর করার উদ্দেশ্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে অকুপেশনাল চিকিৎসা ব্যবস্থা ওই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা সে সকল রোগীদের জন্য প্রয়োজন যাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্ম কোন বা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে যেমন শারীরিক এবং মানসিক বুদ্ধিদীপ্তি বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়োজন করা হয়েছে। সকল রোগীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাউন্সেলিং বা তাদের বুদ্ধি ব্যক্তিটাকে বিকাশ ঘটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা করে তাদেরকে এই থেরাপি দেওয়া হয়। তাই এই ধরনের বিভিন্ন ভাবেই আপনারা দেখেছেন যে থেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে।

Leave a Comment