ডিএনসি কিভাবে করা হয়

ডায়ালেশন এন্ড কিউরাটেজ প্রসঙ্গে আপনারা যদি কেউ ধারণা অর্জন করতে চান অথবা এ বিষয়ে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রশ্ন করবেন। সেই সাথে এই পোষ্টের মাধ্যমে ডিএনসি বা ডায়ালেশন এন্ড কিউরেটিস কিভাবে করা হয় সে প্রসঙ্গে আলোচনা করতে চলেছি। আপনাদের অনেকের এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের ধারণা রয়েছে অথবা সেই ধারণার উপর ভিত্তি করে অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণাও নিজেদের ভেতরে পুষে রেখেছেন। তাই এখানে আমরা ডিএমসি কিভাবে করা হয় সে প্রসঙ্গে আলোচনা করছি।

কোন একজন গর্ভধারণ করা নারী যদি পরবর্তীতে হঠাৎ করে মিসক্যারেজ হয়ে যায় অথবা তার গর্ভপাত হয়ে যায় তাহলে অনেক সময় মনে করা হয় তার পেটের ভেতরে প্লাজেন্টার অংশ বিশেষ থেকে যায়। তাই সেই সন্দেহ থেকে অথবা অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তক্ষরণ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ের সমস্যা হওয়ার কারণে ডি এন্ড সি করা হয়ে থাকে। তাই অবশ পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীকে নির্দিষ্ট একটা পোশাক পড়ানো হয় এবং সেটার মাধ্যমে তার প্লাজেন্ডার সংগ্রহ থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল সমস্যা রয়েছে সেগুলোর উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

যখন ডি এন্ড সি করা হয়ে থাকে তখন ফাইব্রোমইডস , পলিপস, এন্ডোমেট্রিওসিস , হরমোনাল ইম্বালেন্স ও ইউট্রাইন ক্যানসার রোধ করতে ডি অ্যান্ড সি সাহায্য করে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই ডি এন্ড সি চিকিৎসা বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী করা হয়ে থাকলেও একজন রোগী হিসেবে অবশ্যই আপনারা ডাক্তারকে আপনার সমস্যাগুলোর কথা খুলে বলবেন। বিশেষ করে রক্তপাতের ঘটনাগুলো যদি ঘটে থাকে তাহলে জানাতে হবে এবং সেইসাথে এলার্জিজনিত যদি কোন সমস্যা থাকে থাকে তাহলে সেটা জানালে সেই অনুযায়ী প্রসিডিওর অনুসরণ করা হবে।

তাছাড়া এখানে রোগীর কন্ডিশন এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে তাকে একটা ড্রেস পরিয়ে দেওয়া হবে এবং কোমর থেকে নিচের অংশ অবশ করে দিয়ে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে। আমরা মনে করি যে এখান থেকে মোটামুটি ভাবে ধারণা পেয়ে গিয়েছেন এবং এই ধরনের ভিত্তিতেই ডি এন্ড সি করা হয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থেকে থাকে তাহলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন এবং আমরা আপনাদেরকে সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর গুলো জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

ডিএনসি করতে কত সময় লাগে

ডি এন্ড সি করতে মোটামুটি ভাবে একজন রোগীকে যখন বেডে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এটার সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে মোটামুটি ভাবে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগে। কারণ অবশ করার জন্য যে সকল নিয়ম আছে সেগুলো অনুসরণ করার পর অবশ হয়ে গেলেই সেখান থেকে ভ্যাজাইনার মুখ বিস্তৃত করার জন্য ডায়ালেশন ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে কুরাটেজ দিয়ে অর্থাৎ এক ধরনের চামচ দিয়ে আস্তে আস্তে জীবাণু অথবা প্লাজেন্টের অংশগুলো বের করে আনা হয়। আর dnc করতে মোটামুটি ভাবে যে সময় লাগে সেটা আপনারা এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন।

ডিএনসি করার কতদিন পর সহবাস করা যায়

যদি কোন কারনে গর্ভপাত হয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য। আর গর্ভপাতের পর আপনারা যখন ডিএনসি করাবেন তখন অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় দিতে হবে যাতে করে সেই রোগী পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। মোটামুটি ভাবে আপনারা ছয় মাস অপেক্ষা করতে পারলেই পরবর্তীতে সম্পর্কে জড়াতে পারবেন। আর কোনভাবে যদি এটা এবরশন পর্যায়ে যায় তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনাকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

ডিএনসি খরচ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ডিএনসি খরচ কত টাকা হয়ে থাকে সে প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের ফিস নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে কোন প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত কোন চার্জ এর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা নেই। অর্থাৎ ডাক্তার কেমন অথবা ডাক্তারের কাজ কেমন তার উপর নির্ভর করে যে সকল প্রতিষ্ঠান যে ফিস নির্ধারণ করে থাকে সেটা অনুযায়ী আপনাদেরকে কাজ করাতে হয়। তারপরও মোটামুটি ভাবে ১০ হাজার টাকার মধ্যে আপনারা এটা করতে পারবেন এবং খুবই অল্প সময়ের কাজ বলে একজন ডাক্তার তার নির্দিষ্ট খরচ ওষুধ পত্রের খরচ মিলিয়ে এই টাকা খরচ ধরে থাকেন।

Leave a Comment