ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য যারা আবেদন করেন অর্থাৎ নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর অর্থাৎ ছবি তোলার কতদিন পর সেই ভোটার আইডি কার্ড নিজের হাতে পাবেন সে বিষয়ে অনেকেই অনেক ধরনের প্রশ্ন করেন। বিভিন্ন ধরনের মানুষের প্রশ্ন বিভিন্ন ধরন এবং এই প্রশ্নের আঙ্গিকে মূলত আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ভোটার আইডি কার্ড এতে কতদিন লাগে এ বিষয়ে। অতীতের অভিজ্ঞতা যদি আমরা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি তাহলে আপনারা অনেক ভয় পাবেন তার কারণ হচ্ছে অতীত অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ।
একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝাচ্ছি ২০১৩-১৪ সালে যারা ভোটার আইডি কার্ডে নিবন্ধন করেছিল তাদের জন্য ব্যাপারটা হচ্ছে খুবই ভয়ানক তার কারণ হচ্ছে তাদেরকে স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়ার জন্য প্রায় ১০ বছর অপেক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু এটা অতীত অভিজ্ঞতা বর্তমানে এটা সম্পূর্ণ বিপরীত কাহিনী হচ্ছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে দেওয়া হচ্ছে চলুন জানার চেষ্টা করি কিভাবে এ কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে। আপনি যদি একেবারে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি ভোটার আইডি কার্ড পাবেন।
ছবি তোলার কতদিন পর এনআইডি কার্ড পাওয়া যায়
ভোটার আইডি কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং যেখানে বায়োমেট্রিক্স রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ ছবি তোলা থেকে শুরু করে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়া এই কাজগুলো আপনি সম্পূর্ণ করবেন তারপরে দিন থেকেই আপনাকে সময় গুনতে হবে। এখানে পরিষ্কারভাবে আমরা আপনাদের কিছু তথ্য দিতে চাই তাই আপনারা যদি আমাদের এখানে থাকেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন। সাধারণত কয়েকটি ধাপ আছে এখানে বায়োমেট্রিক্স রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়।
বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের পরে ১৫ থেকে ২১ দিন অপেক্ষা করতে হয় এই সময় কর্তৃপক্ষ ভোটার আইডি কার্ডে যাবতীয় তথ্য যাচাই বাছাই করে এবং সেখানে কোন ধরনের ভুল আছে কিনা সেটা যাচাই বাছাই করে এবং সেটা ইনপুট করে। এরপরে আপনি যে নাম্বার দিয়েছিলেন রেজিস্ট্রেশনের সময় সেই নাম্বারে একটি এসএমএস আসবে এবং সেই এসএমএসের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য ইনপুট করা হয়ে গেছে।
তবে যাদের এসএমএস আসে না তারা দ্রুত নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে দেখবেন কোন ভুল হয়েছে কিনা যদি ভুল হয় সেটা অবশ্যই সংশোধন করে দিয়ে আসবেন তাহলে সেই ভুল ভুলই থেকে যাবে আপনি আর কখনো ভোটার আইডি কার্ড হাতে পাবেন না।
এসএমএস আসার কিছুদিনের মধ্যেই ভোটার আইডি কার্ড আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন এখানে এক সপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য ইনপুট করা হয় অনলাইন সার্ভারে। এরপর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ফরম নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন এবং সেটা ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে নির্বাচন কমিশন এর মাধ্যমে সরাসরি আপনি আসল ভোটার আইডি কার্ড পেতে অবশ্যই আপনাকে দেরি করতে হবে এবং এটা কবে নাগাদ দেওয়া হবে কতদিন পর দেওয়া হবে সেটার কোন নির্ধারিত সময়সূচি উল্লেখ করা নেই।
ভোটার আইডি কার্ড করতে কত টাকা লাগে
ভোটার আইডি কার্ড করতে কোন টাকা লাগে না অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আপনাকে কোন টাকা দিতে হয় না তবে আপনি যদি সেটা ডাউনলোড করতে চান অনলাইনের মাধ্যমে তাহলে সেখানে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। আপনারা ডাউনলোড করার সময় আবেদন করবেন সেই আবেদনের সময় কিছু টাকা খরচ হবে এবং আবেদন করার সাত দিনের মধ্যেই একটি এসএমএস আসবে যে এসএমএস আসার পরে আপনি সেখান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।