বন্ধুদের পাল্লাই অথবা নিজের সঙ্গ দোষে যখন আপনি গাজা খাওয়া ধরবেন তখন দেখা যাবে যে এটা আপনার জীবনে বিশেষ কোনো ক্ষতি করে দিয়ে চলে যাবে। বিশেষ করে আপনি যখন পড়ালেখায় ভালো হওয়ার কারণে এবং অন্যান্য সকল দিক থেকে ফিট হওয়ার কারণে সরকারি কোন চাকরিতে যোগদান করবেন তখন আপনার ডোপ টেস্ট করা হবে। অর্থাৎ অতীতে কোন মাদকের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক রয়েছে কিনা এবং মাদকাসক্ত কিনা সে বিষয়গুলো যদি তারা পরীক্ষার মাধ্যমে পেয়ে যায় তাহলে আপনাকে চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হবে না।
তাই চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার জন্য ডোপ টেস্ট রেজাল্ট যদি ঠিকঠাক মতো আসে তাহলে সেটা অনুযায়ী আপনারা সরাসরি নিয়োগ পাবেন। আর কোন ভাবে যদি বুঝতে পারে যে আপনি নেশাজগতের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন অথবা আপনার জীবনে অনেকটাই নেশার মধ্য দিয়ে কেটেছে তাহলে এই ধরনের চাকরিতে আপনাকে কখনোই নিয়োগ দিবে না। শুধু সরকারি নয় বর্তমান সময়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তো বেশ কড়াকড়ি নিয়ম চলছে। তাই আপনারা গাঁজা খাবেন এবং সেটা খাবার পরেও যখন সরকারি পাওয়ার চেষ্টা করবেন তখন আপনার চাইতে যোগ্য প্রার্থী এই পৃথিবীতে অথবা এই দেশে অনেক রয়েছে।
তাই ডোপ টেস্ট এমন এক ধরনের টেস্ট যেটার মাধ্যমে আপনার ইউরিনের মাধ্যমে অথবা অন্যান্য মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করবে যে আপনি অতীতে কোন ধরনের মাদকাসক্ত ছিলেন কিনা। সেই ক্ষেত্রে যখন মেডিকেল টেস্ট করা হবে তখন অবশ্যই আপনাদের এই ডোপ টেস্টের মাধ্যমে নির্ণয় করার চেষ্টা করা হবে। এখন আপনি যদি অতীতে গাঁজা খেয়ে থাকেন এবং সেটা খাওয়ার প্রভাব যদি এখনো থেকে থাকে অথবা এ নিয়ে যদি আপনি চিনতে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে অনেক সময় আপনার নিয়ম হবে না। সরকারি চাকরিগুলোতে সকল নিয়ম বিশেষভাবে অনুসরণ করা হয়ে থাকে বলে অবশ্যই আপনাদের কেউ সরকারি চাকরির প্রত্যাশা থাকলে আগে থেকে এগুলো ছেড়ে দিতে হবে।
অর্থাৎ আপনারা যদি এ ধরনের বদভ্যাসের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আপনাদেরকে সংশোধন করতে হবে। আবার চাকরি পাওয়ার পরেও যে এগুলো সঙ্গে সম্পৃক্ততা গড়ে তুলবেন তা হবে না। তাই আপনি যদি গাঁজা খেয়ে থাকেন এবং গাঁজা খাওয়ার প্রভাব যদি শরীর থেকে মুছে ফেলতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে ৩৩৬ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাদের শরীরে গাঁজার প্রভাব থেকে যায় এবং ৩০ দিন পর্যন্ত মারিজুয়ানার যে ইফেক্ট হয়েছে সেটা শরীরে পাওয়া যায়।
ডোপ টেস্ট কতদিন থাকে
ডোপ টেস্ট করলে যখন ধরা পড়বেন যে আপনি মাদকাসক্তর সঙ্গে পরিচিত ছিলেন তখন আপনার চাকরি আগে বাতিল করা হবে। তাই গাজা খাওয়ার অথবা সিগারেট হোক অথবা অন্য কোন মাদকাসক্ত হোক সকল কিছু থেকে বাদ দিতে হবে যাতে করে আপনার ভবিষ্যৎ ভালো হয়। আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি রেজাল্ট ভালো এবং শারীরিক যোগ্যতা থেকেও আপনি ফিটফাট এবং পরীক্ষা ভালো দিয়েছেন এ সকল কিছু দিক থেকে উত্তীর্ণ হতে পারল ডোপ টেস্টে গিয়ে পড়ে যাবেন। তাই ডোক টেস্টে গিয়ে উত্তীর্ণ হতে হলে অবশ্যই এগুলো কমপক্ষে ৩০ দিনের ভেতরে ছেড়ে যেতে হবে এবং হাতে ৩০ দিন সময় দিলে আশা করি এগুলো শরীর থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
কি খেলে ডোপ টেস্ট নেগেটিভ আসবে
কি খেলে ডোপ টেস্ট নেগেটিভ আসবে যারা এই চালাকি করতে চান তাদেরকে বলব যে মেডিকেল রিপোর্ট এমন একটা বিষয় যেখানে আপনি কোন চালাকি করতে পারবেন না। অথবা আপনি এখানে ডোপ টেস্ট নেগেটিভ আসার জন্য যে পদ্ধতি অনুসরণ করতে যাচ্ছেন সেটা চাকরি পাওয়ার পর যদি আবার অনুসরণ করেন তাহলে আপনার চাকরি থাকবে না। নেগেটিভ আসার চিন্তাভাবনা না করে এটা থেকে একদম বেরিয়ে আসতে হবে এবং সুন্দর অসুস্থ জীবন যাপন করতে হলে নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে।
ডোপ টেস্ট নেগেটিভ আসার উপায়
ডোপ টেস্ট নেগেটিভ আসার কোন উপায় নেই এবং এই ক্ষেত্রে সকলকে সঠিক নিয়ম ও জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। আপনারা যদি যার যার জায়গা থেকে ধর্মীয় অনুশাসন গুলো মেনে চলেন এবং পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে। ধন্যবাদ।